কম্পিউটার বা ল্যাপি মাঝে মাঝেই সমস্যা করবেই।অনেকে ঘাবড়ে যান। সার্ভিসিং সেন্টারে নিয়ে যান কিংবা বাসায় লোক ডেকে আনেন সমস্যাগুলি ফিক্স করার জন্য। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় সমস্যাগুলি খুব বেশি মারাত্মক কিছু না-যা নিয়ে সার্ভিসিং সেন্টার পর্যন্ত যেতে হবে। বেশির ভাগ সমস্যাগুলিই সামান্য কয়েকটি ট্রাবলসুটিং টিপস ব্যবহার করেই সমাধান করা যায়।
সার্ভিসিং সেন্টারের দ্বারস্থ হবার আগে কিংবা অন্য কারো হেল্প নেবার আগে আপনি নিচের দশটি টিপস ব্যবহার করেই সমস্যার সমাধান করতে পারেন কিংবা সমস্যাটিকে চিহ্নিত করতে পারেন। সমস্যা চিহ্নিত হলে এই সাইটে গিয়ে সমাধানও পেতেও পারেন- নিজে নিজেই। আমি যে টিপসগুলি দিতে যাচ্ছি তার অনেকগুলিই আপনার জানা।
টিপস নাম্বার-০১:রিবুট বা রিস্টার্স্ট
পিসি, ল্যাপি, মোবাইল কিংবা বেশিরভাগ ইলেকট্রিক্যাল ডিভাইসের প্যারাসিটামল বলতে পারেন- রিবুট বা রিস্টার্টকে। এইটা কোন সমস্যাকে ফিক্স করে না কিন্তু দ্রুত আপনার কম্পিউটারকে ব্যবহারের অবস্থায় নিয়ে আসে। এমনকি অনেক সময় দেখা যায় কম্পিউটার চালু হচ্ছে কিন্তু পর্দা কালো হয়ে আছে, সেক্ষেত্রেও আপনি রিবুট বা রিস্টার্ট বাটনটি ব্যবহার করতে পারেন। যে কোন টেক পার্সন, কোন সমস্যা হ্যান্ডেল করার শুরুতেই রিস্টার্স্ট বা রিবুট বাটনটি ইউজ করে।
টিপস নাম্বার-০২:স্ক্যান
আপনি আপনার ডিভাইসে এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা স্বত্তেও ভাইরাস আপনার পিসিতে আক্রমন করতে পারে।বেশিরভাগ ভাইরাস, উইন্ডোজ কিংবা অন্যান্য প্রোগ্রাম ফাইলের ভিতরে লুকিয়ে থেকে এন্টিভাইরাসকে ফাকি দেয়। এতে করে কম্পিউটার নানা রকম সমস্যা করে।
ভালো একটি এন্টিভাইরাস দিয়ে সম্পুর্ণ কম্পিউটার স্ক্যান করে আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। সম্পুর্ণ কম্পিউটার স্ক্যান করতে মোটামুটি ভালোয় সময় লাগবে- কাজেই হাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে এই কাজে হাত দিবেন।
কিছু এন্টিভাইরাসের নাম পেতে এই সাইটে যেতে পারেন।
টিপস নাম্বার-০৩:রিইনস্টল
যদি কোন নির্দিস্ট সফটওয়্যারে সমস্যা দেখা দেয়, তবে আপনি একবার রিইনস্টল করে দেখতে পারেন, এটা অনেকটা রিবুটিং এর মতই। কিন্তু এটি আপনাকে দীর্ঘ-মেয়াদি এবং কার্যকর একটি সমাধান দিবে।
নিচের চিত্রে ইউন্ডোজ সেভেনে সফটওয়্যার আন-ইনস্টল করার পদ্ধতি দেখানো হয়েছে।
ভালো কথা, যদি আপনার সফটওয়্যারটিতে কোন গুরুত্বপুর্ণ ডাটা থাকে, তবে অবশ্যই ব্যাক-আপ রাখবেন। কারন আন-ইনস্টল করার পর আগের সব ডাটা হারিয়ে যাবে-এটা তো আর বলে দিতে হবে না!!!
টিপস নাম্বার-০৪:পোস্ট (POST) কার্ড
পিসিকে যখন চালু করা হয়, তখন এটি তার প্রতিটা কম্পোনেন্টকে চেক করে। এটাকে বলে পাওয়ার অন সেলফ টেস্ট (Power-On Self-Test বা সংক্ষেপে POST)। কম্পিউটার মাদারবোর্ডের পিসিআই (PCI) পোর্টে একটি কোড পাঠায়-বিভিন্ন অংশের অবস্থা জানিয়ে।
আপনি স্বল্পমুল্যের পোস্ট-কোড চেকার ব্যবহার করে কোন পার্টসের সমস্যা তা জানতে পারেন, এমনকি যদি আপনার পিসি ঠিক মত বুট নাও হয়।
বিস্তারিত জানতে এইখানে আলতো একটি ঘুতা দেন।
টিপস নাম্বার-০৫:রেজিস্ট্রি ক্লিনার
যারা র্যাবনডমলি সফটওয়্যার ইনস্টল করেন, তাদের জন্য এইটা একটা গুরুত্বপুর্ন টিপস। নেটে সফটওয়ার পাইলাম, আর ইনস্টল করলাম- তাদের জন্য এইটা মাস্ট।পুরাতন, বাজে এবং বেহুডা জিনিস ক্লিন করতে খুবই উপযোগী এই রেজিস্ট্রি ক্লিনার। এটা আপনার কম্পিউটারকে দ্রুত চালু করতেও সাহায্য করে।
এখানে অনেকগুলি রেজিস্ট্রি ক্লীনারের নাম ও ডাউনলোড লিঙ্ক দেয়া আছে, আমার কাছে সিক্লিনার-টাকেই বেস্ট মনে হয়েছে এবং এইটাই আমি মাঝে মাঝে ইউজ করি।
আজকে এই পর্যন্তই। অনেকদিন পর পোস্ট দিলাম।
উপরের পিচ্চির ছবিটা দেখেই নিশ্চয় মনে নানা প্রশ্ন উকি দিচ্ছে। আসুন এইবার সব খোলাশা করে দেই।
কালকে আমাদের অঘটনঘটনপটিয়সী আমাকেই আমারই একটা পোস্টে মন্তব্য করে, জানান যে ১৭ অগাস্ট সামু ব্লগের সবচেয়ে হিট ব্লগার-দ্য হিট ম্যান, টেকি ব্লগার, রম্যরাজা- নাফিস ইফতেখারের জন্মদিন।
আমি জানতাম সায়মা আপ্পি, আর নাফিস ভাইয়ের জন্মদিন একইদিনে। কিন্তু কেমন করে জানি ভুলে গিয়েছিলাম। নাফিস ইফতেখারকে সব সময়ই বস মেনে এসেছি।যদিও তার মতন ব্লগিং করা ইচ্ছা থাকলেও করতে পারি না, মেধার কারনে এবং আইলস্যামির কারনে।
গুরুকে লেইট হ্যাপি বার্থডে জানিয়ে এই পোস্ট তাকেই উৎসর্গ করলাম। হ্যাপি বার্থডে গুরু। খুব করে স্বপ্ন দেখি আপনি একদিন ফিরে আসবেন। ফান পোস্ট, টেকি পোস্ট দিয়ে আবার সামু মাতাবেন।
উপরের ছবিটা আমার গুরু বাচ্চাকালের ছবি আর এই ছবিটা পেয়েছি ‘নাসার মা’র পোস্ট থেকে।
বড় নাফিস ইফতেখার।