যাদের দুঃখ অথবা শংকা অথবা তাচ্ছিল্য প্রকাশ করতো যে বিএনপি রাজপথে নরম, তারা আশা করি বেঁচে থাকতে আর তেমন কিছু মনেও আনবে না!
টেলিফোনের ভেতরেই বেগম জিয়া যেই পিকেটিং করছে চলমান আন্দোলনের জন্য এটুকুই যথেষ্ট
-------------------
তবে সিরিয়াস নোটে, আমি ভাবতেছি ২টা কথা।
১- দেশের শীর্ষ ক্ষমতাধর দু'জন নেত্রীর ফোনালাপ কিভাবে রেকর্ড হয় এবং কিভাবে ফাঁস হয়?
২- কে সেই অতিচালাক ২০১৩ সালের মোশতাক যিনি আওয়ামী ঘরানার ৭১ টিভিতে এই ফোনালাপ ফাঁসের বুদ্ধি দিল? এই ফোনালাপে জনগণ কিভাবে রিএ্যাক্ট করবে এটা তো ক্লাস থ্রি'র বাচ্চারও বুঝার কথা!
-------------------
ভাল লাগলো দেখে যে, রাগ-ক্ষোভ সবকিছু ছাপিয়ে, বেগম জিয়া আলোচনার মূল কেন্দ্র থেকে কিন্তু নড়েন নাই। তিনি একাধিকবার যেই পয়েন্টগুলো উঠিয়েছেন তা ছিল,
---আপনি যদি সত্যিকারের আন্তরিক হন তাহলে ২৯ তারিখ সন্ধ্যা ৬টার পর আলোচনার জন্য বসেন।
---আসেন দেশের স্বার্থে এসব বাদ দিয়ে নতুন করে শুরু করি।
--- এসব বাদ দেন, বুঝছেন, এসব বাদ দেন।
--- আমি পুরো রাত অপেক্ষা করেছি, আপনি কিছু বলেন নাই। এখন হরতাল প্রত্যাহার করা যাবে না, আপনি বলেন আমি ২৯ তারিখ আসছি।
--- আপনি ১৭৩ দিন হরতাল দিয়েছেন। বলেছেন আমাকে একদিনও শান্তিতে থাকতে দিবেন না।
--- আপনি যদি ৩০ তারিখে আলোচনা করতে চান, আমি রাজী আছি।
--- আপনে বলেন, আমি নির্দলীয় সরকার মেনে নিব, আমি হরতাল উইথড্র করে নিব।
-------------------
আর ঐদিক থেকে শেখ হাসিনা বললো, আমরা পার্লামেন্টে আছি, কখনো আমরা কখনো আপনারা ক্ষমতায় থাকবো। ( ইঙ্গিত কিন্তু পরিষ্কার!!!)
-------------------
খারাপ লাগলো, আমাদের রাজনীতির একেবারে চুড়ায় আবহাওয়া কতটা বিরূপ, তা দেখে!
-------------------
আর নিজে পাইলাম ২টা শিক্ষা,
প্রথমত, আমি পার্সোনালি এই ফোনালাপ শোনার আগ পর্যন্ত ভাবতেও পারি নাই শেখ হাসিনাকে কেউ এভাবে ধুঁয়ে দিতে পারে।
দ্বিতীয়ত, বুঝা গেল যে, রাজনীতিবিদ পরিবারের লোকজন দুর থেকে উষ্কানীমূলক কমেন্ট করেই মজা পায় আর সামরিক কর্মকর্তার পরিবারের লোকজন মজা পায় হাতের সামনে পাইলে ঐ উষ্কানীর সরাসরি জবাব দিতে!