আমি বুঝি না জাফর ইকবালের ভক্তগুলো (চেতনা ব্রিগেড) অধিকাংশই এমন কেন?
এরা দেশের প্রতি বিন্দুমাত্র ভালবাসা ধারন করে না, অন্ধ ব্যাক্তিপূজারী এবং ইঁচড়ে পাকা অনধিকার চর্চাকারী
এরা দেশকে ভালবাসে না কারন, বেল কমিউনিকেশনসের চাকরী ছেড়ে রাজনীতি করতে বাংলাদেশে আসা স্বস্ত্রীক জাফর ইকবালের উপর নানাবিধ কারনে ফুলের ঝাপটা লাগলেও, ওরা আরম্ভ করে বাংলাদেশকে ও এদেশের মানুষকে অপমানজনকভাবে গালাগালি করা! মনে হয় তাদের মহান স্যার স্বস্ত্রীক চাকরী'র শর্তসহ এদেশে না এলে আমরা এখনো পাতিলের তলার কালি নিয়ে কলাপাতায় লেখতাম! ডঃ জাফর ইস্যুতে দেশের উপর বিরক্তি প্রকাশের মাধ্যমে চেতনা ব্রিগেডের আচরনে পরিষ্কার যে, তাদের কাছে তাদের স্যার এই বাংলাদেশের চেয়েও বড়।
এদের অন্ধ ব্যাক্তি পুজা ও হিপোক্রেসিটা পরিষ্কার হয় যখন দেখি বেল কমিউনিকেশনসের এক চাকুরের প্রতি এমন অনুগতরাই কিন্তু ডঃ ইউনুস যিনি নোবেল পুরষ্কার পেল, তাকে যখন রাষ্ট্রীয়ভাবে অপমান অপদস্থ করা হয় তখন এরা হয় সাথে তাল মেলায় না হয় নীরব লীগ হয়ে থাকে! এতে বোঝা যায়, বেল বা নোবেলের সন্মান এরা হিসাব করে না। চেতনা গুরুজীই মুখ্য।
আর এরা ইচড়ে পাকা অনধিকার চর্চাকারী কারন, শাঃবিঃ থেকে জাফর ইকবালের পদত্যাগের খবরের বিরোধীতাকারীগুলোরে দেখেন, অধিকাংশই ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে না, ইস্কুল-কলেজ না হয় বেসরকারী কোথাও পড়ে / পড়েছে কিন্তু গুরুর মতই একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশ না হয়েও তার প্রশাষনিক কাজকর্মে অন্যায় আবদারের মাধ্যমে শিশুতোষ নাকটা গলায়!
---
এই বাংলাদেশ ১৬ কোটি মানুষের, তার ভেতর একজন রাজনৈতিক এ্যাক্টিভিস্ট শিক্ষকের জন্য তরুন প্রজন্মের এহেন দৃষ্টিকটু অধঃপতনের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, এবং তাদের পরিবারকে অনুরোধ করছি তারা যেন নিজ নিজ সন্তানদের ব্যাক্তিত্ব ও নৈতিক বিকাশের দিকে নজর দেন।