চাঁদ দেখা ছাড়া ঈদ উদযাপনে আলেমরা রাজি হন না এবং এ নিয়ে যত বৈজ্ঞানিক যুক্তি বা আলোচনা হোক তারা তা মানবেন না। বিষয়টি অনৈক্যের দৃষ্টান্তছাড়া কিছুই নয়। কুরআন ও হাদিসের আলোকে বলব-চাঁদ সকলকে দেখতে হবে এমন কোনো শর্ত নেই। স্বচক্ষে দেখে অথবা দেখার সংবাদ শুনে চাঁদের উদয় প্রমাণিত হবে।
নতুন চাঁদ পৃথিবীর সকল অঞ্চলে একই সময়ে উদিত হয় না। দৃষ্টিহীন অথবা স্বল্পদৃষ্টিসম্পন্ন কেউ চাঁদ দেখতে পারে না। [গাঢ়]চাঁদ দেখার ব্যাপারে সৌদি আরব, বাংলাদেশ, ভারত, মিসর বা কোনো দেশের জনগোষ্ঠীকে নির্দিষ্ট করে দায়িত্ব দেয়া হয়নি।[/গাঢ়]
[গাঢ়]মক্কার সঙ্গে ঢাকার সময়ের পার্থক্য তিন ঘণ্টা। এ দুটি স্থানের ঈদের পার্থক্য এক থেকে দুদিন গ্রহণযোগ্য নয়।[/গাঢ়] বাংলাদেশের মানুষ আরাফাতে হজের দৃশ্য টেলিভিশনে দেখেন। শরীয়তের নির্দেশমতে আরাফাতের পরের দিন ঈদুল আযহা। এর পরও চাঁদ না দেখার অজুহাতে আরাফাতের পরের দিন নফল রোজাটি করতে গিয়ে একটি রোজা হারাম করে ফেলেন। অথচ পৃথিবীতে স্থানভেদে সময়ের ব্যবধান সাড়ে 10 ঘণ্টার বেশি নয়। মধ্যপ্রাচ্য থেকে হিসাব করলে পৃথিবীর জনবসতিপূর্ণ স্থানগুলো ও সময়ের ব্যবধান আরো কম। এসব বিষয় বিশ্লেষণ করে ওআইসির সিদ্ধান্তহচ্ছে, প্রথম চাঁদ দেখাকে ভিত্তি করেই প্রতিটি মুসলিম দেশ একই দিন রোজা শুরু ও ঈদ পালন করবে। কিন্তু আলেমরা এর বিরুদ্ধে যাবে এ ভয়ে বাংলাদেশে এ নিয়ম অনুসরণ করা হচ্ছে না।
শুরু থেকে আরবে একই দিন ঈদ হতো। খলিফা ওমরের (রা.) শাসনামলে 16 লাখ বর্গমাইলের সাম্রাজ্যে চাঁদ দেখার খবর সর্বত্র পেঁৗছে দিতেন ঘোড় সওয়াররা। কিন্তু 401 থেকে 801 হিজরি পর্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন দিনে ঈদ উদযাপিত হলেও এর পর দীর্ঘদিন এ বিতর্ক ছিল না। ঈদ নিয়ে ফের পুরনো বিতর্ক শুরু হয় ব্রিটিশ আমলে। এ বিতর্ক অনৈক্যের প্রতীক। [গাঢ়]যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল কিনটন মুসলমানদের দুটি ঈদে ছুটি দিতে চাইলেও তা কার্যকর করতে পারেননি। কারণ কোন দুটি দিনে ঈদ হবে এ নিয়ে আলেমদের বিতর্কের সুরাহা এখনো হয়নি।[/গাঢ়]
আমরা মুসলিমরা কি চাঁদ নিয়ে মতৈক্যে আসতে পারি না? শান্তির ধর্মে এ কোন বিভাজন!
হে আল্লাহ আমাদের সুমতি দাও।
অনুপ্রেরনাঃ
সতীর্থ ব্লগার রেজওয়ান এর [link|http://www.somewhereinblog.net/pata/post/19817|Pvu` wb