আজ আমরা দেখব কিভাবে হাতের তালুর ভিতর দিয়ে যেকোন বস্তুকে কিভাবে দেখা যায় এবং কেন এরকম ঘটে তার একটি ব্যাখ্যা ।
কি কি লাগবে
* একটি পেপার ।
* হাতের তালু ।
* আপনার দুই চোখ।
* একটি ক্যালেন্ডার ।
কিভাবে করবেন
প্রথমে ক্যালেন্ডারটিকে দেয়ালে ঝুলিয়ে দিন । নির্দিষ্ট করে নিন আপনি ক্যালেন্ডারের কি দেখতে চান । তারপর পেপারটিকে ফোল্ডিং করে টিউবের মত করুন । এখন বাম চোখ বন্ধ রেখে ডান চোখ দিয়ে ঐ টিউবের একপ্রান্ত দিয়ে ক্যালান্ডারের দিকে তাকান। এরপর ডান চোখ বন্ধ করে বাম চোখ দিয়ে দেখুন । এখন টিউবের প্রান্তের কাছাকাছি আপনার এক হাতের তালু মেলে ধরুন । এবার বাম চোখ বন্ধ করে ডান চোখ খুলে দেখুন । তারপর উভয় চোখ মেলে দেখুন ।
কি দেখতে পাচ্ছেন ? দেখতে পাচ্ছেন হাতের তালুর মধ্যে একটি গোলাকার ছিদ্র এবং ঐ ছিদ্রর ভিতর দিয়ে ক্যালান্ডারটির ঐ অংশ দেখা যাচ্ছে ।
কেন এমন হয়
যখন আমাদের চোখে কোন বস্তু থেকে আলো এসে পড়ে তখন চক্ষু লেন্সের মাধ্যমে চোখের রেটিনাতে গিয়ে পড়ে এবং রেটিনাতে বস্তুর্ একটি ইমেজ তৈরি হয় ।
এই রেটিনা অনেকগুলো সেনসিটিভ নার্ভের একপ্রান্তের সাথে যুক্ত থাকে এবং নার্ভগুলোর অন্য প্রান্ত শেষ হয় মস্তিষ্কের গভীরে । যখন কোন আলো রেটিনার সেনসিটিভ নার্ভের প্রান্তে এসে আঘাত করে তখন এক প্রকার ইলেকট্রিক স্রোত ব্রেনের নির্দিষ্ট স্পটে পৌছায় ।
মস্তিষ্ক নার্ভের মাধ্যমে হাজার হাজার ইলেকট্রিক মেসেজ গ্রহণ করে । রেটিনায় তৈরি হওয়া প্রত্যেকটি ইমেজ এক একটি ভিন্ন ভিন্ন প্যাটার্নের ইলেকট্রিক মেসেজ তৈরি করে। মস্তিষ্ক সব মেসেজ গুলো একত্রে রিকগনাইজ করে ফলে বস্তুটি দেখতে পাওয়া যায় ।
আপনি এক হাত দূরত্বে হাতের তালু ধরে আঙ্গুলে উপর দিয়ে এক চোখ বন্ধ করে দেখুন আবার অপর চোখ বন্ধকরে দেখুন । মনে হবে যেন ব্যাকগ্রাইন্ড একটু সরে যাচ্ছে। ঠিক এধরনের ঘটনাই ঘটে যখন টিউবের ভিতর দিয়ে দেখি । যখন টিউবের ভিতর দিয়ে তাকাই তখন গোলাকার ছিদ্রে রিং এর মত করে ছবি দেখি যা অন্য চোখ দেখতে পায়না । আবার অন্য চোখ দিয়ে হাতের তালু দেখি কিন্তু টিউবের ভিতরের মত দেখিনা । ফলে দুই চোখে যে ভিন্ন ভিন্ন ভিউ হয় তা রেটিনাতে দুই ধরনের ইমেজ তৈরি হয় যা নার্ভের মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌছায় এবং একই সাথে দুই ধরনের বস্তু দেখা যায় । তখন মনে হয় যেন হাতের ছিদ্রের ভিতর দিয়ে দেখছি।
আমার শিক্ষার আলো ব্লগ দেখুন।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১:২৪