স্বপ্ন, কে না দেখে?
দেখে, সবাই দেখে
কেউ স্বপ্ন দেখে রাত্রি জেগে
কখনো হয় রাত্রি ঘুমে,
কিংবা, একলা বসে ঘরের কোণে
পড়ার ফাঁকে খাতা খুলে,
কিংবা শুয়ে প্রিয় গানটা ছেড়ে।
জেগে দেখা স্বপ্নরা হয় স্বপ্ন বুনন, পরিকল্পনার মতোই কিছুটা, রাত্রি ঘুমে স্বপ্নরা আসে চমকে দিয়ে। আজকাল আমার কেন জানি রাতের ঘুমে স্বপ্ন দেখা হয়ে উঠেনা, বিকেলের নরম রোদে ছাদে চাঁদ দেখে স্বপ্ন দেখি, স্বপ্ন বুনি, ভাল লাগে তাই।
মাঝে মাঝে যখন আমার মনটা ভীষন রকম ভারী হয়ে উঠে, দুঃখে নয়, যন্ত্রনায়ও নয় কিংবা বড় কোন কষ্টেও নয়, জীবনের চাকা ঘুরাতে ঘুরাতে মনের চাকায়ও একটা অচল ভাব চলে আসে, সেটাকে সচল করতেই বিকেলের রোদে ছাদে গিয়ে মনটা শুকাই, মন শুকাতে শুকাতে ছাদে বসে চাঁদ দেখি, নানা রকম স্বপ্ন বুনি, এইতো বুনার মাঝেই তা।
ছাদের প্রয়োজনটা সময়ে ভিন্নতর, সকাল দুপুর কড়া রোদে হলুদ মরিচ ভেজা কাপড় শুকিয়ে বিকেলের কোমল রোদে মন শুকানো। কোমল/ নরমের জন্য কোমন রোদ, কড়া রোদ মন সইতে পারেনা। তেমন বড় স্বপ্নও, তাইতো বড় স্বপ্ন দেখতে নেই, দেখিওনা।
কিন্তু কি হলে কি জানি, কাল কিকেলে ছাদে বসে চাঁদটা দেখে পশ্চিমের সুর্যিমামার বিদায় বেলার কোমল রোদে মন শুকিয়ে খাবার টেবিলে মায়ের বকুনি খেয়ে, রাতে বেলা শুয়ে শুয়ে গভীর ঘুমে আমি স্বপ্ন দেখি। কোন রাজপুত্রের না, কোন অট্টলীকারও না, পরী হয়ে চাদে ভাসার। লাল সবুজের প্রানের পতাটিকে চাদের বুকে গেড়ে দিয়ে গর্বভরে স্যালুট করার।
এমন স্বপ্ন দেখা, বলা, পরে সেটা শুনে পাগলী উপাধী পেতে কার না ভাল লাগবে? পাগলী বলুক, বোকা বলুক, আরো কি কি জানি সবিই বলুক, তবুও আমি স্বপ্নটা বুনে যাবো মনের কোণে।
হয়তো একটা দিন আসবে স্বপ্ন দেখতে হবেনা, বাংলা মায়ের কোন দামাল ছেলে (ছেলে/মেয়ে) আমাদের স্বপ্নটাকে সত্যি করবে।
ততদিন না হয় স্বপ্নটাই দেখি, ক্ষতি কি?
সেফ হওয়ার পূর্বে কোন পোষ্ট দেবনা ভেবেছিলাম, কিন্তু অনিমেষ হৃদয় ভাইয়ের চাঁদ বিষয়ক লেখাটি পড়ে কথাগুলো মনাকাশে উড়াউড়ি করছিল, তাই শব্দের মালা গেথেঁ দিলাম। মালাটা উনাকেই পড়ানো হলো।