হাসলে মানসিকতা ভালো থাকে, কাজে উদ্যোম আসে। হাসি একদিকে মহাঔষধও বটে। গবেষকদের মতে হাসলে শরীর ও মানসিকতা দুটোই ভাল থাকে, নিরোগ স্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যায় এবং দীর্ঘায়ু লাভ করা সম্ভব হয়। সমপ্রতি হাসির এই নিরাময় ক্ষমতা সম্পর্কে নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্স শহরে হাজির হয়েছিলেন ৪শ' ভাঁড় এবং চিকিৎসক যারা হাসিয়ে রোগীর রোগ নিরাময় করার প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। 'দ্য থার্ড ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস অফ হসপিটাল ক্লাউন' নামের এই সম্মেলন গত ৭ ও ৮ নভেম্বর দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে ভাঁড় বা কৌতুককার, হাস্যরসের মাধ্যমে রোগ নিরাময়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক এবং শিল্পীরাও যোগ দিয়েছিলেন। বর্তমানে পৃথিবীর নানা দেশের হাসপাতালেই ভাঁড়ামোর মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ আমেরিকার হাসপাতালে ভাঁড়রা বেশ সাফল্যের সঙ্গেই কাজ করছেন। গবেষকরা জানান, প্রাচীন গ্রিস দেশেও বিষণ্নতায় আক্রান্ত রোগীদের হাসির নাটক দেখিয়ে সুস্থ করার রেওয়াজ ছিল। ১৯৯৮ সালে হলিউড অভিনেতা রবিন উইলিসিয়ামস 'প্যাচ অ্যাডামস' নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রে রবিনের ভূমিকা ছিল একজন ভাঁড়ের যিনি হাসিয়ে রোগ উপশম করতেন। হলিউডের এই কাহিনী বাস্তবে ফলতে শুরু করেছে বলেই মনে করেন গবেষকরা।
বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা ভাঁড়রা নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, অনেকেই হাসতে চায় না। নিজের হাসাটাকেও তারা অপরাধ মনে করে। অর্থনৈতিক পীড়ন ও অনিশ্চয়তা তাদের এই মনোভাবের জন্য দায়ী। এসব মানুষজন নিজের জীবন নিয়ে সর্বদাই যুদ্ধে লিপ্ত। এসব মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোই ভাঁড়দের কাজ বলে তারা মনে করেন। সব মানুষের উদ্দেশ্যে ভাঁড়দের পরমর্শ হল, হাসুন, জীবনকে হাল্কা করুন। সুস্থ থাকুন, দীর্ঘায়ু লাভ করুন।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৩০