চলতি পথে থমকে দাঁড়াই
শব্দ পেয়ে মন ভাঙার।
ইতিউতি তাকিয়ে দেখি
ভিড়ের মানুষ ভিড়ে হারায়।
ভাঙলো তবে মন কাহার?
চারিদিকে শব্দ-গাড়ির,
মানুষজনের কোলাহল;
ট্রাফিক পুলিশ বাজায় বাঁশি,
ফেরিওয়ালা ডাকছে কেবল।
তুলকালাম এই শব্দগোলে
নরম-শরম শব্দ তবে
কোন রমণীর মন ভাঙার?
হঠাৎ দেখি উন্মনা এক
মলিন মুখের উদাস নারী;
দৃষ্টি তাহার ঊর্ধ্বমুখে –
বিষণ্নতার আকর গ্রন্থ
দাঁড়িয়ে যেন পথের ধারে।
তবে কি তাহার চাকরি গেছে :
বলেছে কেউ আর এসো না;
অথবা নিজেই হয়েছে বাধ্য
আসতে ছেড়ে নিজের ঘর,
বিছানো চাদর, ফুলের টব?
এমন তরো ভাবনা কতো
যাচ্ছে উড়ে মাথা ছেড়ে পাখি হয়ে!
এরই মধ্যে এসে কালো পাজেরো এক
থামলো নারীর পায়ের কাছে –
উঠলো নারী, ছাড়লো গাড়ি;
রইলো পড়ে দীর্ঘশ্বাসের শব্দ শুধু।
ঠোঁটের কোণে হাসির লহর,
চোখের ভিতর জলের ঝিলিক –
ভ্যানিটি ব্যাগে টিস্যু পেপার,
ছোট্ট আয়না, লিপস্টিক আর কাঁকুইর পাশে
মন ভাঙার শব্দ শুয়ে!
শুনবে কি তা পাশের পুরুষ?
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:২৩