শ্রমিকরা মন্ত্রী মহোদয়ের কথায় আস্থা রাখতে না পেরে কিংবা ধৈর্য্যএর বাদ ভেংগেই হোক কক্সবাজার থেকে সাম্পানে করে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য সাহস জুটিয়ে ফেলে অনেকেই
----------------------------------
মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ২০০৮ সালে।আর তার সাথে থমকে যায় ৫৫ হাজার শ্রমিকের জিবন,যারা মালয়েশিয়াতে তাদের ভিসার খরচ সহ প্রায় সব টাকাই পরিশোধ করেছিল।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসায় পর আমাদের প্রবাসী কল্যান মন্ত্রী শ্রমিকদের প্রতি ওনার অতিমাত্রায় ভালবাসা থাকাতে উদ্দোগে নেয় কম খরচে তাদেরকে বিদেশ পাঠানোর,
উদ্দোগটি অবশ্যই প্রশংসনীয়...
তবে উনি বেমালুম ভুলে গেলেন আগের ৫৫হাজার ভিসার কথা।
কেন উনি ভুলে গেলেন?এই ব্যাপারটা আমার কাছে কেন যাদের বিবেকবুদ্ধি তাদের সবার কাছেই খটকা লেগেছিল।শ্রমিকদের প্রতি যে মন্ত্রী মহোদয়ের এত মমতা তিনি এতবড় একটা ভুল কিভাবে করল?নাকি আমাদের দুতাবাস মন্ত্রীকে এই ব্যাপারে অবগতই করেনি?
যাই ঘটুক না কেন ৫৫হাজার শ্রমিকদের জীবনে নেমে এসেছে অভিশাপ....
শুধু এরাই নয়,কম খরচে মালয়েশিয়া পাঠাবে বলায় আরোও ১৪ লক্ষ শ্রমিক মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করে।
প্রাথমিক ভাবে ১০০০০ বাছাই হয়েছে বললেও ২৭৩জনএর মতো মালয়েশিয়াতে এসেছে বিগত দুইবছরে..
মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে এই হিসাব মনে হয় নেই। উনি শ্রমিকদের মৃত্যু সম্মন্ধে যা বললেন তাতে মনে হওয়া সাভাবিক যে উনার ধ্যান ধারনা আধ্যাত্মিক টাইপের্।উনাকে এরকম অতি সাধারন বিষয় সহজে স্পর্শ করেনা.....
এদিকে শ্রমিকরা মন্ত্রী মহোদয়ের কথায় আস্থা রাখতে না পেরে কিংবা ধৈর্য্যএর বাদ ভেংগেই হোক কক্সবাজার থেকে সাম্পানে করে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য সাহস জুটিয়ে ফেলে অনেকে।তারপরের ঘটনা ত সবারই জানা।অগনিত শ্রমিক লাশ হয়ে মিশে গেছে বংগোপসাগরের লোনা জলে।
তাদের একজন মো: মজিদ মিয়া,বয়স -২৮,জেলা -ফরিদপুর্।গার্মেন্সটের চাকরি ছেড়েদিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেছিল কম খরছে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য। তিন বত্সর অপেক্ষা করেও যখন আসেনি মজিদের নাম্বার, বেকার মজিদ তখন বাধ্য হয় মানবেতর জিবনযাপন করতে।শুধু মজিদই নয় ১৪ লক্ষ মানুষ অপেক্ষা করছে এই মজিদের মতো। আমাদের প্রবাসী কল্যান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয় তাদের জন্য উনার মাত্রাতিরিক্ত মমতা থাকায় আরোও খরচ কমানোর নিমিত্তে অবিরাম আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের সাথে।একটি সুত্র জানায় মি.শিভাস ও মিসেস হেইনিসির সংগে এই ব্যাপার নিয়ে প্রতি রাতেই আলোচনায় বসেন আমাদের প্রবাসী কল্যান মন্ত্রী।শুধুমাত্র আলোচনা যে গরীবের পেট ভরায় না তা আমাদের দেশের মন্ত্রীদের জানার কথা নয় অবস্য।কারন তারা কেউই গরীবের ঘরে জন্ম নেয়নি..শুধু তাই নয়,উনারা কেউ কেউ জন্মগত ভাবেই আধ্যাত্মিক জ্ঞান সম্পূর্ণ হয়ে দুনিয়াতে আসেন। তাই হয়ত বিদেশে পাঠানোর বদলে শ্রমিকদের জীবন ও মৃত্যুর রহস্য নিয়ে ব্যাস্ত থাকতে দেখি মন্ত্রী মহোদয়কে।
এদিকে মন্ত্রী মহোদয়ের ভাষা না বুঝেই হোক অথবা পরিবারের অনাহারি মুখগুলো দেখে অবেকতাড়িত হয়েই হোক কক্সবাজার হয়ে নৌকা করে মালয়েশিয়া পাড়ি দেওয়ার সাহস জুটিয়ে ফেলে মজিদ মিয়া।
তবে ভাগ্য সহায় হয়নি তার আরোও অনেকের সাথে লাশ হয়ে মিশে গেছে বংগউপ সাগরে।
আর আধ্যাত্মিক মন্ত্রী এখনো বুঝতেই পারেনি ১৬ কোটি লোকের দেশে অনেকেই আছে যারা এই রিক্সটুকু নিবেই।বিশেষ করে যখন বিদেশ যাওয়ার সংখ্যা কমতে কমতে শুন্যের কোঠায় এসে পৌছেছে। সেইসাথে ক্রমশ প্রকট হয়ে উঠছে বেকার সমস্যা।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৪১