বালিকা কিভাবে ভুলবে?
বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় বাঁশবনের ভিতরের পিছল রাস্তায়
পরম নির্ভরতায় তার হাত ধরে হাঁটা,
আশ্বিনের উথালপাথাল জোসনা রাতে নির্জন পথে কাকতালীয় দেখা হওয়া ।
প্রথমবারের মত আলুথালু শাড়ি পরা বালিকাকে দেখে
তার অকারণ উচ্ছাসিত প্রশংসা ।
ভরা বন্যায় এক নজর দেখতে রাতে লুকিয়ে জেলে নৌকো নিয়ে
উজানে চার মাইল নৌকা বাওয়া ।
বর্ষা শেষে ভাঙ্গা মেটে রাস্তায় নিজ উদ্যোগে সাঁকো বানানো
মেয়ের হাটতে কষ্ট যেন না হয় ।
শীতে অল্পে ঠান্ডা হয়ে যাওয়া হাত উষ্ণ করতে
নোটখাতা পুড়িয়ে আগুন জ্বালানো,
বিকেলে বাজার থেকে ফেরার পথে জানালা দিয়ে
টেবিলে মচমচে জিলাপি রেখে যাওয়া ।
বাবার মোটর বাইকে বসতে পিঠে ব্যথা হয়, মিথ্যা বলে
সঙ্গ দিতে দীর্ঘ পথ হেঁটে চলা ।
নিজেকে সবার কাছে হাস্যকর বানিয়ে, বিজ্ঞানের ছাত্র হয়েও অর্থনীতি প্রাইভেট পড়া
মেয়ের কাছাকাছি থাকতে ।
শিমুলের মগডালে ফোটা প্রথম ফুলকে সুন্দর বলায়
কাঁটা উপেক্ষা করে তা ছিড়ে আনা ।
গ্রীষ্মের প্রখর রোদে স্কুল ফেরার পথে ডানপাশে হাঁটা
মেয়েকে ছায়া দেওয়ার লক্ষ্যে।
এতসব পাগলামি আকুলতা যার তরে,
সে মেয়ের পক্ষে কিভাবে ভোলা সম্ভব....
অদ্ভুত মায়াময় সেই গ্রাম্য বালককে?!