somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এ আন্দোলন কতদিনের....?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


চলছে! আন্দোলন চলছে! শাহবাগ নামক মোড়টিতে ব্যাপক আন্দোলন চলছে। যত যাই হোক, যেভাবেই হোক, কাদের মোল্লাকে ফাসি দিতেই হবে। আমাদের দাবি না মানলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

সত্যিই কি থাকবে? আমার ভয় হয়, প্রত্যেকবার যা হয়েছে এবারও তাই হবে। ১-২ সপ্তাহের আন্দোলন তারপর আমরা সব ভুলে যাব। ভুলে যাব কাদের মোল্লার ফাসির কথা যেভাবে আমরা ভুলে গেছি ফেলানির কথা, ভুলে গেছি সাগর-রুনির কথা, ভুলে গেছি বিশ্বজিতের কথা। একটু মনে করুন তো, এই প্রত্যেকটি ঘটনার পর আমরা কি আন্দোলন করিনি? কত লেখালেখি, কত প্রতিবাদ কিন্তু তারপরে....? আমরা প্রত্যেকেই ফিরে গেছি আমাদের যার যার জীবনে। ভুলে গেছি অপরাধগুলোর কথা, ভুলে গেছি অপরাধীদের শাস্তির কথা। এবারও কী তার ব্যতিক্রম হবে?

হয়তো আর মাত্র কয়েকদিন, তারপর আমি অশিক্ষিত বালক বিসিএস নিয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করবো, রতন তার ব্যান্ড নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাবে, তাহমিনা তার স্কলারশীপের খোজে নামবে, আকরাম হতাশায় ভুগবে, জরিনা ফাল্গুনে ফটোসেশন করবে, বিট্টু তার প্রেমিকার মন গলাতে ব্যস্ত হয়ে যাবে, রাজিয়া নতুন বিয়ে করে জামাইকে নিয়ে হানিমুনে চলে যাবে। তারপর ১ বছর পর এটিএন নিউজের খবরে উঠবে “আজ ৫ই ফ্রেবুয়ারী। ২০১৩ সালের এই দিনে কাদের মোল্লার ফাসির বদলে যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছিল এবং এর প্রতিবাদে শাহবাগে ব্যাপক প্রতিবাদ হয়েছিল।” সেই খবর আমরা দেখবো এবং হাই তুলে চ্যানেল বদলে ফেলবো। কেউ কেউ ওসমানী মিলনায়তনে ১০-১৫ জন মানুষকে নিয়ে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করবে। পরের দিনের খবরের কাগজের ১১নং পৃষ্ঠার কোন এক কোণায় সেই প্রতিবাদ সভার খবরটি পরে থাকবে।

এই হচ্ছি আমরা, এই হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশ। এখানে কোন অপরাধীর বিচার হয় না, এখানে কোন অপরাধী মারা যায় না। এখানে বিচার হয় নিরীহ-নিরপরাধ সাধারণ মানুষের, এখানে মারা যায় নিরীহ-নিরপরাধ সাধারণ মানুষ। কারণ আমরা সাধারণ মানুষের জানি না কিভাবে আমাদের অধিকার আদায় করতে হয়, আমরা জানি না কিভাবে আন্দোলন করতে হয়, আমরা জানি না কিভাবে আন্দোলনকে বাচিয়ে রাখতে হয়, আমরা জানি না কিভাবে আন্দোলনকে নেতৃত্ব দিতে হয়।

আমরা শুধু জানি, ২০০০০ টাকার বেতন, ১টি Pulsar মোটর সাইকেল, ১টি ছোট বাড়ি, ১টি DSLR ক্যামেরা, ১টি Samsung Galaxy Tab, Captain’s Worldয়ের Lunch, চায়ের দোকানের আড্ডা, TSC এর চিপায় বসে প্রেম করা, সেন্ট মার্টিনে ঘুরতে যাওয়া এবং জীবন শেষ হলে মারা যাওয়া।

জয় হোক আমাদের। অপরাধীরা এভাবেই চিরকাল বেঁচে থাকুক আমাদের ছত্রছায়ায়, এই কামনায়.....
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সত্যি বলছি, চাইবো না

লিখেছেন নওরিন হোসেন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৮



সত্যি বলছি, এভাবে আর চাইবো না।
ধূসর মরুর বুকের তপ্ত বালির শপথ ,
বালির গভীরে অবহেলায় লুকানো মৃত পথিকের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কি 'কিংস পার্টি' গঠনের চেষ্টা করছেন ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১০


শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামক সংগঠন টি রাজনৈতিক দল গঠন করবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছেই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্থান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্থান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×