ব্যস্ত নগরীতে হাঁটা বাবার নাম শোনেননি, এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। পিচঢালা রাজপথে ভক্ত ও অনুরাগীদের নিয়ে হাঁটতেন মাইলের পর মাইল। তার পুরো নাম মোহাম্মদ জুলফিকার হায়দার। ভক্তরা ডাকেন 'হাঁটা বাবা' নামেই। রাজধানীর অলিতেগলিতে আর দেখা যাবে না এই হাঁটা বাবাকে। থেমে গেছে তার জীবনের গল্প।
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৮টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মোহাম্মদ জুলফিকার হায়দার। তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। তার মৃত্যুর খবরে ভক্তদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। দীর্ঘশ্বাস ফেলেছেন অন্যরাও।
মৃত্যুর পর হাঁটা বাবার মরদেহ রাজধানীর মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে রাখা হয়েছে। হাজারো ভক্ত-অনুসারী সারিবদ্ধভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। দেখতে আসা ভক্তদের কেউ কোরআন পড়ছেন, আবার কেউ তজবি জপ করছেন।
শেষবারের মতো হাঁটা বাবার শবযাত্রায় হাঁটতে চান তারা। হাঁটা বাবা রেখে গেছেন তিন ছেলে- মোহাম্মদ লাডলা হায়দার, শাহজাদা হাইদার ও আনোয়ার হায়দার।
বড় ছেলে লাডলা বলেন, “এশার নামাজের পর মোহাম্মদপুর কবরস্থানে বাবার দাফন সম্পন্ন হবে। আমার ইচ্ছা ছিল বাবার কবরটা যেন একটু আলাদাভাবে দেয়া হয়।"
তিনি বলেন, ৬ মাস আগে হার্ট অ্যাটার্ক করেন তার বাবা। চিকিৎসকরা উনাকে (বাবা) রেস্টে থাকতে বলছিলেন। কিন্তু তিনি তো হাঁটা ছাড়া থাকতে পারেন না। অবশেষে হেঁটে হেটেই ক্লান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন।”
সূত্রঃ পরিবর্তন.কম