সমাজকে একটি মার্কেটপ্লেস হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে পুরুষরা সম্পদের বিনিময়ে নারী থেকে যৌনতা অর্জন করতে চায়। সেটা হতে পারে পরিবারে, হতে পারে কর্মক্ষেত্রে হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং হতে পারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ব্যাবসার ক্ষেত্রে একজন ক্রেতা থাকে এবং একজন বিক্রেতা থাকে, যৌনতা এমন একটি পন্য যা নারী পুরষের কাছে বিক্রি করে থাকে। আমাদের বর্তমান সমাজে প্রত্যেক্টি পুরুষ নারীকে দেখে যৌনকামনার বিক্রেতা হিসেবে তাকে মানুষ হিসেবে মানতে নারাজ। বর্তমান সমাজে নারীর যৌন আবেদনমোয়ী দেহকে কাজে লাগিয়ে পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষন করতে বড় বড় ব্যাবসা প্রাতিষ্টান, নামধারী সমাজ সেবক, বুদ্ধিজীবী সবাই ব্যাস্ত। নারীর আবেদনমোয়ী দেহ ও পুরুষের লোলুপ দৃষ্টি এই দুটি এখন ব্যাবসার মুল হাতিয়ার । একজন পুরুষ নারীর আবেদনময়ী দেহের দিকে লোলুপ দৃষ্টীতে তাকাবেই এটা তার স্বভাবজাত প্রবৃতি, পুরুষ যখন নারীর দেহে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকায় তখন তার ব্রেনের নার্ভসিষ্টেম সঠিক ভাবে কাজ করতে পারেনা তাই পণ্যের গুনাগুন নিয়ে তার চিন্তা করার সময় থাকে না ।
সাম্প্রতিক সময়ে এক গবেষোনায় দেখা গেছে যখন কোন পুরুষ নারীর সংস্পর্শে আসলে ব্রেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেসেজ পাঠাতে থাকে পিটুইটারী গ্ল্যান্ডে, যার ফলে পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন আগের থেকে বেশি মাত্রায় নিঃসরিত হতে থাকে এবং এর ফলে মুখের লালা বেড়ে যায়। এ সময় ছেলেদের আচার আচরণেও ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ করা যায় যা স্বাভাবিক আচার আচরণ থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এক্ষেত্রে পন্যের মানের চেয়ে নারীর দেহের আবেদন গুরুর্তপূর্ন । প্রায়ই বিভিন্ন গাড়ীর বিজ্ঞাপন চিত্রে নারীদের গাড়ির সামনে বিকিনি পরা অবস্থায় দেখা যায়, কিন্তু কেন? এখানে নারীর কে চালাবে নাকি গাড়িকে? নাকি গাড়ী বিক্রি করছে নাকি নারী ? এখানে মূল বিষয় হচ্ছে রাস্তার বিলবোর্ড এ শুধু গাডীর ছবি থাকেলে বেশিভাগ পুরুষই ঐ বিলবোর্ড এর দিকে তাকাবে না তাই পন্যের প্রচার বেশি হবে । সুতরাং এখানে নারীর দেহ ও পুরুষের লোলুপ দৃষ্টই এই ব্যাবসার মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ছাত্রীর আকর্শনীয় দেহপল্লব সব ছাত্র শিক্ষকেই আকর্ষণ করে কারন ছাত্র ও শিক্ষক দুজনেই পুরুষ হতে পারে বয়সের পার্থক্য কিন্তু কমনা একই। একটা কথা প্রচলিত সুন্দরীদের বন্ধুর অভাব হয় না, সুন্দরীদের ব্যাবহারে কেও বন্ধু হয় না বন্ধু হয় দেহের আকর্ষনে। বিশ্ববিদ্যালয়য়ে কিছু কিছু শিক্ষক ছাত্রীকে বেশি মার্কস দেয় বিনিময় প্রথার মাধ্যমে , এখানে দেহের বিনিময় হয়, হয়না জ্ঞানের বিনিময়। কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ে এই ধরনের অনাকঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে, এখানেও নারী দেহ প্রাপ্তির প্রবল কামনা। অর্থাৎ নারীদেহ ভালো রেজাল্ট করার পাথেয়। সুতারং নারীর যৌনতা শিক্ষার চেয়ে মুল্যবান।
কর্মক্ষেত্রে নারী আবেদনময়ী দেহে বসের কাছে প্রমোশনের একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে সব মেয়ে বসের কাছে নিজেকে সেই ভাবে উপস্থাপন করতে পারে তাদের প্রমোশন দ্রুতই হয় আর যারা পারেনা তাদের প্রমোশন হয় ৫ বছর পর। এখানে বস তার সহকর্মীর কর্মদক্ষতা দেখে না দেখে তার দেহের দক্ষতা। এখানেও দেহের আকর্ষনের কাছে হেরে গেল কর্মদক্ষতা।
একজন নারী এখন পুরুষের কোন ধরনে সাহায্য ছাড়াই সন্তান জন্ম দিতে পারে কিন্তূ পুরুষ নারীর গর্ভ ছাড়া সন্তান জন্মদিতে পারেনা ।
সুতারং একজন নারীর দেহ, যৌনতা, তার গর্ভ সবকিছুই অর্থনৈতিক বিবেচনায় অনেক দামি ও মহামূল্যবান । নারীর এই সম্পদ হিরকের চেয়েও মূল্যবান, অর্থাৎ নারী তুমি ও তোমার দেহ এই পৃথিবীতে সবচেয়ে দামী বস্তূ যাকে সবাই পেতে চায় । তোমাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তুমি তোমার এই সম্পদ নারী সৌন্দর্্য বিকাশের নাম করে রাস্তাঘাটে বিলিয়ে দিবে নাকি সংরক্ষণ করবে? তুমি গ্ল্যামারের নাম করে ব্যাবহার হতে দিবে নাকি মূল্য বাড়াবে? বিপথগামীদের কাছে নিজকে সমর্পন করবে নাকি অপেক্ষা করবে? তোমার দেহ, সৌন্দর্্য, যৌনতা ও সিদ্ধান্ত একান্তই তোমার?