১৯৩৬ সালে মিশরে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামী মহিলা সংস্থা (মুসলিম উইমেন্স এসোসিয়েশন) । এটি একটি নিয়মতান্ত্রিক ইসলামী সংগঠন এবং জীবনের যাবতীয় সমস্যার সুষ্ঠু এবং স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে আল্লাহর দেয়া জীবন বিধান আল কুরআনকে পূর্ণরুপে বাস্তবায়ন করা এর লক্ষ্য। সংস্থাটি একটি স্বাধীন সংগঠন ছিলো!
প্রায় একই সময়ে ইমাম হাসানুল বান্না প্রতিষ্ঠা করেন ইখওয়ানুল মুসলেমিন বা মুসলিম ব্রাদারহুড! যেই অবিস্মরণীয় ইসলামি আন্দোলনটি আজ মিশর বিজয় করে পৃথিবীর দিকে দিকে অনেকগুলো দেশে ঢেউ তুলেছে। ইসলামী মহিলা সংস্থা প্রতিষ্ঠার প্রায় মাস ছয়েক পরে এক সভায় ইমাম বান্না ইখওয়ানের একটি মহিলা সভায় বক্তব্য রাখছিলেন। জনাব বান্না এসময়ে ইখওয়ানের মহিলা মাখা খুলবার প্রথম উদ্বোগ নেন। জনাবা জয়নাব গাজালী ওই সভায় উপস্তিত ছিলেন। মুসলিম মহিলা সংস্থার নেতৃ জয়নাব গাজালীকে ইমাম বান্না ইখওয়ানের মহিলা শাখার দায়িত্ব নেবার দাওয়াত দেন। কিন্তু ইসলামী মহিলা সংস্থার শীর্ষ নেতৃদের পরামর্শ আনুযায়ী তারা ইখওয়ানের সাথে একাত্ম হতে অসম্মতি জানান তবে ইখওয়ানের যেকোন প্রোগ্রাম ও প্রয়োজনে সার্বিক সহযোগিতার অংগীকার করেন।
১৯৪৮ সালে ইখওয়ানকে নিষিদ্ধ করা হলে জনাবা গাজালী নিদারুন মর্মপীড়ায় ইখওয়ানের সাথে একীভূত করতে রাজি হন তার সংগঠনকে তবে হাসানুল বান্না বলেন, ভিন্ন ভিন্ন থাকাই আপাতত ভালো। এর কিছুদিনের মধ্যে বান্নাকে শহীদ করে দেয়া হয়। ইসলামী মহিলা সংস্থাকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় কিন্তু আদালতে চ্যালেন্জ করে মহিলা সংস্থা মামলা জিতে পুনরায় ময়দানে ফিরে আসে। এসময় ইমাম হোযায়বীর নেতৃত্বে ইখওয়ান পুনরায় কার্যক্রম শুরু করলে ইখওয়ানের নতুন আফিস উদ্বোধনের প্রথম দিনেই জনাবা গাজালী প্রকাশ্য ইখ্ওয়ানের সাথে সার্বিকভাবে যোগ দেন।
১৯৬৪ সালে জামাল নাসের সরকার ইসলামী মহিলা সংস্থাকে পুনরায় নিষিদ্ধ করে। এসময় ইখওয়ানের ছোটবড় প্রায় সকল নেতাকে হয় শহীদ নাহয় কারান্তরীন করে রাখা হয়। স্বৈরাচারের প্রতিবাদ করার মত মানুষ ই থাকেনা কোথাও! - এই ভয়াবহ অন্ধকার অত্যাচারের যুগ থেকেই আল্লাহর দ্বীনের রশ্মিকে উজ্জীবিত করে রাখেন যে মহিয়সী রা, তাদের রোমহর্ষক কাহিনী লিপিবদ্ধ হয়েছে কারাগারে রাতদিন (ইংরেজী নাম রিটার্ন অব ফারাও) বইয়ে। একটি ইসলামী আন্দোলন কি পরিমান জুলুম নির্যাতনের মধ্য দিয়ে ধৈর্য্য ও বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় সেই অবিস্মরণীয় সত্য ঘটনা জানতে বইটি পড়ুন।
বইটির সূচীপত্র যেভাবে সাজানো হয়েছে
→ আমার প্রতি জামাল নাসেরের ব্যক্তিগত আক্রোশ
→ আমি এবং সমাজতন্ত্রী ইউনিয়ন
→ খোদাদ্রোহীদের জন্য নয়
→ আমরা কি করবো?
→ টালবাহানা ও প্রতারণা
→ রাতের উল্লুক
→ সবাই আহামদ রাসেখ
→ আনুগত্যের শপথ
→ মুখোশ উন্মোচিত
→ দায়িত্ব পালনের ডাক
→ আব্দুল ফাত্তাহ ইসমাঈলের সাথে হজ্জ্বের পথে
→ কাজের অনুমতি
→ স্বামীর সাথে স্পষ্ট কথাবার্তা
→ সাইয়েদ কুতুবের সাথে সাক্ষাৎ
→ ষড়যন্ত্র
→ এবার আমার পালা
→ চব্বিশ নম্বর কক্ষের পথ
→ চব্বিশ নম্বর কক্ষে
→ স্বপ্ন
→ আল্লাহ আমাদের সহায়
→ জুলুম নির্যাতনের স্টীমরোলার
→ প্রেসিডেন্ট নাসেরের প্রতিনিধি
→ আমার সেলে অনেক চেহারা
→ রাফাত মোস্তফা নুহাসের ইন্তেকাল
→ খাদ্য গ্রহণ ইবাদত তুল্য
→ দুর্যোগের রাত
→ এবার হামজার পালা
→ সেলে প্রত্যাবর্তন
→ দ্বিতীয় রজনী
→ সংক্ষিপ্ত বিশ্রাম
→ জুলুমের রাত
→ স্যুটকেস এবং প্রেসিডেন্ট নাসেরের চিঠি
→ শামস বদরানের অত্যাচার
→ পানির সেল
→ অপরাধ
→ আমার সেলে পশুত্বের লাশ
→ ইঁদুরের পাশ থেকে পানির দিকে
→ পানি এবং এটর্নির দিকে
→ খাদ্য এবং চাবুক
→ হাসপাতালে
→ আবার শামসের কবলে
→ অত্যাচারের নাটকীয় দৃশ্য
→ বত্রিশ নাম্বার সেলে
→ ঈমানের মান ও মিথ্যের অপমান
→ আমার ফাঁসির হুকুম
→ পাশার দফতরে
→ সংশয়ের আবর্তে
→ শামস তার বিভ্রান্তিতে অটল
→ প্রবৃত্তির মাসন ও ণীচ লোকদের প্রভূত্ব
→ হাসপাতালেও জোর জুলুম
→ নাসেরের উপস্তিতিতে নির্যাতন
→ আসল চক্রান্ত : গুজব
→ মোহাম্মদ কুতুব
→ তদন্ত
→ আবার আদালত
→ আবার সেই আত্যাচার
→ শাস্তি
→ অর্থ
→ গোশতের কীমার প্যাকেট
→ হাসপাতালে অভুক্ত
→ অত্যাচারীর অনুতাম ও সত্যপথে প্রত্যাবর্তন
→ ফায়সালা নিকটবর্তী
→ সু-খবর
→ প্রতিশ্রুত দিবস
→ আদালত
→ চরম বর্বরতা
→ মামলার রায় ঘোষণা
→ সাইয়েদের সাথে কয়েক মুহূর্ত
→ ফাঁসির আগের পায়তারা
→ ফায়সালা কার্যকরী
→ শেষ কয়দিন
→ আমার স্বামীর ইন্তেকাল
→ নয়া প্রতিবেশী
→ নাসেরের বিচার চাই
→ কানাতীর জেলে সাথানান্তর
→ মানসিক পীড়ার রাত
→ নতুন পর্যায়ের সংঘাত
→ শত্রু হলেও মানুষ বটে
→ মৃত্যু ও বিদ্রোহী
→ বুদবুদ উড়ে যায়
→ নতুন পরীক্ষা
→ শেষ পাঁয়তারা
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ৮:৫৫