তাই আজকে আবার কবিতা দিয়ে শুরু করব ভাবছি। আমার সকল সহ ব্লগার, বন্ধু ব্লগার এবং ব্লগ জননীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সকলের প্রতি উষ্ণ অভিনন্দন রইলো। তাঁদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। আশা করি আপনারা সবাই খুব খুব ভাল আছেন।
গুচ্ছ কবিতা
১.
সে যে কোন দুঃখে কাঁদে! না নদী জানে, না সে। পথ পেড়িয়ে সে যদি অন্য কোথাও হারিয়ে গিয়ে আবার কাঁদে, আবার কাঁদে; তাহলে হয়তো তাকেই জীবনের রসায়ন বলে।
২.
জলমগ্নতার ইতিহাস পুরোনো। ধারাবাহিকতার ধারায় ডুব দিয়ে সে কখনো মানুষকে বোঝেনি। কিই বা এমন ক্ষতি হবে যদি সে আর মানুষ বিপরীত পথে চলে? হিসেব না মিললেও অনেকে নির্বিকার থাকে। হয়তো বিপরীতে চলেছিল বলে সৌম্য মুখটি তার আর দেখা হয়নি। মুগ্ধ চোখে তিরস্কার করে বলা হয়নি অবুঝ অভিযোগগুলো। কে জানে, হয়তো সেসব শুধু অভিযোগই ছিল, মুক্তির স্লোগান ছিল না।
৩.
আমার দুই বন্ধু এখন সুন্দরবনে। সেখানে না কি বাঘ আর হরিণের মায়াময় প্রেম চলছে। ওরা প্রেমে বিশ্বাস না করলেও জীবন্ত বায়স্কোপ দেখার বিষয়ে অতিমাত্রায় উৎসাহী। মহাসমারোহে একদিন যাত্রা করল বনের পথে। যেতে যেতে বহুদূর পথ পেড়িয়ে তরঙ্গের যোগাযোগ ছাড়িয়ে তারা দু'জনে এখন নিরুদ্দেশ। মাঝে মাঝে ভয় হয়। মুঠোফোনে ধরা যায় না। ফোন দিয়েছিলাম আজ সন্ধ্যায়। ওপাশের মেয়েটি বলব, ওকে সে ধরতে পারছে না। কে জানে কোথায় সে! আমার মন বলছে, তাকে বাঘে খেয়ে ফেলেছে। এরপর দ্বিতীয়জনকে ফোন করেছিলাম। এবারেও মেয়েটি বলল তাকে না কি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। একই নারী কি করে এতোজনকে একসাথে খুঁজে ফিরতে পারে তা আমার বুঝে আসে না। এবারো কেন যেন আমার মন বলল, ওকে বাঘে খেয়ে ফেলেছে। যাহ শালা, সবাইকে বাঘে খেয়ে ফেলছে এখন। ওদেরকে বনের বাঘে খেল। আমাকে তো প্রতিদিনই নাগরিক বাঘে খাচ্ছে।
৪.
সুরম্য বাঁধাই করা মৃদু গুঞ্জনে ভরপুর রেস্তোরাঁয় বসে চিকেন পদযুগল চিবাই আর সাহিত্য নিয়ে বুলি কপচাই। আর্থোপোডার পা কুড়মুড় করে খেতে খেতে ভাবি এই তো অক্টোপাসের জীবন। অর্পিত এবং স্বীয় কার্য সমাপনকল্পে সফলতা শেষে গভীর পানীয় পেটে চালান করে ভাবের জগতে উৎসব উদযাপন করি। অট্টহাসিতে ফেটে পড়ার আড়ালে তীব্র আত্ম অহংবোধে মূর্ছা যাই। ভাবি আমি বিজয়ী হতে পেরেছি। কত শত সহস্র আবেগ যে পেছনে ফেলে তাকে দুমড়িয়ে মুচড়িয়ে আজ এখানে এসে বুক ভরে বাতাস টেনে নিতে পারছি, তার পুরোনো ইতিহাস চোখে ভাসতেই নিজেকে পরাজিত বিবেকহীন ছাড়া মানুষ বলে মনে হয় না কখনো।
৫.
খালি চোখে সব কিছু কেমন নগ্ন লাগে। পোশাক না পাল্টালে বুঝি তাকে বৈচিত্র্য বলে না? কে জানে লোকের কি এমন গভীর চোখ থাকে !!!
ছবিঃ অন্তর্জাল।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০০