ডিগ্রি কলেজ থেকে পড়ে বাহির হওয়া ছেলেটাও BCS ক্যাডার হয়।
অথচ অনেক বুয়েটিয়ানকও হতে হয় এলাকার কোচিং সেন্টারের মালিক।
ঢাবি থেকে EEE নিয়ে পড়েও কেউ হয় একটা ব্যাংকের ক্যাশিয়ার।
অথচ ন্যাশনালে পড়েও "ফাল্গুনী বাগচী" BCS এ ১৩ তম হয়ে হয় পররাষ্ট্র ক্যাডার।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম স্হান অধিকার করে ও কেউ হয় প্রাইমারি স্কুলের টিচার।
আবার কেউ ওয়েটিং লিস্ট থেকে চান্স পেয়ে সাইকোলজি নিয়ে পড়েও আজ স্কলারশিপ নিয়ে বিশ্ব ভ্রমন করে।
MBBS পাশ করা ছেলেটাও হয়তো আজ মাসে লাখ খানেক টাকা ইনকাম করে।
আর ক্লাসের backbencher ছেলেটাও আজ শিল্পপতি।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফর্ম তোলার যোগ্যতা না অর্জন করা "জাহিদ সবুর" প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে আজ "Google" এর প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার।
আর হয়তো অনেক বুয়েটিয়ানকেও প্রতিদিন চাকরির পত্রিকা পড়তে হয় চাকরি জন্য।
SSC তে দুইবার ফেল "তইমুর শাহরিয়ার" নামের ছেলেটাও BCS এ প্রথম হয়েছে।
আর অনেক GPA 5.00 ধারী ছেলেকেও ফাইল নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়।
কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়েও "জনাব আব্দুল হামিদ" আজ দেশের সমস্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান।
আর হয়তো অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছেলে ও রাতে ঘুম হারাম করতে হয় একটা চাকরির চিন্তায়।
আমরা অনেকেই আছি যারা কিনা ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার কারনে দেশের নিচের সারির বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের হেয় মনে করি।
কিংবা বলি অমুক সাবজেক্টে পড়ে কিছু হওয়া যায় নাকি।
আমাদের দেখতে হবে আমরা কোথায় আছি। যেখানে আছি সেখানকার শীর্ষে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই জীবনে উন্নতি করা যাবে, কিন্তু শেকড়ে বসে যদি সারাদিন আফসোস করতে থাকি তাহলে আসলেই কিছু করা যাবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৩