কেন অবাধ্যতা
শৈশব পেরিয়ে কৈশোরের শুরুতে টিনএজারদের দেহমনে যে পরিবর্তন আসে, তাতে সে অনেকটাই বদলে যেতে পারে। এ সময় তার মধ্যে স্বাধীনচেতা মনোভাব গড়ে ওঠে। নিজের ভালো-মন্দের বিষয়ে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে চায়। টিনএজারদের মানসিকতার এ পরিবর্তন স্বাভাবিক। তবে এ সময় উপেক্ষা বা অতিরিক্ত শাসন_কোনোটাই টিন-মানসিকতা মেনে নিতে পারে না। ফলে মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়।
যেকোনো বিষয়ে নিজের সিদ্ধান্তকে সে সঠিক বলে মনে করে। ফলে খুব সহজেই মা-বাবার সঙ্গে তর্ক করা বা অবাধ্য হওয়ার ঘটনা ঘটে।
শাসন যেন মাত্রাছাড়া না হয়
এ বয়সে সন্তানদের আত্মসম্মানবোধ খুব প্রবল হয়। তাই শাসন যেন মাত্রাতিরিক্ত না হয়। ছোট ভাইবোন বা বন্ধুদের সামনে শাসন বা বকাঝকা করলে সে অবাধ্য হতে পারে। তাই শাসন নয়, সোহাগ দিয়েই তাকে বোঝাতে হবে।
কিছুটা শাসন তো করা যেতেই পারে। কোনো অবস্থাতেই মারধর বা গালাগাল করা উচিত নয়। এতে সন্তানের মনে মা-বাবার প্রতি ঘৃণার জন্ম হয়।
দেখেই শেখে
মা-বাবার ঝগড়া বা পারিবারিক কলহের মধ্যে বড় হলে টিনএজাররা সহজেই মা-বাবার অবাধ্য হয়। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সন্তানকে বড় করে তুলুন। ছোটবেলা থেকেই তাকে শিষ্টাচার শিক্ষা দিন। কৈশোরের শুরু থেকেই ছোটখাটো বিষয়ে সন্তানকে সিদ্ধান্ত দিতে বলুন। তার সিদ্ধান্ত ভুল হলে শুধরে দিন। তাহলে নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিলেও আপনার সিদ্ধান্তের প্রতি সে শ্রদ্ধাশীল হবে।
বন্ধু হোন সন্তানের
টিন-সন্তানদের প্রতি মা-বাবাকে একটু বেশি মনোযোগী হতে হবে। তাকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। তার দুঃখ-আনন্দ-হতাশা_সব কিছু মা-বাবাকে জানতে হবে। তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তৈরি করবেন মা-বাবা। তবে তা গল্পের ছলে। তার বিনোদনে সঙ্গী হোন। তাকে সব সময় উৎসাহিত করুন। মা-বাবা যেমন বন্ধু তেমন মাননীয়, গুরুজন। তাঁদের একই সঙ্গে ভালোবাসতে এবং শ্রদ্ধা করতে হবে। এ বোধ সন্তানের মধ্যে তৈরি করতে পারেন মা-বাবাই। তাই অভিভাবক নয়, বন্ধু হয়ে সন্তানের সঙ্গে মিশুন, শাসন নয়, আদর দিয়ে অভিভাবকত্ব প্রতিষ্ঠা করুন।
আপনাকে স্বাগতম