প্রিয় সান্দ্রা,
সূর্যের পরিধি মেপে কালো রোদ ও কঙ্কাবতীর গল্প অন্য কোথাও বলবো। কুমির-রঙা মানুষ ও অন্যান্য হোটারোগ্লোসিয়া দূরে থাক। আজ কল-কারখানার দেঁতো হাসির সাথে স্বপ্নের উচ্চতর সৌন্দর্য্য পরস্পর অবিচ্ছেদ্য জানি...
কতো আর বাতাসে ভাসাবো কাফন পরিহিত কবুতর...
... না হয় জানোয়ারের মতো কর্ণদ্বয় একটু নড়ে উঠুক। চোখের পুত্তুলি আরেকটু প্রসারিত হলে ক্ষতি কি! কতোদিন হল শাহজাদী এক্সপ্রেসে করে য়াইনি কোথাও। তুমি কি কুর্ডিনোভস্কির খরগোসগুলো দেখে আসতে চাও!
সান্দ্রা,
রক্তচালিত ইঞ্জিন নৌকায় চড়ে আমরা কোনোদিন দূরপাল্লায় যাত্রা করি নি। মানবাস্তিত্বের সংকটের কথা বলে বলে তোমার হাইহিলে শুধু পেরেক ঠুকেছি। তবু জন্ম ও যৌনতত্ত্ব ভাল করে জানতে পারি নি, এমন কি প্রাদেশিক দুঃস্বপ্নের কাহিনীও...
আমাদের ধমনী কি জানে নিশ্চিত রক্তপ্রবাহের কথা!
সান্দ্রা,
সবার জীবনে ঝড়ের কোন রজনী থাকে না
তুমি কি এখনো সেই অগ্নিপচা গন্ধ টের পাও
...জানই তো, নিস্ক্রিয় দর্শকের মতো অগভীর উপলব্দি আমার। ত্রিতত্ত্ব জানা নেই। তুষের অনলে, দাউ দাউ উনুনের পাশে কাচের চূড়িপরা হাত কী করে দেখতে পাব বলো!
দুগ্ধখামারের পাশে কালোচাঁদ দেখে দেখে কতো রাত পার হয়ে গেলো! বিস্তরণের একটুও সামর্থ নেই; আধ্যাত্নিক ঐক্য নেই কারো সাথে। চারিদিকে এতো ঘাম, ঘ্যানঘ্যানে অন্ধকারে একটা মাত্র লন্ঠন জ্বলছে তো নিভছে... নিভছে...
বিধ্বস্থ হনুমানের গল্পটিও বলা যাবে না তোমাকে। বরং স্মৃতিসম্মত বলি-
১। ষাটগম্বুজ মসজিদসহ খাঁন জাহান আলীর কথা
২। খাঁন বাহদূর আহসান উল্লার ১৯টি স্মৃতি
৩। রাজা রামমোহন রায় থেকে রঞ্জিতা দাশ গুপ্ত... ইত্যাদি ইত্যাদি...
অথবা যৌনজোড়া নিয়ে উচ্চহাস্য হতে পারে--
১। রাষ্ট্রীয় রেওয়াজ অনুযায়ী কারা কারা পেছন থেকে মিলিত হয়
২। মিসরীয় পতিতাটি কেন যে বোরখা পরে হাজী ক্যাম্প হতে নেমে এলো মধ্যরাতে
সান্দ্রা,
এইসব সুখাত্নক গাঁথুনি দিয়ে আমরা কি নির্মাণ করবো নির্জন হেরেম শরীফ মেঘনার তীরে!
নতুন শষ্যকাটা শেষ হয়ে গেছে। মৃত আত্নারা আমাদের গৃহ পরিভ্রমণে আসবেন। তুমি কি আজ আঙুর দিয়ে আখনি রান্নায় মনযোগী হবে!
তুমি রান্না করো
জগতের সব কীটানু কফিন হতে বেরিয়ে আসুক প্রশস্ত পুষ্টি