ছবি দেখে কেউ বিদেশ ভাবছেন? তাহলে, ভুল করছেন। ইহা বিদেশ নয়। ইহা বাংলাদেশের হবিগঞ্জে গড়ে উঠা নতুন এক রাজ্য। নাম দেওয়া হয়েছে “দ্য প্যালেস লাক্সারী রিসোর্ট”। নামের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এর বিশেষত্ব। এখানে এলেই মনে হবে এ কোন বিলাসবহুল রাজত্বে এলাম? যাই হোক, খুব বেশি কথা না বলি। আশা করি, আমার নিচের ছবিগুলোই বলে দিবে জায়গাটা কেমন। আরো ছবি দেখতে চাইলে এখানে যান। খুব সংক্ষেপে যদি বলি, তবে সৌন্দর্য, সার্ভিস, খাবার, আতিথেয়তা সব মিলিয়ে আমি ওদেরকে ১০/১০ ই দিবো। যাই হোক, আজকের লেখার উদ্দেশ্য ভ্রমণপিপাসু মানুষদেরকে এখানকার কিছু তথ্য প্রদান করে উপকৃত করা।
প্যালেসে ঘুরতে হলে আপনাকে কমপক্ষে একরাত ঐখানে থাকার জন্য রুম বুকিং দিতে হবে। রুম বুকিংয়ের খরচের সাথে যে যে জিনিসগুলো ফ্রীতে পাচ্ছেনঃ
- দু’জনের জন্য সকাল বেলার ব্যুফে নাস্তা (৬০-৭০টি আইটেম থাকে, সকাল ১০:৩০ পর্যন্ত যত ইচ্ছা খান)। পাচঁ বছরের নিচে বাচ্চা হলে সে ফ্রী।
- পাঁচ তারকা মানের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম যেখানে পাবেন ২ লিটার মাম পানি, চা/কফি বানানোর সরঞ্জাম, জুতো, টুথপেস্ট-টুথব্রাশ, সাবান, শ্যাম্পু, ওজন মাপার মেশিন, লোশন, লকার, শাওয়ার ড্রেস, ব্যাগ, পুরো এরিয়ার ম্যাপ, টিভি, কলম, প্যাড, চিরুনী, কটন, শাওয়ার ক্যাপ, লন্ড্রি ব্যাগ এমনকি সুই-সুতা পর্যন্ত।
- পুরো এরিয়া জুড়ে ফ্রী ওয়াইফাই।
- সুইমিং পুল (যা রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকে, মেয়েদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা)
- সিনেপ্লেক্স (যেখানে সারাদিনে ৩টি শো হয়)
- পুরো এরিয়াতে যখন তখন ঘুরাঘুরির জন্য ফ্রী গাড়ি সার্ভিস।
- বাচ্চাদের ছোটখাট পার্ক ও গোলক ধাধা
- লেকে ফিশিং (মাছ ধরা) করার ব্যবস্থা
- কোন স্টাফ বকশিশের জন্য অপেক্ষা করবে না
- ভাগ্য ভালো হলে কোন সেলিব্রেটিকে কাছ থেকে দেখা। যেমন, আমার পাশের টেবিলে লাঞ্চ করেছেন জনাব সালমান এফ রহমান।
- পুরো এরিয়াটি ঘুরে দেখা :p
এবার আসি, খরচের হিসাবে (সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ আপনার মাসিক আয় যদি ৫০,০০০/- টাকা এর কম হয়, তবে নিচের তথ্য না পড়াই শ্রেয় :p )
- রুম/ভিলাগুলোর খরচ পাবেন এখানে । ওরা প্রতি মাসেই বিভিন্ন সময়ে ৫০% ডিসকাউন্ট দেই। এজন্য, ওদের ফেবু ফ্যানপেজে যোগাযোগ রাখতে পারেন। আপনার মাস্টারকার্ড (ডেবিট/ক্রেডিট) থাকলে ভিলাগুলোতে ৩০% ডিসকাউন্ট পাবেন আর সিটি ব্যাংকের আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড থাকলে হোটেল রুমগুলোতেও ৩০% ডিসকাউন্ট পাবেন। ++ মানে হচ্ছে প্রত্যেক মূল্যের সাথে ১০% সার্ভিস চার্জযুক্ত হয়ে যে মূল্য হবে তার সাথে ১৫% ভ্যাট যুক্ত হবে।
- প্রত্যেক রুমে আপনি অতিরিক্ত একজন রাখতে পারবেন। তার জন্য খরচ হবে ৩০০০++
- আপনার বাচ্চা যদি ৫-১০ বছর হয় তবে সকালের নাস্তা ৫০% কম রেটে পাবেন।
- দুপুরের খাবারে জনপ্রতি ব্যয় হবে ১২৫০++ আর রাতের খাবারে জনপ্রতি ব্যয় হবে ১৫০০++। উভয়টিই ব্যুফে। এখানে, উল্লেখ্য, ওদের এই খরচের সাথে কোন পানীয় ও পানি যুক্ত নয়। যার বিল যুক্ত হবে। আর যদি আপনি ওদের লোভনীয় খাবারগুলো মিস করে কিছু টাকা বাচাতে চান, তবে রুমে বসে ওদের জেসমিন রাইস উইথ বিফ এর একজনের জন্য অর্ডার করুন। যতটুকু তারা দিবে তা দিয়ে দু’জনের হয়ে যাবে।
- ইনডোর ও আউটডোর গেমস। খরচ জানি না। আমি শুধু সাইকেল রাইড দিয়েছি। ঘন্টা প্রতি ২০০ টাকা দিয়ে। গেমসের মধ্যে আছে ভিডিও গেমস, কার্ট রেসিং, বিলিয়ার্ড, দাবা, টেবিল টেনিস, টেনিস, বাস্কেটবল ইত্যাদি।
- বার (যাই নাই, খরচ বলতে পারবো না)
- সুইমিং কস্টিউম যদি না নিয়ে যান তবে কিনতে হবে। খরচ ৪০০-৮০০ টাকা।
- বিকাল/সন্ধ্যার নাস্তার জন্য আছে রেভলুশান ক্যাফে ও নস্টালজিয়া ক্যাফে। দু’জন খেলে খরচ আসবে কমপক্ষে ২০০০+
- আপনি যদি ড্রাইভার নিয়ে যান, তবে তার তিন বেলার থাকা-খাওয়াসহ খরচ আসবে ১২৫০++
- হেলিকপ্টারে চড়ার শখ হলে জনপ্রতি খরচ হবে ৮ মিনিটে ৫০০০++
কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা-সিলেট রুটের যেকোন বাসে উঠুন। বলবেন, হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার পুটিজুরি বাজারে নামিয়ে দিতে। পুটিজুরি বাজার বললেই ওরা বুঝবে। আমি গিয়েছিলাম গ্রীনলাইনের বিজনেস ক্লাসে। ভাড়া ১২০০ টাকা। সেই বাজারে নেমে যেকোন সিএনজিকে বলবেন প্যালেস। ভাড়া নিবে ১০০ টাকা। একেবারে প্যালেসের গেটে নামিয়ে দিবে।
মূল ভবনঃ
পুটিজুরি বাজার থেকে এখানে এসে ডানে মোড় নিতে হবেঃ
প্যালেসের পথেঃ
প্যালেস যাওয়ার পথেঃ
মূল গেটঃ
মূল গেট ও এটিএম বুথঃ
১ম রিসিপশনঃ
রিসিপশন থেকে কৃত্রিম ঝরণা দেখাঃ
কৃত্রিম ঝরণাঃ
টাওয়ারের প্রবেশ পথঃ
বাগি/গাড়ি সার্ভিস (রিসিপশন থেকে টাওয়ারে নিয়ে যাচ্ছে):
টাওয়ারের পথেঃ
মূল রিসিপশনঃ
মেইজ/গোলকধাধাঃ
বাচ্চাদের খেলাধুলার জায়গাঃ
ভিলা জোনঃ
ভিলা জোনঃ
আমাদের ভিলাঃ
ভিলার মূল কক্ষঃ
ভিলার ড্রয়িং রুমঃ
ভিলার ড্রয়িং রুমঃ
চা/কফির ব্যবস্থাঃ
ভিলা থেকে সকাল দেখাঃ
ভিলা থেকে সকাল দেখাঃ
ভিলা থেকে সকালঃ
নামেই বোঝা যাচ্ছেঃ
গেমজোনের ভিতরেঃ
গেম জোনঃ
গেম জোনঃ
কার্ট রেসিংঃ
সাইক্লিংঃ
প্রেসিডেন্সিয়াল ভিলাঃ
দুই টিলার সংযোগ সেতুঃ
মূল ভবনের করিডোরঃ
মূল ভবনের রুমঃ
টাওয়ারের রুমঃ
টাওয়ারের রুমঃ
পঞ্চম তলার রেস্টুরেন্টঃ
পঞ্চম তলার রেস্টুরেন্ট থেকে দৃশ্যঃ
মূল রেস্টুরেন্টঃ
মূল রেস্টুরেন্ট থেকে দৃশ্যঃ
সকালের নাস্তার একাংশঃ
হেলিপ্যাড যাওয়ার পথেঃ
হেলিপ্যাডঃ
হেলিপ্যাড থেকে টাওয়ারঃ
হেলিপ্যাড থেকে ভিলা জোনঃ
সীসা লাউঞ্জ (এখনো চালু হয়নি):
রাতের প্যালেসঃ
লেকঃ
নস্টালজিয়া ক্যাফেঃ
নস্টালজিয়া ক্যাফে ও লেকঃ
নস্টালজিয়াতে বিকালের নাস্তাঃ
সুইমিং পুলঃ
রাতের সুইমিং পুলঃ
রাতের প্যালেসঃ
রাতের প্যালেসঃ
হানিমুন ভিলাঃ
সীসা লাউঞ্জ:
প্যালেস ম্যাপঃ
নামফলকঃ
বার ও সিনেপ্লেক্স (নাম বারকোড)
সিনেপ্লেক্স (কোথাও কেউ নাই)
ডিনারঃ
রেভলুশান ক্যাফেঃ
রেভলুশানের খাবারঃ
রেভলুশান ক্যাফেঃ
রেভলুশান ক্যাফের বাইরে বসার স্থানঃ
রেস্টুরেন্ট থেকে দৃশ্যঃ
ছাদ থেকে দৃশ্যঃ
মেলাদিন পর পুস্টাইলাম। লেখা ভালো না লাগলে কিচ্ছু করার নাই
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৮