বিধাতারে কেন খুজিছ জনাব, একটু তাকাও নিজের ঘরে,
এই দুনিয়ার বিধাতা তোমার, আছে কি সুখে নাকি অনাদরে?
সৃষ্টি করেই না-দেখা খোদা, এত গুণ-গান একা পেলে পরে,
জন্ম দিয়ে মা কেন তবে, জীবন পথের শেষে এসে হবে,
একটু সুখ আর হাসির অভাবী, কথা না বলা; না খাওয়া স্বভাবী,
জীর্ণ পোশাকী ঘর-কোণবাসী, কেনবা সে যাবে বৃদ্ধাশ্রমে?
নিজে খাবে সুখে মণ্ডা-মিঠাই, বউ পাবে পুরো মাসের কামাই,
সন্তানেরা আরও এক ধাপ, যা চাবে পাবে বেগায়রে হেসাব,
মনে করে দেখো ছোট্ট বেলায়, সখ যা তোমার সাধ্যে কুলায়,
পুরিয়েছে মা নিজে না খেয়ে, আজকে তুমি সুযোগ পেয়ে,
দিচ্ছ কি কিছু প্রতিদান তার, নাকি শুধু তাঁর ঋণের পাহাড়-
করে চলেছ উঁচু থেকে উঁচু, অবহেলা আর কষ্ট দিয়ে?
গুরুজনেরা বলে গেছে কবে, মানব সেবাতেই ঈশ্বর পাবে,
জনসেবা তাই করছ মনে-প্রানে, সরবে অথবা সন্তর্পণে,
আগে নাও দেখে মানুষ কি তুমি? নাকি বিধাতার চরণ চুমী,
পার হওয়ার স্বপ্নে হয়েছ মত্ত, জেনে রেখ এক নিশ্চিত সত্য,
অখুশি মায়ের সন্তান হলে, তুমি অমানুষ যাবে নরকের কোলে,
কেননা বিধাতা রেখেছেন স্বর্গ, শুধুই মায়ের পায়ের তলে...!!!