হরতাল নামক মহান বস্তুটির কারণে দেশের অর্থনীতিতো দিনে দিনে চাঙ্গে উঠতাছেই পাশাপাশি ম্যাংগোজনতার মানিব্যাগের অবস্থাও শূন্যের কোঠায় যাচ্ছে। এমতাবস্থায়, বেঁচে থাকার জন্য এবং পকেটে টাকা আনয়নের জন্য হরতালভিত্তিক কিছু ব্যবসার চিন্তা মাথায় আসলো। দেখেন কাজে লাগানো যায় কিনা:
১. টিভি চ্যানেলের ব্যবসা ইদানীং ভালোই দেখতাছি বিশেষ করে যেসব চ্যানেল হরতালভিত্তিক খবর বেশি দেখায়। তাই, চিন্তা করতাছি Hortal Television নামক একটা চ্যানেল দেওয়া যায় কিনা।
২. একটা অনলাইন নিউজপেপার খুললেও মন্দ হয় না যেমন hortal24.com
৩. একটা প্রকাশনী দেওয়া যেতে পারে যেমন হরতাল প্রকাশনী যেখান থেকে হরতালভিত্তিক পুস্তিকা বের হবে। উদাহরণস্বরূপ:
- হরতালের উৎপত্তি ও বিকাশ: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট
- হরতালে চলাফেরার নিয়ম-কানুন।
- যানবাহনে আগুন লাগানোর সহজ ও নিরাপদ উপায়।
- আগুন লাগা যানবাহন থেকে ঝুকিমুক্তভাবে বের হয়ে আসার তরীকা।
- সঠিক মাপে ইট ও পাটকেল নিক্ষেপ করার উপায় ইত্যাদি।
৪. হরতাল চলাকালীন সময়ে রাস্তাঘাটে ইট, টায়ার, কেরোসিন, পেট্রোল, লাঠি ইত্যাদি বিক্রি করা যেতে পারে।
৫. ভ্রাম্যমান চিকিৎসাকেন্দ্র খোলা যেতে পারে। পুলিশ কিংবা পিকেটার যেই মাইর খেয়ে আসুক তাকে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
৬. হরতাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নামক একটি ট্রেনিং সেন্টার খোলা যেতে পারে: এখানে অতীব যত্নসহকারে দক্ষ পিকেটার তৈরি করা হয়।
৭. হরতালভিত্তিক একটি সফটওয়্যার উদ্ভাবন করে উচ্চমূল্যে বিক্রি করা যেতে পারে যার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেশে হরতাল পালনের ব্যবস্থা করা হবে।
৮. বেশিরভাগ মোড়ে একদল পুলিশকে সারাদিন শুধু বসে থাকতেই দেখা যায় কারণ উক্ত এলাকাগুলোতে কোন গেনজাম লাগেনা। তাদের কাছে বাদাম, বুট, পাপ্পন (পপকর্ণ), প্রাণ ম্যাংগো জুস, ঠান্ডা পানি বিক্রি করা যেতে পারে।
৯. হরতালভিত্তিক একটি সংগ্রহশালা প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। উক্ত সংগ্রহশালায় হরতাল চলাকালীন সময়ে নিক্ষেপকৃত ইট, ছেড়া জুতা, রক্ত, পুড়ে যাওয়া যানবাহন, কয়লা হওয়া লাশ সংগ্রহ করা যেতে পারে। সেগুলো দেখার জন্য স্বল্পমূল্যে টিকেটের ব্যবস্থা করা হলো।
১০. হরতাল বন্ধের স্লোগান নিয়ে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। এই স্লোগান দিয়ে বিদেশ থেকে লাখ লাখ টাকা ডোনেশন আনা যাবে নিশ্চিত।
পরিশেষে হরতাল প্রদানকারীদের উদ্দেশ্যে শুধু একটা প্রশ্নই করবো, “আমগোরে কি একটু শান্তিতে বাঁচতে দিবেন না?” দেখি কোন উত্তর আসে কিনা। যতদিন উত্তর না আসে ততদিন উপরের যেকোন একটা নিয়া মাঠে নাইমা পড়েন, দেরি কইরেন না।