সূরা আল-আহযাব নাজিল হয়েছিল হিজরি ৫ সালে অর্থাৎ ইংরেজি ৬২৭ সাল। সূরা আল আহযাবের ৫২ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ তার নবী মুহাম্মাদের জন্য নতুন করে বিয়ে করা তখন থেকে হারাম করে দিয়েছিলেন।
[[“সূরা আল আহযাব:52 - এরপর আপনার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন।”]]
[[উল্লেখ্য:- মোহাম্মদের দাসী মারিয়াকে কেন্দ্র করে মুহাম্মাদের স্ত্রী ওমরের মেয়ে হাফসা এবং আয়শাসহ অন্যান্য বিবিরা মিলে মোহাম্মদের লাগামহীন বিয়ে এবং দাসী নিয়ে গন্ডগোলে লিপ্ত হলে তাদেরকে শান্ত করতে আল্লাহ সূরা আল আহযাবের ৫২ নাম্বার আয়াতে মুহাম্মাদের জন্য নতুন করে বিবাহ হারাম করে দেন। অতঃপর বিবি ও দাসীরা শান্ত হন।]]
কিন্তু মোহাম্মদ তারপরেও আরো ৪ টি বিয়ে করেছিলেন। তিনি এই আয়াত নাজিলের ১ বছর না যেতেই অর্থাৎ হিজরি ৬ সালে (ইংরেজি ৬২৮ সালে) জুওয়াইরিয়া বিনতে আল-হারিস এবং রামালাহ বিনতে আবি সুফিয়ানকে বিয়ে করেন। তার আরেক বছর না যেতেই অর্থাৎ ইংরেজি ৬২৯ (আরবি হিজরি ৭) সালে সাফিয়া বিনতে হুওয়াই এবং মায়মুনা বিনতে আল-হারিস এ দুজনকে করেন আরো দুটি বিয়ে। পরিশেষে শেষ বিয়ের প্রায় তিন বছর পর হিজরি ১১ সালে [ইংরেজী ৬৩২ সালে] তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
তার বিয়ে নিষিদ্ধের আয়াত আসার পরও আরো ৪ টি বিয়ে করা কি স্পষ্ট কোরআন বিরোধী নই? কোরআনের আইন [সূরা আল আহযাবের ৫২ নং আয়াত ] কি এখানে লঙ্ঘিত হয়নি?
[[মনে রাখবেন, ধর্মান্ধ হতে অজ্ঞতাই যথেষ্ট ,আর ধর্ম নিয়ে নিঁখুত তথ্য উপস্থাপন করতে প্রয়োজন স্টাডি ও গবেষণা। আবেগ দিয়ে মুখে এবং মাথায় যা আসলো তা করে বা বলে বসলেই হলো না। পারলে কোরআন দিয়ে প্রমাণ করুন।স্টাডি করুন। চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে কোরআন দিয়ে চ্যালেঞ্জ করুন]]
দেখে নিন সূরা আল আহযাব নাজিলের সাল [উইকিপিডিয়া]
দেখে নিন পরবর্তীকালের ৪ জন স্ত্রীর নাম ও বিয়ের সাল। [উইকিপিডিয়া]