আশুলিয়ার তাজরীন, সাভারের রানা প্লাজা
পার্থক্য কেবল মৃত্যুর ধরনে, আগুন আর ধ্বসে
আর সবই এক।
সেদিন ছিলো ২৪ নভেম্বর। আজ ২৪ এপ্রিল।
সেদিন তাজরীনে পুড়ে ছাই হয়েছিলো
শতাধিক গার্মেন্টস কর্মী।
আজ ভবন ধ্বসে যে শতাধিক
মানুষের প্রাণ গেলো তারাও তাই
তাজরীনের ভবনের অনুমোদন ছিলো
না। রানা প্লাজারও নেই।
তাজরীনের ঘটনার পর তদন্ত
কমিটি হয়েছিলো এবারো হবে।
সে সময় সরকার-প্রশাসন
বড় বড় কথা বলেছিলো
আজো বলবে। সেদিনও বাংলাদেশ
সারা পৃথিবীতে ছোট হয়েছিলো, আজো হবে
সাভারের যেই সাংবাদিকরা সেদিন
সংবাদ কাভার করেছিলো আজো তারাই করছে।
সেদিন টক-শোতে যারা কথা
বলেছিলো আজো তারাই বলছে।
সেদিন যারা সংবাদপত্রে লিখেছিলো
আজো তারা লিখবে।
সেদিনকার ঘটনাও ছিলো
হত্যাকাণ্ড। আজকেরটাও তাই।
সেদিন আগুন লাগার পরে কর্মীদের
বের হতে দেয়া হয়নি, আর আজ ভবন
ধ্বসের পর জোর করে ঢোকানো হয়েছে।
সেদিন সাধারণ মানুষ কেদেছিলো
আজো তারাই কাদবে।
সে সময় যারা রাজপথে বিক্ষোভ
করেছিলো এখনো তারাই করবে।
সেদিন আমাদের মতো আবালেরা
শোক প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছিলা, আজো দিচ্ছি
সেদিন অনুমোদনীন ভবন গড়ে ওঠার ব্
যর্থতার দায়ে রাজউকের বিচার
হয়নি, আজো হবে না।
সেদিন দোষীরা শাস্তি পায়নি
আজো পাবে না।
আর এভাবে হত্যাকাণ্ড
চলতেই থাকবে। প্রধানমন্ত্রী-বিরোধীদলীয়
নেত্রী একইভাবে শোক প্রকাশ করবেন।
একই বুলি আওড়াবেন মন্ত্রীরা
শোনো হে! এর নাম বাংলাদেশ।
এখানে হরতাল, লঞ্চ ডুবি
সড়ক দুর্ঘটনা সব একইভাবে
ঘটে। এখানে রাজনীতি একই
চক্রে ঘুরপাক খায়।
এখানে নোংরামিগুলো একইভাবে খায়।
এখানে ৫ বছর পর একইভাবে
ভোট হয়। একইভাবে তারা মিথ্যা
বলে ক্ষমতায় আসে।
একইভাবে গনতন্ত্রের নামে পাবলিকরে
ধর্ষণ করে।
একইভাবে একই হতাশায় একইভাবে
আমরা বেঁচে থাকি.... বারবার
একই দীর্ঘশ্বাস বের করি..
তোমরা কি কেউ জানো
কবে এই একই বৃত্ত থেকে
বের হবো আমরা.. কবে আবার
জেগে উঠবো?
জানো না..কারণ বারবার তোমরা
একইভাবে ভাবো
তোমরা ভাবো না
পুরোনোদের ছুড়ে ফেলে
তোমরা নিজেরাই দায়িত্ব নেবে
তোমরা ভয় পাও নিজেরা
রাজনীতি করতে, আর
তাই বারবার তোমাদের
একই পরিনতি...
ভাবো এবার...দেখো
বিপ্লবটা করবে কি
না এবার, নাকি একই
বৃত্তে আটকে থাকবে..