স্বামী তার স্ত্রীকে বললেন
তুমি জব করতে চাইলে করতে পারবে । প্রয়োজনে আমি তোমাকে সাহায্য করব উত্তম কর্মসংস্থানের জন্য । তাহা বাইরে হোক আর ঘরোয়া হোক । এজন্য নয় যে তোমার সে আয় আমার জন্য খুব বেশি দরকার । তুমি এতটা পড়েছো তোমার পরিবার প্রতিবেশি সকলেরই প্রত্যাশা তৈরী হয়েছে যেমন টি আমার বেলাতে হয়েছিল । আমি তাদের প্রত্যাশা পূরণ করে তাদের পাশে দাড়াতে পারছি আত্মমর্যাদা নিয়ে । আমি চাই তুমিও তাই কর যতটা সম্ভব । আর তোমার শিক্ষা এবং জ্ঞানের প্রতি আমার ভরসা আছে । আমি চাই এ সুশিক্ষা আর জ্ঞানের আলো অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক । হ্যা এর জন্য হয়তো ভোগবিলাসের জীবন আমরা একটু কম পাব তবুও যদি সবাই ভালো থাকে আমাদের একটু আত্মত্যাগে যদি সবার ভালো হয় তুমি কি আমার সাথে সে কষ্টে অংশ নিবে ??
স্ত্রী মৃদু হেসে বললেন
আলহামদুলিল্লাহ । কেন নিবনা স্বামী ? আপনি যা ভাল এবং সুবিচার বলে মনে করবেন । পার্থিব জগতের বিলাসিতা আমার চাইনা স্বামী পরকালে আমরা অনন্তকালের জন্য একসাথে থাকতে চাই । আর আমি জানি কোন স্বামী যদি তার স্ত্রীকে কর্মসংস্থানের জন্য বাইরে প্রেরণ না করে তার মানে স্ত্রীর সাথে তাহার প্রতিযোগিতা শত্রু শত্রুর সম্পর্ক থাকেনা বরং উনি নিজে কষ্ট পরিশ্রম করে সবাইকে ভাল রাখতে চান। আর এ মহৎ কার্যে যদি একটু তাহার পাশে থাকতে পারি তবে নিজের কাছেও একটু ভাল লাগবে ।
আর এ তো অতি উত্তম প্রস্তাব । অলস মস্তিষ্ক শয়তানী, কুৎসা রটানো থেকে বরং রক্ষা পাবে ।
দু'জনে মনে মনে বলতে থাকেন :::::::
আল্লাহ তোমাকে অনেক শুকরিয়া আমাকে উত্তম জীবন সঙ্গী দান করার জন্য । জানিনা কোন পূন্যে তুমি আমার জন্য এমন উত্তম প্রতিদানের সুব্যবস্থা করে রেখেছিলে । আজ আমি অনেক খুশি । আমরা যেন এভাবে একে অন্যকে বুঝে জীবনের বাকী সময় পার করতে পারি । আমাদের জন্য ইহকালীন কল্যান আর পরকালীন মুক্তি প্রত্যাশা আর আর প্রার্থনা করছি তোমার কাছে ।
স্বামী :::::: এসো দুজনে এবার দু'রাকাত নফল নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি ।
স্ত্রী :::::::::: জ্বী ,স্বামী চলুন ।