মামা দুই মাসের ছুটিতে দেশে আসছেন। তাঁর ছুটি শেষ। মালয়েশিয়া থেকে দুই মাস আগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ফিরতি টিকিট কাটা হয়েছে। ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ৩ জানুয়ারি রাত ১০.৪০ এ ফ্লাইট। তিন তারিখে বিমানবন্দরে যাওয়ার পর একটা কাগজ ধরিয়ে দিয়ে তাকে বলা হয়, ৫ জানুয়ারি রাত ১০.৪০ এ ফ্লাইট। ৫ জানুয়ারি বিমানবন্দরে যাওয়ার পর বলা হয়, ৬ তারিখ রাতে ফ্লাইট। তারপর কারণ জিজ্ঞাসা, ট্রাভেল এজেন্সিকে ফোন, হম্বিতম্বি করার পর বলা হয়, ৬ তারিখ সকাল ৮ টায় ফ্লাইট। এদিকে ৬ তারিখ হরতাল। মামা বিমানবন্দরের ভিতরেই আছেন। তিনি বললেন, তাঁর মতো ৫০-৬০ জন মালয়েশিয়া গামী যাত্রী ভিতরে আছেন। ২-৩ এমনকি ৪ দিন ধরে তাঁরা অপেক্ষায় আছেন। তাদের বোর্ডিং পাস হয়ে গেছে। কিন্তু ফ্লাইট যাচ্ছে না অথবা সিট পাচ্ছেন না। এই হলো বিমান।
আমি ভাবছি রেমিটেন্সের কথা। দেশের অর্থনীতি রিমিটেন্সের ওপর দাঁড়িয়ে। সেই রেমিটেন্স যারা পাঠান, তাদের সঙ্গে এই হলো বিমানের আচরণ।
মালয়েশিয়ার যে কোম্পানিতে মামা কাজ করেন, তার মালিক একজন চীনা। প্রথমদিন ফ্লাইটের সময়সূচি পরিবর্তন হওয়ার পর চীনা ভদ্রলোক অন্তত পাঁচবার ফোন করেছেন। তাকে কিছুতেই বোঝান যায়নি, এটা আমাদের সমস্যা না। সমস্যাটা বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের। তাঁর এক কথা, তোমরা দেরি করে গেছ। তাই ফ্লাইট ডিলে।
শেষে আমিও তাঁকে বোঝাতে পারিনি যে, এটা বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সমস্যা। তাঁর যুক্তি এয়ারকর্মীর এতো সময় কোথায় যে, তোমাকে নিয়ে ভাববে! ভুলটা তোমাদের। সময়মতো যাওনি।
তাকে বলতে ইচ্ছে করলো, বিমানে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়। তা আপনি জানেন কি? কিন্তু বলিনি।
আজ এক সাংবাদিক জানালেন, বোর্ডিং পাস হওয়ার পর যাত্রীদের খাওয়া খরচ বাবদ বিমান মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। মামা মনে হয় সেই গ্যাড়াকলেই পড়ে গেছেন।