১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রাতের অন্ধকারে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরীহ বাঙালির উপর৷ রাজারবাগ পুলিশ লাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল গণহত্যার অন্যতম প্রধান টার্গেট৷ রাশীদুল হাসান সেই সময় থাকতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের (সাবেক ইকবাল হল) পাশে শিক্ষকদের আবাসিক ভবনে৷ চারতলা ভবনটির চার তলায় থাকতেন রাশীদুল হাসান৷ পাশেই ছিল একটি বিশাল বস্তি৷ পাকবাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় আক্রমণের সময় সেই বস্তিতে আগুন লাগিয়ে দেয়৷ হতদরিদ্র বস্তিবাসীরা তখন জীবন বাঁচাতে আশ্রয় নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিভিন্ন আবাসিক ভবনের ছাদে৷ রাশীদুল হাসান যে ভবনে থাকতেন সেই ছাদেও আসে অনেক মানুষ৷ পাকহানাদাররা এক পর্যায়ে সেটি টের পেয়ে যায়৷ তারা তখন সেখানে হানা দেয়৷ এক পর্যায়ে হানাদার বাহিনী ৩২ জন নিরীহ বস্তিবাসীকে নির্মমভাবে সেই ছাদে হত্যা করে৷ যাবার সময় তারা ভবনে বসবাসরত শিক্ষকদের ঘরেও হামলা চালায়৷ রাশীদুল হাসানের পরিবার তখন একটি রুমে ঢুকে খাটের নিচে লুকিয়ে ছিল৷ তিন বেড রুমের দু'টি রুমেই ব্যাপক অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করে হানাদাররা৷ কিন্তু কী ভেবে যেন তারা ওই একটি কামরাতেই হামলা করেনি৷ যদি হামলা করত তাহলে বলার অপেক্ষা রাখে না রাশীদুল হাসানের পরিবারের অবস্থাও হতো সেই বস্তিবাসীদের মতোই৷
ভাগ্যক্রমে সেদিন রাতে বেঁচে গেলেও পাকিস্তানি হানাদারদের হাত থেকে তিনি শেষ রক্ষা পাননি৷ ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর জল্লাদের দল এদেশীয় দোসরদের সহায়তায় তাঁকে ধরে নিয়ে যায় এবং নির্মমভাবে হত্যা করে৷
বাকী অংশ http://www.gunijan.org.bd
বিপ্লবীদের জীবনী জানতে পড়ুন http://www.biplobiderkotha.com