সেদিন সন্ধ্যাবেলা মা বলে গেলেন
বাবা নাকি আমার জন্য পাত্রী ঠিক করেছেন
পাত্রীর নাম “দূর্গা”।
পাত্রীর বাবা পয়শাওয়ালা,অভাব নেই
বাবার সকল দাবীর চাইতেও শ্বশুরমশাইয়ের মন বড়
আমার কিছুতেই মত নেই,আমি চাই না
আমার কলমীলতা কে ভাললাগে।
হোক সে নীচু জাত,হোক সে শূদ্রের মেয়ে
ভাবছি কলমীলতাকে নিয়ে পালিয়ে যাই
কিন্তু কলমীলতা তো জানেই না,তারে ভাল পাই,তার ভাল চাই
যাবার স্থান নেই বলে আমার ভাবনা বরফ জমাট।
তিন মাস পর--- আরেক সন্ধ্যাবেলা
আমি আর দূর্গা পাশাপাশি দাঁড়ানো আমাদের সংকীর্ণ বারান্দায়
মনে হল এক ঝলক দেখলাম তাকে
দীর্ঘশ্বাস ফেলে ফের যখন মুখ তুলে চাইলাম,ততক্ষনে সে অদৃশ্য
এভাবেই,
আনন্দময়ীর আগমনে কলমীলতারা হয় চোখের অন্তরাল।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬