ইন্টারন্যাশনাল কোন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় কোন খেলা শুরুর আগে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয় নিজ নিজ দেশের। তখন দেখি খেলোয়ার ও দর্শকরা নিজ নিজ দেশের জাতীয় সঙ্গীত গায় কত আবেগ ও প্রেম নিয়ে। সে দৃশ্য দেখে নিজেও আবেগে আপ্লুত হই। আর যখন নিজের দেশের জাতীয় সঙ্গীত শুনি বা গাই তখন যেন দেহ ও মনে এক অন্য রকম শিহরন জেগে উঠে যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
বিদ্যালয়ে প্রাত্যহিক সমাবেশে যখন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় তখন দেখা যায় অনেকের কাছে যেন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া টা বিরাট এক বোঝা। কোন রকমে ঠো*ট মিলিয়ে শেষ করতে পারলেই যেন বাঁচে। আর তখন তা সহ্য হয়না । আর কিছুর জন্য না হোক এ কাজের জন্য কিছু কথা ছাত্রীদের শোনাতে হয়। তারপর ও কেন জানি তাদের মধ্যে কোন ভাবান্তর হয় না।
আজ সকাল বেলা সময় টিভিতে নববরষের অনষ্ঠান রমনা বটমূল থেকে লাইভ দেখাচ্ছিল। তখন দেখলাম জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হচ্ছে সমবেত কন্ঠে। কিন্ত বেশিরভাগ মানুষকেই দেখলাম জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় যেভাবে সোজা হয়ে দাড়াতে হয় সেভাবে দাড়ায়নি। কাউকে দেখলাম সামনে দুহাত বেধে , আবার কাউকে দেখলাম হেলে দুলে জাতীয় সঙ্গীত গাইছে।
টিভির পর্দায় দেখলাম ড. জাফর ইকবাল ও জাতীয় সঙ্গীত গাইছেন হেলে দুলে। উনার মত একজন ব্যাক্তির কাছ থেকে এটা আশা করি নাই। বর্তমান তরুন প্রজন্ম কিশোর প্রজন্ম উনার মত ব্যক্তিদের দ্বারাই চালিত হচ্ছে। উনাদের কথা শুনছে উনাদের ফলো করছে। তাই তাদের কর্মকান্ডে এমন ভুল কিছু থাকা উচিত না যাতে করে কেউ ভুল শিক্ষা নিতে পারে।
জাতীয় সঙ্গীত সঠিকভাবে দাড়িয়ে না গাওয়া টা জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা করা। আর জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা করা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল নয়কি ?
আর যে জাতীয় সঙ্গীতে অবমাননা করতে পারে সে কি দেশপ্রেমিক হতে পারে ?