কী হচ্ছে নারায়নগঞ্জে?
নারায়নগঞ্জ যেন থ্রীলার মুভির সেই নিষিদ্ধ অঞ্চল। যেখানে গ্রুপিং-এন্টি গ্রুপিং , চাঁদাবাজি, রাহাজানি, নারীবাজী , একেরপর এক গুম, হত্যা, যেন এক নিত্যনৈমত্যিক ঘটনা হয়ে পড়ছে।
গুম সংস্কৃতির শুরু
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের মাধম্যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরেই গুম সংস্কৃতির শুরু হয়। এই ভয়াবহ সংস্কৃতির প্রথম স্বীকার হন বিএনপি নেতা ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার চৌধুরি আলম।২০১০ সালের ২৫ শে জুন তার বাসার সামনে থেকে সাদা পোশাকের আইনশৃখলা-রক্ষা বাহিনী তাকে তুলে নিয়ে গেলেও গত চারবছরেও তার কোন খোজ নেই। তারপরে গুম হন আরেক মহানগর বিএনপি নেতা ও ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম । আজ পর্যন্ত তার কোন খোজ নেই। ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাজধানীর বনানী থেকে গাড়িচালক আনসার আলীসহ অপহৃত হন হাই-প্রোফাইল বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী । তার মুক্তির দাবীতে বিএনপি টানা দুই দিন হরতাল পালন করলে এবং প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস স্বত্তেও কোন খোজ পাওয়া যায়নি সাবেক এই ছাত্রদল নেতার। তার দল ও পরিবার থেকে সবসময় দাবী করা হয়েছে রাজনৈতিক কারনেই ইলিয়াস আলী গুম হন। কিন্তু র্যাব ও ধ্বজাধারী মিডিয়া সব সময়ই এইসব ঘটনার মুলে না গিয়ে নাটক ফেদে গেছে।
বিরোধীমতকে ধমন করাই যখন গুমের উদ্দেশ্য
২০১০ সালের ২৩ নভেম্বর বরিশালের উজিরপুরের বিএনপি নেতা হুমায়ুন খান ঢাকার মালিবাগ থেকে নিখোঁজ হন। ২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র আল-মোকাদ্দেস ও ওয়ালিউল্লাহ নিখোঁজ হন। ২০১২ সালের ১ এপ্রিল রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সিলেট জেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার আহমদ দিনার ।২০১৩ সালের ২৩ জুন নিখোঁজ হন খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটি বিবিএর দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র আল-আশিক নির্মাণ। বিস্তারিত দেখুন এইখানে ।
বিস্ফোরন
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীরর অবৈধ নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য বিএনপি মার্চ ফর ডেমোক্রেসির ডাক দেয়। এই আন্দোলন নস্যাৎ করার জন্য হিট লিস্ট করে করে বিএনপি কর্মী সাধারণকে গুম করা হয়। অনেকের খবর মিডিয়ায় এসেছে। কিন্তু বেশিরভাগের খবরই আসেনি।
কুমিল্লার লাকসামে সাইফুল ইসলাম হিরু ও হুমায়ুন কবির পারভেজ ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর নিখোজ হন , আজো তাদের কোন খবর পাওয়া যায়নি। অভিযুক্তের পরিবারের আঙ্গুল ছিলো র্যাবের দিকে । ঢাকার শাহবাগ থেকে বংশাল থানার চার ছাত্রদল কর্মী- সোহেল, জহির, চঞ্চল ও পারভেজ ঐ একই বছরের ডিসেম্বরের ১২ তারিখ নিখোজ হন, তাদের আজ পর্যন্ত কোন খোজ পাওয়া যায় নি ।
একই দিনে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা তানভীর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা আসাদুজ্জামান রানা, মাজহারুল ইসলাম রাসেল ও আল আমিন আমেরিকান দূতাবাস এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। ৪ ডিসেম্বর রাত আড়াইটার দিকে তেজগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কাউসার ও এস এম আদনান চৌধুরীকে শাহীনবাগের বাসা থেকে র্যাব পরিচয়ে কয়েকজন লোক তুলে নিয়ে যায়। (বিস্তারিত দেখুন)
২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হলের আবাসিক ছাত্র জিয়াউর রহমান শাহীন, ৬ ডিসেম্বর তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, ৬ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জ কে কে গভর্মেন্ট হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র কামরুল হাসান কনক, ৭ ডিসেম্বর সবুজবাগ থানা ছাত্রদল সভাপতি মাহবুব হাসান সুজন, ছাত্রদল নেতা ফরহাদ হোসেন, ১১ ডিসেম্বর সূত্রাপুর থানা ছাত্রদল সভাপতি সেলিম রেজা পিন্টু ,১৯ ডিসেম্বর ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সোহেল ও রানা নিখোজ হন, ডিসেম্বরে রাজধানী ঢাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন । এই ডিসেম্বরেই সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় আলোর পরশ পত্রিকার সম্পাদক আলতাফ হোসেন। (বিস্তারিত দেখুন)
৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের আগে পরে মধ্যকার একমাস সময় ব্যবধানে প্রায় ৩০০ নেতাকর্মী গুম হয় আর এক বছরের প্রায় ৩১০ জন নেতাকর্মী গুম হয়।
লক্ষীপুরে ৬ মাসে ২২ নেতাকর্মী , সিলেটে ৫ বছরে ২৬ জন বিএনপি নেতাকর্মী, খুলনার দাকোপে ৫ জন গুম হন। যাদের খোজ আজো মেলেনি।
নীলফামারির রামগঞ্জে সরকারদলীয় এমপি ও মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুরের গাড়ি বছরের উপর হামলার মামলার আসামীদের মধ্যে ৯ জন গুম হয়েছে , অনেকের লাশ পাওয়া গেছে অনেকেরই পাওয়া যায়নি।
এদিকে ১৪ মার্চ বিকাল থেকে দূর হাতিয়ার মেঘনার বুকে ভেসে উঠতে থাকে একের পর এক লাশ।
ঘরের শত্রু বিভীষণ
নারায়নগঞ্জে প্রথম গুমের ঘটনা ঘটে ১৫ মার্চ ২০১৩ তে । সারাদেশ যখন যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে উত্তাল, তখন নারায়ণগঞ্জ গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী রফিউর রাব্বির মেধাবী ছেলে তানভীর মোহাম্মদ ত্বকী নিখোজ হয় এবং লাশ মিলে শীতলক্ষ্যায়।
ত্বকীর পিতার ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভি অভিযোগ করেন এটা শামীম ওসমান ও তার পরিবারের কাজ। কিন্তু আজও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেননি।
তারপর এই নারায়ণগঞ্জ থেকেই এপ্রিলের ১৬ তারিখ নিখোঁজ হন বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী আবু বকর সিদ্দিক এবং ১৮ তারিখে রহস্যঘেরা এক ঘটনার মধ্য দিয়ে ফিরে আসেন ১৮ তারিখে এবং আদালতে জবানবন্দী দেন।
এই নারায়ণগঞ্জেই দুই সপ্তাহে ৬ জন নিখোঁজ হয় এবং দুই মাসে ৩২ টি লাশ মিলে।
২৭ এপ্রিল গুম হন নারায়ণগঞ্জ প্যানেল মেয়য় নজরুল ইসলামসহ ও তার প্রাইভেট কারের চালক (নাম জানা যায়নি), বন্ধু তাজুল, স্বপন এবং লিটন । কাউন্সিলর নজরুল কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। প্রথমে ৫ জন মনে করা হলেও দেখা যায় সর্বমোট ৭ জন নিখোঁজ ।একই সময়ে নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তাঁর গাড়ির চালক গাড়িসহ নিখোঁজ হয়েছেন।
কে এই নজরুল ইসলাম? নারায়ঙ্গঞ্জের অন্যতম সন্ত্রাসী ও হত্যা-চাদাবাজীসহ বিভিন্ন মামলার আসামি হচ্ছে এই নজরুল ইসলাম যার উপাধী ছিলো বেয়াদপ।
সাতজন নিখোঁজের অভিযোগে ফুসে উঠে নারায়ণগঞ্জের মানুষ। নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানের তারা ঢাকা-চট্রগ্রাম রোড ও রিং রোড অবরোধ করে। ত্রিশ এপ্রিল নজরুল-চন্দনসহ ছয়জনের লাশ মিলে শীতলক্ষ্যা নদীতে । সাত খুনের প্রতিবাদে হরতালও পালিত হয় নারায়নগঞ্জে।
নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী অভিযোগ করেন শামীম ওসমান এর জন্য দায়ী। তার সাথে সুর মিলায় সিটি মেয়র সেলিনা হায়াত আইভি কিন্তু পরে সে সুর পালটিয়ে বলে, শামীম ওসমান জড়িত থাকার ব্যাপারে সে কিছু জানে না । শামীম ওসমান অভিযোগ করে, এতে আইভির ঘনিষ্টজন বলে পরিচিত সুফিয়ানও জড়িত । শুরু হয়ে যায় কাদা ছোঁড়াছুড়ির এক নোংরা খেলা।
ইয়েলো জার্নালিজমের ঝান্ডাধারী টিভিগুলো টকশোতে শামীম ওসমানকে ডেকে নেনে নিদোর্ষ প্রামানের চেষ্ট্রা করে।
আওয়ামী মন্ত্রীরা এর জন্য দায়ী করতে থাকে বিএনপি নেতাদের। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের ছবক দেন, পরিস্থিতি ঠান্ডা না হলে আসামি ধরা যাবে না।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সারাদেশে গুমের বিরুদ্ধে রেড এলার্ট জারি করেন, তিনি ও তার দল অভিযোগ করেন এর জন্য র্যাব দায়ী। তিনি সারাদেশে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন, সাদা পোশাকে কেউ ধরতে এলে Click This Link target='_blank' >তাদের যেন আটকে রাখা হয় ।
কিন্তু এরই মাঝে বোমা ফাটান শহীদ চেয়ারম্যান- নজরুল ইসলামের শ্বশুর। তিনি বর্ণনা করেন কিভাবে কাউন্সিরাল নুর হোসেনের কাছ থেকে ছয় কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে নজরুল ইসলামকে ঘুম করে র্যা্ব । যাদের নেতৃত্বে ছিলো- মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মাহমুদ , সেনাবাহিনীর মেজর আরিফ হোসেন এবং নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এমএম রানা।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মাহমুদ বিভিন্ন কুকর্মের কথা ফাঁস হতে থাকে,তাকে সিরিয়াল কিলার বলেও আখ্যায়িত করে অনেকে, অনেক বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী গুমের সাথে সে জড়িত, শ্বশুর মন্ত্রী বলে কাউকে পাত্তা দিত না, কোন নিয়ম শৃংখলার ধার-ধারত না। শহীদ চেয়ারম্যান আরও বলেন টাকাটা লেনদেন হয়েছে মায়া পুত্র দিপুর মাধ্যমে। এমনকি তিনি আরও বেশি টাকা দিয়ে নজরুল ইসলামকে ছাড়িয়ে আনতে চেয়েছিলেন। এই তারেক আরেক দুই মাস ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে দুই কোটি টাকা ঘুষ দাবী করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
মায়া সব অস্বীকার করে , জাহাঙ্গীর কবির নানকও তাকে সাপোর্ট করে। র্যাবের সেই তিন কর্মকর্তাকে শাস্তিতো দুরের কথা সকল সুবিধা দিয়ে অবসরে পাঠানো হয়, কেবল শাস্তি এড়ানোর জন্য।
আওয়ামী লীগ ব্যাপকভাবে নিরবতা পালন করে, কখন জানি থলের বেড়াল বেড়িয়ে আসে এই জন্য। বিএনপি চেয়ারপার্সন নিহত নজরুল ইসলামের বাসায় যান, তার পরিবারকে শান্তনা প্রদান করেন , এবং দোষীদের শাস্তি দাবী করেন।
না! নুর হোসেনের কথা ভুলি নাই।
নুর হোসেনের উত্থান রুপকথাকেও হার মানায়, সামান্য ট্রাক চালক থেকে সে নারায়নগঞ্জের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি বনে যায়, কেবল ও কেবল মাত্র শামীম ওসমানের ছত্রছায়ায়। নিজের নামে ১১ টি অস্ত্রের লাইসেন্স, ট্রাক স্ট্যান্ড , মদের ব্যাবসা কি ছিলো না তার। সিনেমা তে দেখা ঘটনার মত তারও ছিলো ৫ জন পুলিশ দেহরক্ষী । সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর নীলার সাথে ছিল বিবাহ-বহির্ভুত সম্পর্ক ।
প্রথমেই হলফ করে শামীম ওসমান অস্বীকার করে যে নুরের পক্ষে এমন কাজ করা সম্ভব না, পরে যখন দেখেন নিজেই ফেসে যাচ্ছেন, তখন তিনি বলেন হ্যা, নুর হোসেনই করেছে এই কাজ ।
শহীদ চেয়ারম্যানকে দেয়া হচ্ছে একের পর এক হুমকি । তিনি তার জীবন নিয়ে দুচিন্তায় আছেন। একই সাথে তার সন্দেহ হয়ত, আসল ব্যক্তিদের আড়াল করার জন্য নুর হোসেনকে ক্রসফায়ারে দেয়া হতে পারে।
নারায়নগঞ্জ আদালতে চলছে গণশুনানী , কিন্তু নুরের ভয়ে কেউ স্বাক্ষী দিতে আসছে না। আদালত পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে, আসামীদের গ্রেফতার করতে। এর আগে নুরের সাতজন সহযোগি গ্রেফতার হয়েছে এবং তিন নাম্বার আসামী হাসুর গ্রেফতার নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় বিভ্রান্তির সৃষ্টিও করেছে। পুলিশ গাড়িতে কালোকাচ নিয়ে আরেক তামশার অবতারনাও করতে বাকী রাখে নাই। কিন্তু আসল কাজ কাউকে গ্রেফতার করতে পারে নাই,এমনকি আদালতের আদেশ স্বত্তেও । আদালত তাই একে অবমাননা হিসেবেই দেখছে। স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ আমাদের আশস্ত করেছেন দেশে গুম বলে কিছু নেই, শব্দটি হবে নিখোঁজ ।
ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জে আরেক ব্যবসায়ী নিখোঁজ হয়েছে, এবং র্যা বের দাবীমতে এটা নাকি নাটক ছিলো, ছিল স্বামী-স্ত্রীর মধুর ঝগড়া।
গতকালকে কেরানীগঞ্জ থেকে এক ব্যাবসায়ী নিখোঁজ হয়েছেন, এক শিবির নেতা দুই লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে পুলিশের কাছ থেকে মুক্তি লাভ করে অন্যথায় তাকে গুম করে ফেলার হুমকি দেয়া হয়েছিল। আসকের নুর খানকে অপহরনের চেষ্ট্রা করা হয়েছে।
আমাদের গৃহপালিত বিরোধীদলীয় নেত্রী একে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেছে, এবং তথ্যমন্ত্রী এতে আবারও বেগম খালেদা জিয়াকে টেনে এনেছেন।
সুশীল সমাজ তাদের আশংকার কথা জানিয়েছে, কুটনীতিকরা বলেছেন তারা শংকিত , হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে ইতিমধ্যে রাজাকার হয়ে গেছে। আর বৃটিশ সরকার তার নাগরিকদের এই বলে সতর্ক করেছে যে, বাংলাদেশে গেলে যে গুম হয়ে যাবেন না, তার নিশ্চয়তা দিতে পারি না ।
বাংলা এইবার আফগান হতে কত দেরি পাঞ্জেরী????