আমরা কোন পর্যায়ে পৌঁছে গেছি? কী হচ্ছে মানব বন্ধন আর প্রতিবাদ সমাবেশ করে? শিউরে উঠছি। ভাবতে পারছি না।
স্কুল পড়ুয়া দুই ভাইকে কুকুরের খাঁচায় বন্দী করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বরইবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের এক সদস্যের বিরুদ্ধে।
কোমলমতি দুই শিশু শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন এলাকাবাসী। নির্যাতনকারীর বিচার দাবিতে সোমবার মানববন্ধনসহ বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নির্যাতিত শিশুদের সহপাঠী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা ।
জানা যায়, গত ২০ মার্চ নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের হোগলাবুনিয়া গ্রামের আকিকুর রহমানের দুই ছেলে বরইবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম ও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র দীপু ও অপু পার্শ্ববর্তী মাঠে মাছ ধরতে যায়। এসময় জমির মালিক পান্না সেখ দুই ভাইকে বেদম মারধর করে। একপর্যায়ে বাড়িতে নিয়ে এসে কুকুরের খাঁচায় আটকে রাখে। এরপর বড় ভাই অপুকে খাঁচা থেকে বের করে গোসল করিয়ে কলেমা পড়িয়ে জবাই করতে যায়। এসময় ছোট ভাই দীপু চিৎকার করতে থাকে। তবে নির্জন স্থানে বাড়ী হওয়ায় কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে পান্না সেখের স্ত্রী দৌড়ে গিয়ে মানুষজন ডেকে এনে অপুকে উদ্ধার করে।
ঘটনার পর স্থানীয়ভাবে বিচার চেয়েও পায়নি দুই সহোদরের বাবা। পরে নাজিরপুর থানায় মামলা করতে গেলেও মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে ওই ঘটনার জের ধরে সোমবার সকালে অপু-দীপুর বিদ্যালয়সহ স্থানীয় কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। বরইবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমার রায়, বরইবুনিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক মলয় মালাকার, মাটিভাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম এবং ভুক্তভোগীদের বাবা আকিকুর রহমান।
এসময় তারা দীপু ও তার ছোটো ভাই অপুর ওপর নির্যাতনে জড়িত ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ সদস্য পান্নাকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।
সোর্স
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৮