somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১০৭ নং দুঃখটা

১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১০৭ নং দুঃখটা বড্ড কষ্টে ফেলেছে আমাকে।
কষ্টটা হঠাৎ করেই শুরু হলো এক কলিজাপোড়া দুঃস্বপ্নের ঝাপটাতে।
বুকের ভিতর আস্ত একটা পুরাতন বাড়ি দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে পড়লো সেই কষ্টে।

আশ্চর্য!!
চারিদিক থেকে চেনা-অচেনা অনেক মানুষই চলে এল মুহূর্তেই-
ভেঙ্গে যাওয়া সেই বুকের বাড়ি থেকে কিছু না কিছু কুড়াতে ।

অতি আপনজনই হাতের মুঠোয় ভরে নিল এক থাবায় ‘বিশ্বাসের চব্বিশ বছর’।

তার দেখাদেখি,
পরিচিত একজন এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখে নিলো কেউ দেখে কিনা!
তারপর টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া ‘বাইশটি সম্মান’ পলিথিন ব্যাগে ভরলেন।

একজন অল্প পরিচিতজন খুশি মনে তার পা ভিঁজিয়ে নিলো,
আলতার বদলে ‘এক বালতি বুকের লাল রক্তে’।
তারপর অদ্ভুত ভালো লাগা নিয়ে
তিনি তাকিয়ে থাকলেন সেই পায়ের দিকে অনেকক্ষণ।

রাস্তা দিয়ে যাবার সময় এক্কেবারে অপরিচিত একজন
ভাঙা বাড়ি দেখে দাড়িয়ে পড়ল।
তারপর একটু আড়ালে গিয়ে কুড়াতে লাগলো ‘দশ বছরের ঘুম’।

কিছু উল্লসিত, ভয়ঙ্কর চেহারার মানুষ চলে এলো তাদের সারাজীবনের তৃষ্ণা মেটাতে-
ছলকে ছলকে উপচে পড়া ভেঙে পড়া বাড়ির ‘এক ট্যাংকি বুকের জল’ দিয়ে।

কেউ একজন ‘বুকের গোপন দীর্ঘশ্বাস’ নিয়ে দৌড়ে পালাল!
মানুষটার চেহারা দেখাই গেল না।

এভাবে প্রায় সবই নিয়ে গেল
ভেঙে যাওয়া সেই বুকের বাড়ি থেকে-
সেই সব আপন-পর মানুষজন।

বুকের ভেঙে যাওয়া বাড়ি ঠিক করতে আমিও কুড়িয়ে পেলাম কিছু-
যা কেউই নেয়নি,
- শুকিয়ে যাওয়া ‘সাতচল্লিশটা কান্নার পুকুর’।
-জলে ডুবে মরা ‘একটি অ-ভালোবাসা’।
— অভিমানের ছদ্মবেশে একটি ‘হিংস্র ষাঁড়ের বাহাত্তরটি শিংয়ের গুঁতো’।
-বিরহের নামে নামহীন ‘আটাশি বস্তা অপমান’।
-দশ বছর যাবত জমানো ‘এক প্লেট
বিষন্নতা’।
-আর উপহার হিসেবে কারো রেখে যাওয়া মিথ্যা অপবাদের সুগন্ধিমাখা ‘চন্দন কাঠের একটি কফিন’।

১০৭ নং দুঃখটা বড্ড কষ্টে ফেলেছে আমাকে-
সেটি ভুলতে আমি এখন ১০৮ নং দুঃখের অপেক্ষায় আছি।
—————————————

রশিদ হারুন
০২/০৩/২০২০
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪৮
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৯

'পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......
[/সব

আমার এক মামা ততকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জব করতেন হোটেলের শুরু থেকেই। সেই মামা মাঝেমধ্যে আমাদের জন্য হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে মুখরোচক কেক, পেস্ট্রি ছাড়াও বিভিন্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তার চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না, তবুও

লিখেছেন খাঁজা বাবা, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩২



শেখ হাসিনার নাকি বায়ক্তিগত চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না। শেখ মুজিবের বেয়ে নাকি দুর্নীতি করতে পারে না। সে এবং তার পরিবার যে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করতে পারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিষয়ে সামু কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬

ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দলের পতন ঘটানো হয়। এটা আমাদের একটা জাতীয় গৌরবের দিন। এটা নিয়ে কারও সন্দেও থাকলে মন্তব্যে লিখতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জ্বীনভুতে বিশ্বাসী বাংগালী ও ঢাকায় ৫০ হাজার ভারতীয় একাউন্টটেন্ট

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৩




ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর ব্লগে লিখেছিলেন যে, উনার ভগ্নিপতিকে জ্বীনেরা তুলে নিয়ে গিয়েছিলো; ২ সপ্তাহ পরে ভগ্নিপতিকে দিয়ে গিয়েছে; এই লোক, সামুর কাছে আমার বিরুদ্ধে ও অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেছুর নিজস্ব একটি জ্বীন ছিলো!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৪



আমাদের গ্রামের খুবই সুশ্রী ১টি কিশোরী মেয়েকে জংগলের মাঝে একা পেয়ে, প্রতিবেশী একটা ছেলে জড়ায়ে ধরেছিলো; মেয়েটি ঘটনাকে সঠিকভাবে সামলায়ে, নিজের মাঝে রেখে দিয়েছিলো, এটি সেই কাহিনী।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×