অাজকের পৃথিবীতে আমরা যা কিছুই ভোগ করছি না কেন, তার প্রতিটি জিনিসই কারো না কারো অতি শ্রমের বা ঘাম ঝরানো কষ্টের ফসল।
প্রতিদিন সকালে আমি বা আপনি ঘুম থেকে উঠে বিছানা ছেড়ে ফ্রেস হয়ে কেউ কেউ ইবাদত সেরে নাস্তা্ করে ব্যস্ত হয়ে পড়ছি স্ব স্ব ক্ষেএে বা পৃথিবীর কোন না কোন সুুন্দর্য্য উপভোগ এর উদ্দেশ্যে । কিন্তু এই অতি সাধারণ বিষয়টিকে আমাদের কখনও এভাবে ভেবে দেখার সময় হয় না যে, যেই তুলতুলে বিচানাটির কোমল স্পর্সে আপনি স্বপ্নের ঘুমে বিভোর হয়ে পড়ছেন, সেই বিছানার লেপ, কাথা, কম্বল আর বালিশটিসহ এর প্রতিটি জিনিসই কেউ না কেউ একজন কোন এক দোকানে বা কারখানায় নিজে তন্দ্রাবিহীন থেকে আগে আপনার জন্য এতটা আরমদায়ক হিসেবে তৈরি করে দিয়ে তারপর সে ক্লান্তময় শরীর নিয়ে শক্ত মেঝেতে বিছানাহীন কাত হয়েই হয়ত দরিদ্রতাকে সগ্ঙী করে ঘুমিয়ে পড়েছিল। তারপর অাপনি বিছানা ছেড়ে যেই ফ্লোরো পা রাখলেন, ফ্রেস হতে গিয়ে যা যা ব্যবহার করলেন, যা দিয়ে নাস্তা করলেন অার যেই রাস্তা দিয়েই বের হলেন, সবইতো কারো না কারো রক্ত অার ঘামঝরানো শ্রমের তৈরি। অাজ যেই জামাটি পরে অায়নায় বার বার নিজেকে দেখছেন সেটি হয়ত রানা প্লাজার কারো হাতের তৈরি। যাদের দেহ চাপা পড়ে কলিজা ভেদ করেছে ভাগ্ঙা প্র্রাচীরের অসংখ লোহা,শত অার্তনাদ অার চিৎকারের পরেও যাদের অামরা বাচা্ঁতে পারিনি, দুধের বাচ্চাকে রেখে কত মাকে সেদিন মরে পঁচে জেতে হয়েছে। কী বীভৎস সেই কাহিনী.........! পেয়েছে কি তারা অদৌ তার বিচার.....! মালিক পক্ষের কত না চড়ের দাগ এদের শ্যাম বর্ণের গালকে অারও কালো করে দিয়েছিল। তার অার সংখ্যা নাই। অার এদের নামই হল শ্রমিক। যারা নিজ সুখ বিলিয়ে দেয় অন্যের সুখে।
সুতরাং শ্রমিকের শ্রম দ্বারাই যে আজকের পৃৃথিবী এত সুন্দর এতে কোন সন্দেহ নাই। পৃথিবীর যেই জিনিস যতবেশি সুন্দর সেই জিনিসে শ্রমিকের ততবেশি রক্তঝরা ঘাম মিশে রয়েছে। অাসুন অাজকের এই দিনে অামরা সবাই শ্রমিকের মুখে একমুঠো ভাত তুলে দেওয়ার আন্দলনে ন্যায্য মজুরি অাদায়ের দাবির সাথে একমত পোষন করে সকল প্রকার শ্রমিদেরকে কখনো কোনোভাবে না ঠকানোর প্রতিজ্ঞায় অাবদ্ব্ হই । অার সেই সাথে রানা প্লাজার সকল মৃত শ্রমিকের অাত্মার মাগফেরাত কামনা করি এবং রানার কঠিনতর শাস্তির দাবি জানাই।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০১৬ রাত ১:৪৯