কলম ছেড়ে ছন্দরা আজ ফেরার হওয়ার ডাক দিয়েছে,
বিশাল বপুর মাত্রা আছেন, ভিনদেশী রূপ সনেট পিছে,
অক্ষর আছেন সামনে সবার, নবীন পথিক গদ্য আছে,
কঠিন ক্ষোভেও স্বর দেখা যায় মিষ্টি ঠোঁটে হাসছে মিছে।
বাঁধাই করা প্ল্যাকার্ড গুলো লাল কালিতে জ্বলছে দ্রোহে,
কাব্য কেন ডাস্টবিনে আজ বিকছে কলম কিসের মোহে,
অযুত জাতের নিযুত কবির ঝরতেছে প্রেম কার বিরহে,
হতাশ কথার দুঃখের মালা ত্যাগের গান আর কত্ত সহে?
লিপস্টিক হয় কবির বিষয় লিখছেন আবার শরীর নিয়ে,
প্রেমীর ঠোঁটের এইটুকু তিল কিংবা চোখের কাজল ধুয়ে,
কেউ বা আবার হলেন কবি অতীত প্রেমের সাধক হয়ে,
পশুর জবাই খুব বড় দোষ কবির ভাষায় ভাসছে বইয়ে!
লিখছে সবাই নিজের মতন চায় যা তাঁদের নিজের মনে,
দোষ কিছু নেই লিখতে কিছুই সবাই রাজা আপন বনে,
তবুও থাকে দুই এক কথা সমাজ তোমায় মানুষ জানে,
করছ কী কাজ সবার তরে; বলতে তাঁদের বাঁচার মানে?
মরছে আজও হাজার মানুষ শক্তিমানের চাওয়ার জোরে,
মানব মনের আঁধার আজও হাজার ঢঙে আসছে ফিরে,
দুই পা ওয়ালা দানবরা আজ মানব সমাজ শাসন করে,
কোথায় কবি থাকলে তাঁরা জ্বালতো আগুন কবির সুরে!
নেই বলে কেউ আসল কবি কালোর ছায়া মিইয়ে দিতে,
সাহস বুকে কাটতে পাপের গোপন গভীর লালচে ফিতে,
ওম দিতে কেউ নাই থাকাতে মনের ঘরের ভয়াল শীতে,
ঢুকবে না আর ছন্দরা কেউ আলতু কবির ফালতু গীতে!