হাতের কাছে যা পাবেন তা দিয়েই এই রান্না ট্রাই করতে পারেন।
ছবি নিচে দিলাম। আগে ছবি দেখলে এতো চমৎকার রান্নাটা ট্রাই করার ইচ্ছে চলে যেতে পারে!
উপকরনঃ আমি হাতের কাছে যা যা পেয়েছিলাম।
১। ফ্রিজে রাখা ভাজা মাছ।
২। কাঁচা ডিম।
৩। তিনদিন আগের কাঁটা পেঁয়াজ কাঁচামরিচ।
৪। গ্রাম থেকে আম্মুর পাঠানো বাঁটা মসলা। (কারন আমি মসলা পিষতে পারিনা, তাই আম্মু সব পিষে ফ্রোজেন করে পাঠিয়ে দেন, আমার বাসায় ব্লেন্ডার নাই )
৫। টমেটো।
৬। লবন, গুড়া মসলা, তেল, পানি এইসব তো থাকেই, তাই না!
প্রস্তুত প্রনালীঃ ভাজা মাছ কতদিনের কে জানে, ফ্রাইপেনে তাই আবার নতুন করে ভেঁজে করে নিলাম। ডিম সেদ্ধ হতে সময় বেশি লাগে, অত সময় নাই তাই ওইগুলা পোচ করে নিলাম। এরপর কড়াইটা ঠান্ডা হতে দিলাম কিছু সময়।(কারন তার মাঝে পেঁয়াজ দিলে ছ্যাঁত করে উঠবে। একবার হাত পুড়েছিলাম। এরপর থেকে ফোঁড়ন কিছু দিয়ে রান্না করিনা, সব একসাথে দিয়ে সিদ্ধ।)
ঠান্ডা কড়াইতে কাটা টমেটো( না কাটলেও হবে, সিদ্ধ হলে ঘুটা দিলে এমনিতেই গলে যাবে) কাঁটা পিঁয়াজ, মরিচ, গুড়া মসলা, বাটা মসলা পরিমান মত দিয়ে পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে জ্বাল বসিয়ে দিলাম। রান্না ঘর থেকে যাওয়ার উপায় না, গেলেই আর আসার কথা মনে থাকবে না। তাই এই সময় মোবাইল প্রিয় বন্ধু। চলুক গেম খেলা, বাইক রেস!
পানি মোটামুটি শুকিয়ে আসলে, ভাজা মাছ, পোচ করা ডিম ছেড়ে দিলাম। ধনে পাতা ছড়ালাম উপরে । ঢেকে দিয়ে আর কিছুক্ষন গেম খেলি। মাখা মাখা হলে চুলা অফ করে দিলাম।
পরিবেশনঃ রান্নাঘরের একটা বাটিও পরিস্কার ছিলো না, তাই শোকেস থেকে একটা বের করে তার উপর নিলাম কড়াই থেকে। টিভিতে দেখেছি, টমেটো কেঁটে সাজায়। আমিও দিলাম কাঁটা টমেটো! সাথে ধনে পাতা। টমেটো কাঁটতে সাবধানতা অবলম্বন করেছি! চাকু এতো ধারালো ক্যান! ধনে পাতা হাত দিয়ে ছিঁড়েছি, চাকু ভয় পাই!
এই রান্নার উপকারীতাঃ দুই বেলার জন্য একত্রে রান্না হয়ে গেল। রাতের রান্নার চিন্তা শেষ! কম কথা না। ডিম আর মাছ। দুপুরে ডিম আর রাতে মাছ!
নামকরণঃ ডিম ও ভাঁজা মাছের মাখা মাখা দোঁপেয়াজো! (নামের কৃতজ্ঞতা সিদ্দিকা কবিরস রেসিপি বই)
সমস্যাঃ ডিম রান্না করেছি তিনটা, আমরা বাসায় মানুষও তিনজন। তাই কেউ খেতে চাইলে দিতে পারবো না। তবে ছবি দেখতে পারেন।
মেহমানদারিঃ আফসোস লাগছে রান্না খেতে দিতে পারছি না বলে। তবে আমি মেহমানদারি জানি তাই গ্রামের কুল(বড়ই) দিলাম। খেয়ে নিবেন। ওহ ধুয়ে দিছি। নিশ্চিন্তে খান।