সেদিন সন্ধ্যা বেলায় ইলিশ মাছ কিনে তেতুঁল গাছের নীচ দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন হঠৎ শুনি নাকি গলায় কে জানি পেছন থেকে ডাকছে, এই "শুনেঁ যাওঁ, শুনেঁ যাওঁ" বলে।
পেছন ফিরে দেখি ওমা, তেতুঁল গাছের ডালে এক মোটকা মহিলা পা ঝুলিয়ে বসে বসে তেতুঁল খাচ্ছে পা দুলিয়ে দুলিয়ে। কেমন যেন কোকড়া লম্বা চুল, উচুঁ উচুঁ দাঁত আর হালকা সবুজ গায়ের রং।
আমি তো দেখে অবাক, এমন সবুজ মানুষ আমি আর দেখি নাই।
আমি ফিরে তাকাতে আমায় বলে কিনা, "তোরঁ ইলিশঁ মাছঁ গুলোঁ দিয়েঁ যাঁ! "
এম্নিতেই নাকি স্বরে কথা আমার একদম ভাল লাগে না, এই জন্য আমি শুভ্র দেব আর বেবী নাজনীনের গানই শুনি না। আর আমায় বলে কিনা ইলিশ গুলা আমাকে দিয়ে যা, তায় আবার তুই তোকারি! সাহস কত বড় দেখছেন, মনে হলো তুলে একটা আছাড় দেই
আমি বল্লাম আপনাকে মাছ দেবো কেন, আপনি কি আমার খালাতো বোন? আর মাছ কি আমাকে মাগনা দিছে, মাছ কিনতে টাকা লাগে না বুঝি?
যেই না এই কথা বলেছি, আর অম্নি খোনা গলায় হিঁ হিঁ করে হেসে সেই মহিলা পা আর মাথা দুলিয়ে বলে কিনা, আমাকেইঁ তোঁ দিবিঁ, আমি হলামঁ গিয়েঁ শ্যাওড়াঁ পেত্নীঁ!
এই কথা শুনে তো গেলো আমার পিলে চমকে, শেষ কালে শ্যাওড়া পেত্নীর খপ্পড়ে পড়লাম!
মাছ গুলো জড়িয়ে ধরে দিলাম চোখ বন্ধ করে এক দৌড়, এক দৌড়ে বাসায়। মা বলে এত হাপাচ্ছিস কেন, আমি বল্লাম দাড়াও আগে ফেইসবুকে স্ট্যাটাসটা দিয়ে নেই, তারপর বলছি।
ফেবুতে লিখলাম "আজ না একটা শ্যাওড়া পেত্নীর সাথে দেখা হলো, কি যে ভাল লাগছে"!
এরপরে ভাবলাম ব্লগেও একটা পোস্ট দেয়া দরকার, তাই আজ লগইন হলাম, হয়েই দেখি ওমা আমি সেইফ হয়ে গেছি।
সব শ্যওড়া পেত্নীর দয়া