খরতির জঙ্গল-পরিচিতিঃ বানিয়াচং উপজেলার খরতি নদীর দক্ষিণে প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ একর জমি নিয়ে হাওরে ‘লক্ষ্মী বাওড়’ জলাবন খরতির জঙ্গল নামেও পরিচিত।
প্রকৃতির এই জলাবনের বিচিত্র রূপ সত্যিই বিস্ময়কর। দূর থেকে জঙ্গলটিকে দেখে মনে হবে হাওর যেন পানির উপর ভাসছে। এখানে রয়েছে হিজল, কড়চ, বরুণ, কাকুরা, বউল্লা, খাগড়া, চাইল্লা, নল ইত্যাদি নামে অসংখ্য গাছে পরিপূর্ণ এই জলাবন বলতে গেলে অনেকটা অনাবিস্কৃতই বলা চলে। দেশের দ্বিতীয় সোয়াম্প ফরেস্ট এটি। পৃথিবীতে এমন জলাবনের সংখ্যা মাত্র সাতটি। তন্মধ্যে দু’টি রয়েছে বাংলাদেশে। একটি সিলেটের ‘রাতার গুল’ অপরটি হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের ‘লক্ষী বাওর’। রাতার গুল জলাবনটি এরই মধ্যে ব্যাপক পরিচিতি পেলেও লক্ষী বাওর জলাবনের নামটি অনেকের কাছে একেবারে নতুন। বিভিন্ন ধরনের গাছ-গাছালি, ফুল-ফল, পশু-পাখি, সাপ-বিচ্ছু, পোকা-মাকড়ে সমৃদ্ধ এই খরতির জঙ্গল ।
হবিগঞ্জ থেকে ১২ মাইল দূরবর্তী বানিয়াচং উপজেলা সদরের আদর্শ বাজার নৌকাঘাট থেকে ৫কিলোমিটার উত্তরে হাওরের মাঝে এ জলাবন। প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা ব্যাপী জঙ্গলের পূর্বে গঙ্গাজল হাওর ও নূরপুর, পশ্চিমে নলাই নদী, উত্তরে খরতি নদী এবং দক্ষিণে লোহাচূড়া নদী ও শোলাটেকা গ্রাম।
আমাদের দুঃখঃ আমাদের ঈদ পরবর্তী আয়োজনটি ছিল এই খরতির জঙ্গলকে ঘিরে । কিন্তু এতো বড় নৌকা নিয়ে এর ভিতরে ঢুকা অসম্ভভব । যেহেতু চারদিকে পানি থৈ থৈ তাই পায়ে হেঁটে যাওয়া কল্পনার মতই । দেখি আপনাদের ছবি শেয়ার করে কতটুকু ঘুড়িয়ে আনতে পারি -
আদর্শ বাজার নৌ ঘাট এখান থেকে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় চেপে যাত্রা শুরু করতে হয় -
আমাদের খেয়া-যান
একে একে সবাই জড়ো হচ্ছে -
ক্যামেরা বন্দী হচ্ছে মিলন মেলা -
ক্যাপ্টেন -
এই প্রথম এই শেষ । এরপর আর কখনো এদের এতো সুন্দর ভাবে বসে থাকতে দেখা যায় নি ।
হাওরের ছবি -
ওই পথেই যাত্রা যাদের -
কৈশোর -
ক্লান্তিকর বিষণ্ণ দুপুর -
জীবন জীবিকা যাদের এই হাওরকে ঘিরে -
হৃদয়ভাঙ্গার গান -
খরতির জঙ্গল
ভিতরে যাওয়ার রাস্তা নেই জানিয়ে দিলেন কাণ্ডারি -
হতাশা -
হাওড়ের রূপ -
পানকৌড়ি -
চাঁদ মামাঃ
আকাশে
পানিতে
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩২