ইসলাম গ্রুপে প্রকাশিত
ভূমিকাঃ
অনেকদিন থেকে মনে হচ্ছে ইসলাম গ্রুপে প্রয়োজনীয় ও কাজের একটা পোস্ট দেয়া দরকার। কিন্তু সময় ও বিষয় নির্বাচন করা হয়ে উঠছেনা।
আজ সাহস করে শুরু করে দিলাম, আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর মেহেরবানীতে যেন প্রয়াসটা সফল হয়। এই আশা রাখি।
ইসলাম ধর্মকে আল্লাহ মানুষের জন্য সহজ করে দিয়েছেন। সর্বকালের জন্য সঠিক জীবনবিধান হিসেবে ইসলাম মহিমান্বিত হয়েছে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর নবুওতি এবং আল্লাহর কালাম পবিত্র কোরান দ্বারা।
দুনিয়ায় একজন সাধারন মুসলমান ও একজন সম্রাট মুসলমানের মধ্যে ইসলাম ধর্মে কোনও পার্থক্য নেই। প্রতিটি মুসলমানের জন্য তাদের নিজ অবস্থানের উপর ইসলামে বিভিন্ন বাধ্য-বাধকতা বা পালনীয় ও বর্জনীয় নির্ধারিত রয়েছে। যেমনঃ যাকাত তাদের জন্য যাদের একটা নির্দিষ্ট আয় আছে এবং এ থেকে উদ্বৃত থাকে। (গরীবের জন্য উপকারী ও ধনীর জন্য ট্যাক্স।)
পবিত্রতাঃ
ঈমান আনয়নের পর ইসলামে প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য নামাজকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর কোরানে বলা হয়েছেঃ
"তোমরা নামাজ কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর..." (সুরা বাক্বারাহ, আয়াত-৪৩)
"নিশ্চয় নামাজ যাবতীয় অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।" (সুরা-আনকাবুত, আয়াত-৪৫)
আর উত্তম ইবাদত নামাজের জন্য দেহ-মন পবিত্র থাকা পূর্বশর্ত। এজন্য প্রয়োজন ভেদে নির্ধারিত নিয়মে ওজু / গোসল করে পবিত্রতা অর্জন করতে হয়। এজন্য কোরআনে আদেশ এসেছেঃ "তোমার পোশাক পবিত্র রাখ এবং অপবিত্রতা থেকে দূরে থাক।" (সূরা মদ্দাচ্ছির, আয়াত-৪-৫)
এরকম আরোও কিছু ব্যাপারে পবিত্রতা আবশ্যকীয় করা হয়েছে।
(ইসলামের দৃষ্টিতে অপবিত্রতা)
শরীয়তের দৃষ্টিতে যেসব কারণে পবিত্রতা বিনষ্ট হয়, তা দুই প্রকারঃ
১) নির্দেশগত (হুকমী) অপবিত্রতা। উদাহরণতঃ যদি কারো বীর্যস্খলন হয় এবং তা যদি নির্ধারিত নিয়মে গোসল না করে বাহ্যত পরিস্কার করাও হয়, তবুও সে অপবিত্র থেকে যাবে। তার জন্য নামাজ, মসজিদে প্রবেশ, কোরান স্পর্শ ইত্যাদি নাযায়েজ। বায়ূ নির্গত হওয়া ও এই প্রকারের অপবিত্রতা। তবে এতে অজুর দ্বারাই পবিত্রতা অর্জন করা যায়। এ ধরনের নির্দেশগত অপবিত্রতা থেকে শরীরকে পবিত্র করাকে "নির্দেশগত পবিত্রতা" বলে।
২) প্রকৃত (হাক্বীক্বী) অপবিত্রতা। বাহ্যিক অপবিত্র বস্তু যেমনঃ রক্ত, মলমূত্র, বিষ্ঠা ইত্যাদির দ্বারা অপবিত্র হওয়া। এগুলো হতে পাক হওয়াকে "প্রকৃত পবিত্রতা" বলে।
বিঃদ্রঃ উভয় প্রকার অপবিত্রতা থেকে মুক্ত হওয়া নামাজ ও নির্দিষ্ট এবাদতের জন্য পূর্বশর্ত।(উমদাতুল-ফিক্বহ)
(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:৩০