মনে আছে কিভাবে হেফাজতের উপর নারী বিদ্বেষের অভিযোগ উঠেছিল? মনে আছে কিভাবে পুরো সমাজে ঢিঢি পড়েছিল? মনে আছে কেমন ইমোশনাল প্যানিক তৈরী হয়েছিল?
সেদিনের সেই প্রতিক্রিয়াটাকে অনেকে অতিরঞ্জিত বললেও সবাই ঐ নারী সাংবাদিকের সাথে এমন আচরনের একবাক্যে নিন্দা করেছিলাম।
আজকে এই ছবিগুলো দেখুন। দেখে প্রতিক্রিয়া দিন। বলুন, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনদের হাতেই দেশের নারীরা সবচেয়ে বেশী নিগৃহীত, লাঞ্ছিত এবং আহত।
আজ এই দু'জন নারী'র সন্তানেরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পর্কে কি ভাবছে? এই ছবিটি দেখার পর এই নারীদের পিতা ও ভাই কি অনুভব করছে? আজ বাংলাদেশে কোন পক্ষের শক্তি লাঠিতে দেশের পতাকা বেঁধে নারীদের উপর এই বর্বর আক্রমন করছে? স্বাধীনতার বিরোধীরা নাকি স্বাধীনতার স্বপক্ষের লোকেরা?
আর যারা সেদিন ৭১টিভির সাংবাদিকের দৌড় দেখে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল তারা যদি তৎকালীন প্রতিক্রিয়ার ৪গুন বেশী প্রতিক্রিয়া না দেখায় তাহলে ওদের মুখে থুথু দিন, ওদের অভিশাপ দিন, সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করুন ওদের যেন কুষ্ঠ হয়, ওদের চোখ যেন অন্ধ হয়ে যায়, ওদের আঙ্গুল যেন খসে পড়ে, সৃষ্টিকর্তা যেন ওদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করেন এবং এই বাংলাদেশে যেন আর কোন মা-বোনের ইজ্জত এভাবে মাটিতে লুটিয়ে পড়া থেকে স্বয়ং নিজ হাতে রক্ষা করেন।
তবে সবশেষে সৃষ্টিকর্তা মহান, আওয়ামী লীগের বর্বরেরা যখন একজন মহিলাকে মাটিতে ফেলে লাঠি দিয়ে পিটাচ্ছিল তখন নিউ এজ পত্রিকার সাংবাদিক সানাউল হক এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করে।
স্যালুট সানাউল হক!!!
...এই ঘটনায় একটা প্রাচীন শিক্ষা আবার পেলাম, নুরুল কবীরের সহকর্মীর এই আচরনে প্রমানিত হলো, জানোয়ারের সাথে থাকলে মানুষ জানোয়ার হয় আর সৎ লোকের সাথে থাকলে মানুষ মহান হয়!
স্যালুট সানাউল হক, ধ্বংস হোক ঐ মানুষরূপীর পশুগুলো!
সানাউল হকেরা আছে, থাকবে, সেজন্যই হারবে না বাংলাদেশ!!!