অবকাশ লগ্নে বসে ভাবি নিরালায়
শূন্যে বেঁচে রয় নারীকুল এ ধরায়।
পূর্ব পশ্চিম দশ দিক ঘুরে
আপন আবাস তার পাবেনা খুঁজে।
জন্ম লগ্নে কত শত কালো মুখ তার তরে
সে হতেই অবহেলায় নারী অপরাপরে।
শৈশবে বুক ভরা স্বপ্নে সাজায় বাপের ভিটা,
ক'দিন পর সেই বন্ধনে পড়ে যায় ছিটা।
আপন স্বজন সাথী ছেড়ে বুক ভরা বিষাদে হায়,
একেলা যায় সে চলে যায়,
বহু দূরে অচিন ঠিকানায়।
অচিন দেশে অচিন লোক কত প্রভাব খাটায়,
বুঝেনা কষ্ট কেউ তার এই দুনিয়ায়।
একফোঁটা নিরব অশ্রুর স্বাধীনতা তার,
থাকে না যে আর,
কষতে হয় যত হিসাব তাকে আজ এই দুনিয়ার।
তবুও স্বমীর পানে চেয়ে নারী রয় পরবাসী,
সেই ঘরে কেউ তারে ভেবে নেয় দাসী।
সময় ফুরিয়ে গেলে কেউ তারে করে একেলা,
পথহারা এ নারী কখনো হয়ে যায় দু'কূল হারা।
কত পানে চেয়ে রয় একটু সুখের আশে,
রং ফুরালে বল তারে কে আর ভালোবাসে?
তবুও চেয়ে সে বাছাধনের পানে,
ভুলে যায় দুনিয়ার সব দুঃখের মানে।
স্বামীর ঘর হয়ে গেলে আলাদা,
সন্তান করে তার নতুন স্বজন পয়দা।
নব বধূ পেয়ে কেউ মা দেয় ছাড়ি,
এই সংসারে বল আছে কি তার বাড়ী?
এত কষ্টের ধন কে যে করে নিল চুরি
কার ভিটায় কার খেয়ে আজ কার বাহাদুরি !
বাড়ী যদি হয়ে যায় তার বৃদ্ধাশ্রম,
হেসে হেসে কয় মা স্বার্থক আমার শ্রম।
এতদিন ছিলে বাছা অভাব আর দুঃখে,
ছেড়ে দেব স্বামীর ভিটা, যদি রয় বাছা সুখে।
তবুও সে সুখি আজ সন্তানের সুখে,
কত খাবার ফেলে বাছা, মাছি উড়ে মায়ের মুখে।
শেষ বেলায় এসে নারী দিন গুনে কবরের,
মৃত্যুর সংবাদ আসেনা তার পাতা জুড়ে খবরের।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৩৬