somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সন্দ্বীপ (প্রথমাংশ) - (জার্নি টু আওয়ার সুইট সেভেন ডটার অব সী - ফার্স্ট ফেইজ)

১৩ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :









বছর দুই আগে মনে একটা পরিকল্পনা করেছিলাম, আমাদের দেশের দক্ষিণের বিখ্যাত সাতটি দ্বীপ ভ্রমণ করার। সেই ভার্চুয়াল ট্র্যাভেলিং নিয়ে তখন একটা পোস্ট দিয়েছিলামঃ অ্যা ভার্চুয়াল জার্নি টু আওয়ার সুইট সেভেন ডটার অব সী এবার শীতের শুরু থেকেই প্ল্যান ছিল সেই ভার্চুয়াল ট্যুরকে বাস্তবে রুপান্তর করা। কিন্তু সঙ্গী সাথী’র অভাব, সাথে চলে যাচ্ছে উপযুক্ত সময়। মার্চের শুরু থেকে উত্তাল হতে শুরু করবে সমুদ্র উপকূল, আর ফেব্রুয়ারি’র শেষ সপ্তাহের দিকে যাব কেরালা ট্রিপে। তাই যে কোন উপায়ে হোক আমাকে জানুয়ারি’র শেষ নাগাদ ট্যুর করতেই হবে। একে ওকে অনুরোধ করলাম সাথী হওয়ার জন্য, সবাই ভীষণ ব্যস্ত, একমাত্র আমি ব্যাতীত। সবশেষে বাল্যবন্ধু মনা’র দ্বারস্থ হলাম, ও বলল, জানুয়ারির শেষ নাগাদ ব্যস্ত থাকবে, তাই ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আমরা পরিকল্পনার প্রথম ভাগ, সন্দ্বীপ-হাতিয়া-নিঝুমদ্বীপ ভ্রমণ করব বলে মনস্থির করলাম। এর মাঝে আরেক ভ্রমণ বন্ধু শাহরিয়ার তার কর্মব্যস্ততা শেষ করে দিন তিনেকের ছুটি পেল, ওর প্ল্যান রাঙ্গামাটির ছোট হরিনা যাওয়ার। পরে ওর সাথে আলোচনার সাপেক্ষে ঠিক হল, ও আমাদের সাথে জয়েন করবে, তবে আমাদের শিডিউলে যোগ করতে হবে মনপুরা। আমি সম্মত হলাম, ফেব্রুয়ারি’র ৪ তারিখ রাতে রওনা হয়ে ঢাকা ফেরা হবে ৮ তারিখ সকালে, রুট এরকম – ঢাকা-চট্টগ্রাম এর কুমিরা-সন্দ্বীপ-হাতিয়া-নিঝুমদ্বীপ-মনপুরা-সদরঘাট, ঢাকা।

এই প্ল্যানের সমস্যা হল, সন্দ্বীপ হয়ে হাতিয়া চলাচলকারী সী-ট্রাক তখন বন্ধ, এটা জানালো বন্ধু মনা, লোকাল কার কাছ থেকে নাকি খবর নিয়েছে। পানির নাব্যতা কম থাকায়, এই সিজনে সী-ট্রাক চট্টগ্রাম সদরঘাট থেকে সরাসরি হাতিয়া চলে যায়, সন্দ্বীপে ভিড়ে না। আমি পড়লাম দ্বিধায়, যাত্রা শুরুর তখন দুদিন মাত্র বাকী। অনলাইন হতে নাম্বার খোঁজ করে ঐ রুটে চলাচলকারী যানের একটা কন্টাক্ট নাম্বার পেলাম, দিলাম ফোন, রাত দশটার উপরে বাজে তখন। ফোন ধরল একটা মেয়ে, এটা তার পারসোনাল নাম্বার! অথচ ওয়েবসাইটে দেয়া আছে, ঐ সি-ট্রাকের টিকেট কাটার কন্টাক্ট নাম্বার হিসেবে। দুঃখ প্রকাশ করে ফোন কেটে দিলাম, এবার সরাসরি বিআইডব্লিউটিসি’র ওয়েবসাইট হতে কন্ট্রোল রুমের ফোন নাম্বার যোগাড় করে ফোন দিলাম, এবার সঠিক নাম্বারেই ফোন গিয়েছে, উনাদের সাথে কথা বলে কনফার্ম হলাম সন্দ্বীপ থেকে হাতিয়ার সী-ট্রাক চলাচল করে। এরপর মনা’কে দায়িত্ব দেয়া হল ঢাকা-চট্টগ্রাম বাসের টিকেট করে ফেলার।

যাত্রার দিন সকাল বেলা মনা ফোন করে জানালো, ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে ও যেতে পারছে না, বাসের টিকেটও কাটে নাই। মনটা ভীষণ খারাপ হল, শাহরিয়ারকে ফোন দিয়ে জানালাম, বললাম, ট্যুর ক্যান্সেল করে দেই। কিন্তু শাহরিয়ারের কথা প্ল্যান যখন হয়েছেই, যেতেই হবে। আমাকে বলল আর কাউকে সাথে নেয়া যায় কি না খোঁজ করতে। প্রথমেই আমার প্রিয় দুইতিন’জন ভ্রমণসাথীদের কথা মনে পড়ল, দিলাম তাদের ফোন। অবশেষে আমার অন্যতম প্রিয় ভ্রমণসাথী হাসিব এককথায় রাজি হয়ে গেল, আধঘণ্টা সময় নিয়ে তার রিপোর্টিং বস থেকে ছুটি ম্যানেজ করে কনফার্ম করল, সে যাচ্ছে। এবার আমি লাঞ্চ সেরে ছুটলাম ফকিরাপুল হয়ে কমলাপুর, ট্রেন বা বাস যে কোন একটার টিকেট পেতেই হবে। প্রায় দুই’তিন ঘণ্টা দৌড়ঝাঁপ করে ইউনিক সার্ভিসের নন-এসি চেয়ার কোচের তিনটা টিকেট পেলাম শেষের দিক থেকে চতুর্থ সারিতে। ব্যাক পেইনের কারণে আমি একেবারে পেছনের সিটে ভ্রমণ করতে পারি না, তাই এই সিটই আমার কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি মনে হল।

সব ফাইনাল করে বাসায় এসে যখন স্লিপিং ব্যাগ, তাবু, ব্যাকপ্যাক গুছাবো, পথে পেলাম আরেক ভ্রমণ পাগল আপু’র কাছ থেকে ফোন, উনিও আমাদের সাথে যেতে চান। নিরাপত্তা এবং আমাদের ট্যুর প্ল্যান এর অনিশ্চিত শিডিউল এর কথা মাথায় রেখে আমরা চাচ্ছিলাম না উনাকে নিতে। কিন্তু সরাসরি না করতে পারছিলাম না, তাই উনাকে নানান বাহানা দিয়ে বিরত করার চেষ্টা করলাম। ফলে, উনার কাছ থেকে বেশ কিছু কটু কথা হজম করতে হল, সেই সাথে মনঃকষ্ট পাওয়ার মত কিছু উক্তিও। কি আর করার! মন খারাপ নিয়েই বাসায় এসে ব্যাগ গুছিয়ে রওনা হলাম রাত বারোটার বাস ধরার জন্য।

সারা রাত বাস জার্নি করে ফজরের পরপর আমরা পৌঁছে গেলাম কুমিরা, বাস আমাদের নামিয়ে দিয়ে চলে গেল। ঢাকায় তেমন শীত না থাকলেও সেখানে এই ভোরবেলা নেমে ঠাণ্ডায় কাঁপতে লাগলাম। রাস্তা হতে একটু নেমে একটা লোকাল স্ট্যান্ড মত জায়গা হতে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা করে চলে এলাম কুমিরা স্টিমারঘাটে, অফিসিয়াল নাম কুমিরা-গুপ্তছরা ঘাট। এখানে এসে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা সেরে নিলাম, আশেপাশের ছবি তুলে কিছু সময় কাটালাম। এখান থেকে সন্দ্বীপ যাওয়ার বাহন আছে স্পীডবোট, মালবাহী ট্রলার এবং সীট্রাক। ভাড়া যথাক্রমে ৩০০ টাকা, ১৫০ টাকা এবং ১২০ টাকা। কিন্তু সী-ট্রাক দিনে দুবার ছাড়ে মাত্র। সবচেয়ে ভাল স্পীডবোট, কিন্তু আমি স্পীডবোট পছন্দ করি না্‌, কিছুটা ভয়ও পাই বলতে পারেন। পরে বেলা দশটা নাগাদ জোয়ার এর পানি এলে ট্রলার করে রওনা হলাম সন্দ্বীপের উদ্দেশ্যে। ঘণ্টাখানেক সময়ের যাত্রা শেষে পৌঁছে গেলাম সন্দ্বীপের পূর্ব ঘাটে। এখানে নৌকা ভেড়ানোর সময় ছোট ছোট দ্বীপের ন্যায় খোলা সবুজ ঘাসে ঢাকা ভূখণ্ড দেখে প্ল্যান করলাম এখানেই তাবু ফেলব। কিন্তু নানান দিক বিবেচনা করে একটা সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে চলে এলাম সন্দ্বীপের মূল শহর এলাকা “এনাম নাহার”; অনেকটা মফস্বলের বাজার এলাকার মত। এখানে একটা রেস্টুরেন্টে সিঙ্গারা-মিষ্টি-চা দিয়ে একটা হালকা নাস্তা সেরে চলে গেলাম সন্দ্বীপের পশ্চিম ঘাটে। আগে এখানেই চট্টগ্রাম হতে সী-ট্রাক এসে ভিড়ত, এখন পানি কমে গিয়ে চর মত জেগে উঠেছে, অনেক দূরে সমুদ্র দেখা যায়, মাঝে আরও বেশকিছু পলি জমা চর। চারিপাশে সারি সারি সবুজ নারিকেল গাছের বাহারি রূপ। আর তা দেখে যেন, ক্যামেরা বের করে ছবি তোলার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেল আমাদের মাঝে।















আমি ভোরবেলা থেকেই কিছুটা চিন্তিত ছিলাম, সেই কুমিরা ঘাট থেকে যাকেই জিজ্ঞাসা করেছি সন্দ্বীপ থেকে হাতিয়া যাওয়ার কোন উপায় আছে কি না, সবার উত্তর 'না'। আমাকে হাতিয়া যেতে হলে ফের কুমিরা এসে চট্টগ্রাম সদরঘাট থেকে হাতিয়ার লঞ্চ ধরতে হবে, অথবা নোয়াখালীর সোনামুড়ি হয়ে নৌপথে হাতিয়া। এর কোনটি আমাদের প্ল্যানের শিডিউল টাইম সাপোর্ট করে না। কি করা যায়, এই ভাবনা নিয়ে সকাল থেকে যাকে পাচ্ছিলাম, তাকেই জিজ্ঞাসা করছিলাম, সবার একই উত্তর। যাই হোক, ছবি তুলতে তুলতে সেই পশ্চিম তীরের এক পরিত্যাক্ত ভাঙ্গা চালা ঘরের নীচে পড়ে থাকা রাশি রাশি ভাঙ্গা কাঁচের বোতলের এক টুকরোয় হাসিবের পা খুব খারাপভাবে কেটে গেল, প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।

ভাগ্য ভাল, শাহরিয়ার এর ফার্স্ট এইডের উপর এডভান্স ট্রেনিং নেয়া ছিল। হাসিবকে একটা ভাঙ্গা বেঞ্চির উপর শুইয়ে দিয়ে পায়ের পাতা উঁচু করে ধরে রেখে রক্তপাত বন্ধ করা গেল। এবার আশে পাশে পড়ে থাকা লতাপাতা আর গাছের বাকল দিয়ে কোন মতে একটা ব্যান্ডেজ করা হল। দূর থেকে একটা রিকশাভ্যান দেখতে পেয়ে আমি হাঁক দিলাম, হাতের ইশারায় সেই ভ্যানচালক এগিয়ে এল। তার ভ্যানে আমাদের ব্যাগপত্তর আর হাসিবকে উঠিয়ে দিয়ে আমরা কাছের একটা ছোট বাজার মত এলাকায় এলাম, দুই-তিনটা ঝুপড়ি খাবার হোটেল, এর একটাতে লাঞ্চ সেরে ফের এনাম নাহার ফিরে যাওয়া মনস্থির করলাম। কি আর করা, প্ল্যান চেঞ্জ করতে হবেই।













কিন্তু ভাগ্যের লিখন, যায় না খণ্ডন! আমাদের ভাগ্যে লেখা ছিল্ল সন্দ্বীপ থেকেই হাতিয়া যাওয়া। আর তাই তো, খাওয়া শেষে বিল দিচ্ছি, এমন সময় লোকাল মাতব্বর টাইপের এক ক্যাডার হোটেলে প্রবেশ করল। আমাদের দেখতে পেয়ে, 'আমরা কারা? কোথায় যাচ্ছি?' এসব জানতে চাইল হোটেলের মালিকের কাছ থেকে। আমরা হাতিয়ে যেতে চাই শুনে উনি বললেন, সেখানে থেকে ১২ কিলোমিটার দূরের একটা ঘাট এলাকা “কালাপানিয়া”, সেদিন দুপুরবেলা হাতিয়া থেকে ইট নিয়ে সেখানে একটি মালবাহী ট্রলার এসেছে, পরের দিন ফিরে যাবে। আমরা সেখানে গিয়ে ঐ নৌকার লোকদের ম্যানেজ করতে পারলে সেই নৌকা দিয়ে আমরা হাতিয়ে যেতে পারব। আহ, শান্তি... এবার আরামে পশ্চিম তীর ধরে হাঁটতে লাগলাম, আর ছবি তোলা চলল সমান তালে।















অপূর্ব সেই রূপ! যেন শ্রীলঙ্কা কিংবা মালদ্বীপ চলে এসেছি, সাগর পাড়ে সারি সারি নারিকেল গাছ, পার্থক্য একটাই, শুকনো দিন বলে পানি কিছুটা কম। ঘণ্টা দুয়েকের বেশী সময় হেঁটে পার করার পর এক গ্রামবাসী আমাদের গন্তব্য জানতে পেরে ভ্যানচালককে বলল, কাঁচা মাটির রাস্তা ছেড়ে গ্রামের ভেতর দিয়ে পাকা রাস্তা ধরে ভ্যান চালিয়ে যেতে, নইলে কালাপানিয়া পৌঁছতে পৌঁছতে রাত হয়ে যাবে। অগ্যতা তিনজন ভ্যানে উঠে বসলাম, গ্রামের সরু পিচ ঢালা রাস্তা ধরে এগিয়ে চললাম আমরা। পথে এক জায়গায় এক পল্লী চিকিৎসক এর দোকান দেখে ভ্যান থামানো হল। হাসিবের পায়ের ড্রেসিং করে ব্যান্ডেজ করার ফাঁকে চা পান করা হল। এরপর আবার যাত্রা। সন্ধ্যের আগে আগে পৌঁছলাম কালাপানিয়া। পৌঁছে নৌকাটি খুঁজে পেলাম, নৌকার মাঝির সাথে যখন কথা বলছিলাম আমরা, তখন ঘাটের ইজারাদার এসে ঝামেলা বাঁধাল, এই নৌকায় যাওয়া যাবে না, যেতে হলে পুরো নৌকার জন্য ঘাট ভাড়া দিতে হবে আমাদের তিনজনের। পুরাই ফাপর... আমার এই যন্ত্রণা ভাল লাগছিল না, শাহরিয়ারকে বললাম কথা বলতে। পশ্চিম তীরে তখন রক্তিম সূর্য সাগরের বুকে ডুব দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। (চলবে)

ছবিঃ
হাসিব, শাহরিয়ার এবং বোকা মানুষ বলতে চায়

পরের পর্বঃ সন্দ্বীপ (শেষাংশ) - (জার্নি টু আওয়ার সুইট সেভেন ডটার অব সী - ফার্স্ট ফেইজ)



================================================================================
ভ্রমণ সহায়ক তথ্যাবলিঃ

কিভাবে যাবেনঃ দেশের যে কোন প্রান্ত হতে চট্টগ্রামগামী বাসে করে চলে আসুন সীতাকুণ্ডের কুমিরা স্টিমার ঘাট। ভাড়া বিভিন্ন জায়গা হতে বিভিন্ন। ঢাকা হতে নন-এসি চেয়ার কোচের ভাড়া ৫০০ টাকার মধ্যে, সুপারভাইজারকে বলে রাখবেন, কুমিরা স্টিমার ঘাটে নামিয়ে দিতে। বাস আপনাকে যেখানে নামাবে সেখান থেকে জনপ্রতি ১০-২০ টাকা ভাড়ায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা করে চলে আসুন স্টিমার ঘাটে। এই ঘাটের নাম কুমিরা-গুপ্তছরা ঘাট। এই প্রান্তে কুমিরা, সন্দ্বীপের প্রান্তে গুপ্তছরা। কুমিরা থেকে সন্দ্বীপ যাওয়ার ভাড়া জনপ্রতি স্পীডবোটে তিনশত টাকা, ট্রলারে ১৫০ টাকা আর সী-ট্রাকে ১২০ টাকা। ট্রলার জোয়ার আসলে পড়ে ছাড়ে, আর সী-ট্রাক বেলা বারোটার দিকে। তাই সবচেয়ে বেটার স্পীডবোট। তাই সেখানে পৌঁছেই কাউণ্টারে গিয়ে নাম লিখিয়ে সিরিয়াল নিয়ে নিবেন। সন্দ্বীপ পৌঁছে গুপ্তছরা ঘাট থেকে এনাম নাহার (মূল শহর) পর্যন্ত সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া ১৫০-২০০ টাকা, সরাসরি পশ্চিমপাড় ঘাট চলে গেলে ভাড়া ২৫০-৩০০ টাকার মধ্যে থাকবে।

কোথায় থাকবেনঃ
এনাম নাহারে দু'য়েকটি হোটেল আছে, খুঁজে পেতে একটু বেগ পেতে হতে পারে। এছাড়া উপজেলা পরিষদের ডাকবাংলো'তে থাকা যেতে পারে, এজন্য যোগাযোগ করতে হবে উপজেলা পরিষদে। অদ্যাবধি যে কন্টাক্ট নাম্বার দেয়া আছে উপজেলা পরিষদের সরকারী ওয়েবসাইটে তা দেয়া হল আপনাদের জন্যঃ ০১৮১১-৩৪১৭২২ (মাহমুদুর রহমান, কেয়ারটেকার)। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে স্থানীয়দের সহায়তা নিতে পারেন, তবে নিরাপত্তার ব্যাপারে সাবধান থেকে অবশ্যই।

কি খাবেনঃ
স্থানীয় খাবার হোটেলে সাধারন সকল খাবার পাবেন, মান লোকাল টাইপের হবে, খরচ প্রতিবেলা অনূর্ধ্ব একশত টাকা জনপ্রতি।

পরামর্শঃ ঢাকা থেকে রাতের গাড়ীতে (বারোটার) রওনা দিলে ফজরের পরপর কুমিরা পৌঁছে যাবেন। স্টিমারঘাট থেকে নাস্তা করে স্পীডবোটে সন্দ্বীপ চলে আসুন বেলা আটটা থেকে নয়টার মধ্যে। সারাদিন বেড়িয়ে বিকেলের দিকে চলে আসুন কুমিরা। এখানকার সৈকতে সূর্যাস্ত উপভোগ করে ফিরতি পথে যাত্রা করুন। প্রয়োজনে ভেঙ্গে ভেঙ্গে ঢাকা আসুন, কুমিরা-সীতাকুণ্ড-মিরেরসরাই-কুমিল্লা হয়ে ঢাকা। একদিনের ছুটিতেই ঘুরে আসতে পারেন সন্দ্বীপ, শুধু একটু ধকল সহ্য ক্ষমতা থাকলেই হবে। সব মিলে খরচ ২০০০ টাকা'র মত পড়বে।

================================================================================









































সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২১
৫৬টি মন্তব্য ৫৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×