গরু একটি গৃহপালিত এবং চতুষ্পদী জন্তু। জন্তু বলাতে আমার পাশের খোঁয়াড়ে রাখা গরুটি হাম্বা হাম্বা করিয়া প্রতিবাদ জানাইতেছে, তাহাকে জন্তু বলা যাইবে না। কারণ, কোন কোন ধর্মে তাহাকে দেবতার মূল্য দিয়েছে, ইহাকে পূজো করছে বছরের পর বছর ধরে।
গরুর রয়েছে নানা উপকারী দিক। ইহার গোবর অত্যন্ত ভাল জৈবসার, জমি বা পরিবেশের উপর কোন বিরুপ প্রভাব ফেলে না। জমির উর্বরতা নষ্ট হয় না। গো-মূত্র, যাহাকে গ্রাম্য ভাষায় চুনা বলা হয়। ভারতে কেউ কারো পাছা মাইরা দিলে বলা হয়, “চুনা লাগাইয়া গেছে”। যাই হোক, এই চুনা থেকে তৈরি হয় পবিত্র পানীয় , যা পান করলে স্বর্গে যাওয়া অতিশয় সহজ হইয়া যায়।
গরু আমাদের দেবতা হলেও তাহাকে ম্লেচ্ছ এর কাছে বিক্রি করে দিলে প্রচুর অর্থ লাভ করা যায়। প্রতিবছর আমরা এই চতুষ্পদী দেবতাকে ম্লেচ্ছদের কাছে বিক্রি করিয়া প্রচুর বৈদেশিক মূদ্রা আয় করি।
জন্তু হইলেও ইহাকে দেবতা মনে করিয়া পূজা করা যায়। যুক্তি এই যে, জন্মের পর আমরা গরুর দূধ পান করি। যদিও আমরা মায়ের পেটে দশ মাস দশ দিন অবস্থান করে তীব্র যন্ত্রণা দিয়ে জন্মগ্রহণ করি এবং সর্বপ্রথম মায়ের দূধই পান করি, তারপরও গরুকেই আমরা দেবতা মান্য করি। মায়ের সাথে বেয়াদবী করা যায়, তাকে অপমান করা যায়, ভাত-কাপড় না দিয়ে তাকে ঘর থেকে বের করে দেয়া যায়, আশ্রমে রাখা যায়। কিন্তু গরু যে চতুষ্পদী হে, তার এই অতিরিক্ত দুই খানা পায়ের কারণে তাকে আমরা দেবতা মানি, পূজা করি ।
এই দেবতাকে নিয়ে ব্যবসা করার কারণে আমরা এক আদম সন্তানকে উল্লঙ্গ করিয়া নৃত্য করিয়াছি।
আর ভাল্লাগছে না রচনা লিখতে। রচনা কমন পড়ে নাই।
ধন্যবাদ সবাইকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৫৭