বাংলা ব্লগ একটা প্রতিষ্ঠিত মাধ্যমে রূপ নিয়েছে ইতিমধ্যেই। বিশ্লেষন, বিজ্ঞাপন, স্ততি, সমালোচনা, কুৎসা রটনা, গালাগালি, ইতিহাস চর্চা, রাজনীতি, বিনোদন এবং ব্যবসার মত বিশাল বিশাল শিল্প কলা কৌশলের চর্চা হচ্ছে হরহামেশাই। ব্লগ হয়ে উঠেছে জনমুখর। বিশাল জনসংখ্যার বাংলাদেশ এবং তার চেয়েও বড় জনগোষ্ঠির বাংলা ভাষা'র ব্লগগুলোতে জনসমাগম আকর্ষনীয়। সব মিলিয়ে এটাকে যেমন একটা বৃহৎ বাজার বলা যায় তেমনই বলা যায় বৃহৎ মিলনায়তন, সাধারন মানুষের মেধা-ভাবনা-আবেগ বিনিময়ের মাধ্যমে মহৎ কিছু খুঁজে ফেরা'র নির্ধারিত স্থান।
বাস্তব জগতের মতই লেখক এবং পাঠকের বিরাট দলের মাঝে সুযোগসন্ধানী লোকজনও কম না। যেখানে প্রকৃত মান কাম্য সেখানে ফেব্রিকেটেড মান অনাকাঙ্খিত! কিন্তু মাঠে ফসল হবে কিন্তু আগাছা হবে না এমন দাবী কাম্য নয়। কেউ এমন দাবী করলে সেটা বাস্তবতা বিবর্জিত, এবং আগাছা নিয়ে বেশি হৈচৈ করা এফিশিয়েন্ট ও বাস্তববুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কাজ নয়।
নিজেকে বাস্তববুদ্ধি সম্পন্ন প্রমানের আশাতেই এখন মূল আলোচনায় চলে আসি। ব্লগের এবং ব্লগারদের সম্পর্কে ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষনলব্ধ কিছু আলোচনা-সমালোচনার মাধ্যমে বিশ্লেষন করাই আমার এই পোস্টের উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশের প্রথম কম্যিউনিটি ব্লগের বয়স ৬ বছর, যার মানে কমিন্যিউটি ব্লগ নিতান্তই শৈশবে রয়েছে। কিন্তু বাল্য বয়সেই যেমন মেধার ঝলক দেখে পন্ডিতেরা শিশুর প্রতি আগ্রহি হয়ে উঠে তেমনই ব্লগের শৈশবেই এখন সমাজের বড় বড় পন্ডিতেরা চশমা নামিয়ে ব্লগকে চোখে চোখে রাখতে শুরু করেছেন। পন্ডিতদের রেকমান্ডেশনে সমাজের অভিবাবকেরা, মানে বণিক এবং সমাজপতিদের দলগুলোও কমিউনিটি ব্লগের প্রতি আগ্রহী হয়েছেন।
কম্যিউনিটি ব্লগের শিশু কালেই সমাজের মুরুব্বীরা এর "গার্জিয়েনশিপ" দখলে নেয়ার চেষ্টা শুরু করেছেন। কর্পোরেট বিগ শট, ট্রান্সকমের "প্রথম আলো" এবং বসুন্ধরা'র "বিডিনিউজ" নামে ব্লগ খোলার চেষ্টা প্রমান করে যে বণিক মুখ্যপরিচয়ে সমাজে'র শীর্ষস্থানীয়রা ব্লগে আগ্রহী। এরা মূলত প্রকান্ড আকারের বাজারটিকেই দেখছে। চৌধুরী সাহেবরা যেমন প্রচুর টাকার মালিক হয়েও গরীবের সন্তানের প্রতি মেয়ের ভালবাসা ঠেকাতে না পেরে সাময়িক ব্যর্থ হন, তেমনই বণিকদের ব্লগগুলো আপাতত ব্যর্থ!
কমিউনিটি ব্লগের প্রতি রাজনীতির শীর্ষস্থানীয় এবং ভিন্ন বিশ্বাসের সমাজপতিরাও আগ্রহী। "আমার ব্লগে"র মালিক শ্রেণীর একজন আগামীতে এমপি ইলেকশনে আগ্রহী একজন। আওয়ামী লীগের কাছের মানুষ হিসেবে তিনি ইতিমধ্যেই নিজ ব্লগটিকেও আওয়ামী ব্লগের মর্যাদা দিয়ে দিয়েছেন। "আমার বর্ণমালা" নামে রয়েছে প্রো-বিএনপি ব্লগ। বর্তমান বিরোধী দলের মতই "এই আছি, এই নাই" ভাবে হলেও, ওরা আছে। আরো রয়েছে জামাতের ব্লগ"সোনার বাংলাদেশ"! এই হলো রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যক্ষ ব্লগ মানে যা খালি চোখেই বোঝা যায়।
এর বাইরে রয়েছে ভিন্ন পেশাজীবি কিন্তু সমমনা গোষ্ঠি'র ব্লগ! যেমন আছে নাস্তিক এবং ইন্টারন্যাশনালিস্ট গ্রুপের ব্লগ " মুক্তমনা", তেমনই আছে আস্তিক "সদালাপ"! এগুলো মূলত এক্সপার্টাইজ প্রবাসী এবং ইন্টেলেকচুয়ালদের স্টেক। আবার সমাজের অন্যতম স্টেকহোল্ডার গ্রুপ, সাহিত্যিকদের রয়েছে ভার্চুয়াল আজিজ মার্কেট "সচলায়তন"! আর জনসাধারনদের প্রতিনিধী, মানে খেটে খাওয়া,আজাইরা খাওয়া, মেধাবী, ধান্ধাবাজ মানে ১২ রকমের মানুষের এবং সকল শ্রেণীর প্রতিনিধিত্বকারীদের প্রতিনিধি হচ্ছে "সামহোয়্যারইনব্লগ"
দেখেছেন? এক আর্মি ছাড়া, বাস্তব জগতে ক্ষমতার জন্য যাদের মাঝে প্রতিযোগীতা চলে তাদের সকলেরই কিন্তু ব্লগে অংশ রয়েছে!
এবার আসি ব্লগারদের সম্পর্কে।
বিরাট এই জনসমাগমের একটা মজার বৈশিষ্ট হচ্ছে এখানে ঢুকার সময়ই সবাইকে একই পরিচয় নিয়ে সাম্যবাদি হয়ে ঢুকতে হয়! সবার এক পরিচয়, সবাই ব্লগার!
এরা সবাই পড়া এবং লেখার জন্য বিবেচ্য এবং অনুমুতিপ্রাপ্ত! তবে প্রকৃতি যেমন সব কিছুর একটা ভারসাম্য করে ফেলে তেমনই ব্লগিশ্বর বা প্রকৃতির খেয়ালে অগ্রগামী এবং রিয়েল ব্লগার বলে কয়েকজনের পরিচিতি গড়ে উঠেছে। মূলত ব্লগের সব লেখকই অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যতের নির্দেশনা দেয়ার চেষ্টা করে তবে অল্প কয়েকজনই সফল হয়।
ব্লগের বাইরের কেউ যদি আমার কাছে কয়েকজন ব্লগারের নাম জানতে চায় অথবা আমাকে যদি ব্লগার বিশ্লেষন করতে বলা হয় তবে আমি কয়েকজনের নাম নিব যাদের একই সাথে আমার প্রিয় ব্লগারও বলা যায়। যারা প্রত্যেকে নিজ নিজ দোষে-গুনে, মেধা-যোগ্যতায়, সুরুচি-কুরুচির কারনে অনন্য এবং রিয়েল ব্লগার!
ফিউশন ফাইভ --- বাংলা ব্লগ জগতের একটি ঐতিহাসিক এবং অবাস্তব নিক। বর্তমানে সামহোয়্যারইনের ব্লগার হলেও সারা ব্লগ জগতেই সে প্রতিষ্ঠিত। কোন নির্দৃষ্ট ব্লগ বিতর্ক ও সমালোচনার ক্ষেত্র এই কমিউনিটি ব্লগে যত বড় বড় বিতর্ক হয়েছে তার সব কটিতেই তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছেন। এবং প্রায় প্রতিটি বিতর্কের চুড়ান্ত সমাপ্তির সময়, বেশি মানুষের সমর্থন জিতে গণতন্ত্রের নিয়মে সফল হয়েছেন। তার নিকের সাথে যেই, "প্রথম আলো"র মত মিডিয়া টাইকুনের নাম রয়েছে তাদের মতই সে নিজেও বিগ ম্যাচের প্লেয়ার। এটিম বধ, নেভারেস্ট কাহিনী, শিবিরের ভারত বিরোধী আন্দোলন ছিনতাই প্রতিরোধের মত ঘটনায় সে পরিষ্কার বিজয়ী! এর বাইরেও সে যেই টপিকেই লেখুক না কেন, সেটা পরবর্তিতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে এই লিস্টে রাজনৈতিক এবং ব্যাক্তিআক্রমনমূলক নানা রকমের ফটোশপ ফান থেকে শুরু করে কবিতা বিরোধী আন্দোলন বা ব্লগ নিয়ে রম্য বা ব্লগ সংকলন অথবা ই-বুক প্রকাশ রয়েছে। সফলতার গানিতিক বিবেচনায় এবং জনমত প্রভাবিত করার ইতিহাসের ভিত্তিতে ফিফা একটি সফল ব্লগ নিক। সে দেশপ্রেমিক ব্লগারের মতই রাজাকার বিরোধী, রাজনীতি সচেতন এবং বড় ধরনের অনিয়মের প্রতিবাদী।
তার সমালোচনা করতে গেলে বলতে হবে, সে বুর্জোয়া, মানে মধ্যবিত্তের বিপ্লবী দেশপ্রেমিক। যতসম্ভব কম ঝুঁকিতে কাজ করায় আগ্রহী। এর পেছনে কতটুকু নিকটির ভবিষ্যত নিশ্চিতের প্রচেষ্টা আর কতটুকু বণিক শ্রেণীর ইন্ধন তা মাঝে মাঝেই ঘোলাটে হয়ে যায়!
হিমু --- সচলায়তনের হিমু নিশ্চিতভাবেই খুব ভাল পর্যবেক্ষক এবং সেই সুত্রেই একজন সফল ও কঠিন সমালোচক। প্রাক্তন বুয়েটিয়ান এই ব্লগার বেশ সফলতার সাথে রাজনীতি, স্যাটায়ার সাহিত্য, জাগতিক সব বিষয়ে সমালোচনা, সোশ্যাল এওয়্যারনেস থেকে শুরু করে খেলাধুলা এবং প্রকৃতি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা থেকে লেখে। তার লেখায় বিষয় বৈচিত্র থেকে পড়াশোনার প্রতি তার আগ্রহ এবং দক্ষতা টের পাওয়া যায়। অত্যন্ত সফলভাবে একহাতেই একটি ব্লগ চালিয়ে তার নেতৃত্বশক্তি'র প্রমান সে নিয়মিতই দিচ্ছে। কমিউনিটি ব্লগিংয়ের অন্যতম থিম যদি হয় সমালোচনা, তবে হিমু এই ক্ষেত্রে পাইওনিয়ার। হিমু বেশ স্বাধীনচেতা। সাহিত্যব্লগের নেতা হিসেবে কি-বোর্ডের স্বাধীনতা বজায় রাখা তার জন্য সহজ হলেও এটা নিশ্চিত যে সে নিজ যোগ্যতায় দীর্ঘ সময় ধরেই বড় বড় ইস্যুতে সর্বোচ্চ বিতর্কের সূচনা করেছে। প্রথম বাঙালের এভারেস্ট বিজয়কে চ্যালেঞ্জ, হুমায়ুন আহমেদের কাছে "ক্ষমা প্রার্থনা'র দাবী"! প্রথম আলোর মিডিয়া মনোপলির তীব্র সমালোচনা! রাজাকার ও ধর্মীয় মৌলবাদীদের তীব্র সমালোচনাগুলো সে যথেষ্ট যুক্তি-প্রমানসহকারেই করেছে। অভিজ্ঞতা এবং বয়সের উত্তেজনার ফলে চুড়ান্ত ফলাফলে কয়েকবার ধরাশায়ী হলেও হিমুকে নিজ পজিশন ধরে দাড়িয়ে থাকার সৎ সাহস ত্যাগ বা প্রতিষ্ঠিত কোন শক্তির সামনে মাথা ঝুঁকাতে দেখা যায় নাই! লেখনী এবং শব্দচয়নে তার রুচি অনেক উঁচু মানের।
তার সমালোচনায় বলতে হয় যে, প্রথমত সে একনায়ক স্বভাবের। সে এক ধরনের মৌলবাদের বিরোধীতায় সে নিজেও অন্য ধরনের মৌলবাদ প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করছে। আর তার বড় বেশি স্বাধীনচেতা এবং সবকিছুর সমালোচনার স্বভাবটা অনেকের চোখে বেয়াদবী মনে হতে পারে।
অভিজিৎ রায় --- মুক্তমনা ব্লগের কান্ডারি অভিজিৎ নিঃসন্দেহে মেধাবী। তার বিষয় মানে বিজ্ঞান বিষয়ক জ্ঞান তার ঈর্ষনীয় অন্যান্য বিষয়েও তার বলা কথা সবসময়ই ভাবনা'র দাবিদার। প্রাতিষ্ঠানিক মানের আলোচক। নিত্যজীবনে বিজ্ঞানের সংশ্লিষ্টতা প্রচারই তার কাজ। প্রচন্ড এনার্জেটিক ব্রাইট ব্লগার। মার্জিত ও যৌক্তিক চরিত্র হিসেবে প্রবাসী নাস্তিক সংঘের ব্র্যান্ড এম্বাসেডর হবার জন্য পার্ফেক্ট। প্রবাসীদের বাইরেও তাবৎ বাংলা ব্লগে সংখ্যালঘু নাস্তিকদের আইডিয়াল ম্যান অভিজিৎ রায়। নাস্তিকদের পরিচয়কে মুক্তমনা নামে প্রতিস্থাপনের কৃতিত্ব তারই। সামাজিক রীতি-নীতির কারনে বঞ্চিত গ্রুপের পক্ষে এক্টিভিস্ট রুপে দেখা গেছে তাকে। সমকামীদের নিয়ে সেই প্রথম বাংলা ভাষায় বই লিখেছে। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বিচরনকারী র্যাশনালিস্ট ও এথিস্টদের যেই মেধা ও মান, অভিজিৎ রায়েরও সেই একই মান রয়েছে বলেই খুব অল্প সময়েই বাংলাদেশের গণসমাজে বহুদিনের নিষিদ্ধ নাস্তিকতাকে বেশ ভালো ভাবেই প্রমোট করেছেন। আমি তার জ্ঞানের গভিরতাকে শ্রদ্ধা করি। আপাত অরাজনৈতিক ও স্বাধীনচেতা অভিজিৎ রায়ের শক্তির উৎস সম্পর্কে কোন পরিষ্কার ধারনা কারো নেই। তবে ব্লগারদের এবং মূলত মৌলবাদি ব্লগারদের সন্দেহ তার শক্তির উৎস দেশের বাইরে!
তার সমালোচনা করতে যেয়ে বলা যায়, অভিজিৎ রায় যা করেন সেটা প্রচলিত কিছু শান্তি ও সমাজবিরোধীদের সাথে মিলে যায়! প্রবাসে বসবাস করে স্পর্ষকাতর ইস্যুতে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবাংলা'র লেখকদের নিয়ে লেখালেখি করা এবং প্রায়ই বিজ্ঞান চর্চার সাথে রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের চর্চা করা ঠিক মানায় না। মৌলবাদিরা যেই অপশক্তির বর্ণনা করেন তারা ঠিক তেমন আচরন করে বলেই, তাদের মৌলবাদ বিরোধীতা অনেক ক্ষেত্রেই মৌলবাদ উষ্কে দিয়েছে।
অমি রহমান পিয়াল --- ভার্চুয়াল ব্লগস্ফিয়ারে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠায় বাস্তব জীবনে নিরলস কাজ করে চলা একজন জন্মযোদ্ধা অমি রহমান পিয়াল। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্লগে জাতীয় পর্যায়ের এবং উন্নতমানের একমাত্র ডিভোটেড গবেষক সে। ব্লগারদের মাঝে মূলত তার কাজগুলোই ব্লগের বাইরে ব্লগের জন্য ব্যাপক সুনাম এবং গ্রহনযোগ্যতা এনে দিয়েছে। শুধু এটুকুই নয়, বাস্তব জাতীয় জীবনে আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্মগুলোর অসচেতনতার কারনে রাজাকাররা রাজনীতির মাঠ দখলের যেই গেমে সফল হয়েছিল। অমি রহমান পিয়ালদের "এ টিমে"র অক্লান্ত পরিশ্রমের কারনে ব্লগে সেটা ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। বাংলা ব্লগস্ফিয়ারে রাজাকার বিরোধীতায় অনেক অনেক ডিভোটেড যোদ্ধা থাকলেও, নিয়মিত গবেষনা এবং উদ্ভবনী লেখনী দ্বারা তার ভূমিকা শীর্ষস্থানীয়। অমি রহমান পিয়ালের ব্লগিং প্যাটার্ন মূলত মুক্তিযুদ্ধের উপর গবেষনা এবং রাজাকার বিরোধীতা। এরমাঝে সীমাবদ্ধ থেকেই সে ইস্যুটিতে সফল ও কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে। মাঝে পর্ণ সাইটে সফলভাবে চটিও লিখে সমাজের লুল শ্রেণীর মাঝেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়ানোয় সফল হয়েছে সে। চটি লেখা বা বাংলা পর্ণো ইন্ডাস্ট্রির সাথে যুক্ত হবার কারনে যত বিতর্কই হোক না কেন, সে যা চেয়েছিল, রাজাকার বিরোধীতা, সেটা সে সফলভাবেই করেছে এবং আজো করে চলছে।
তার সমালোচনায় বলা যায়, প্রাক্তন জামাত প্রতিষ্ঠান ফুলকুড়ি ছেড়ে এসে সেই জামাতে-শিবির বিরোধীতা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তুলে ধরার কাজে সে যেই পরিমানের গালাগালি বা অশ্লীলভাষা সে ব্যবহার করেছে তার প্রয়োজনীয়তা থাকা স্বত্বেও সেটা উচিৎ হয় নাই। তার মত আইকন ব্লগারের শ্লীলতার মাত্রা ব্লগে ব্লগে গালিবাজ ব্লগার তৈরীতে নিশ্চিতভাবেই ভূমিকা রেখেছে। আর সে ফিফা,হিমু,অভিজিতের মত স্বাধীনচেতা নন। অমি রহমান পিয়াল আওয়ামী লীগের প্রতি দুর্বল বলেই পরিচিত। অবশ্য উপরোক্ত ৩ জনই বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে অনুপস্থিত সেই ক্ষেত্রে অমি রহমান পিয়ালের এমন স্ট্যান্ডের কারন অনুমেয়!
উপরের ৪ জনকে বাংলা ব্লগের ৪ খলিফা বলে ভুষিত করা যায়।
তার মানে এই নয় যে এরা "এলিট" বরং এর মানে হচ্ছে এরা উল্লেখযোগ্য! পুরো পোস্টে যাদেরই নাম নেয়া হয়েছে প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে নিজ নিজ সুনাম দুর্নামের মাধ্যমে শীর্ষ অবস্থানকারী!
আবু সাইদ জিয়াউদ্দিন --- সদালাপ এবং একইসাথে মুক্তমনা ব্লগের কারিগর যিনি এস্কিমো নামেও পরিচিত। তিনিও প্রবাসী মেধাবী ব্লগার। স্বচ্ছ চিন্তাভাবনা, উপযুক্ত যুক্তির প্রয়োগ এবং সুবিচারের প্রতি আন্তরিক ব্লগার এস্কিমো ব্লগের আস্তিকদেরও প্রিয় পরিচিত মুখ। রাজাকার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম কান্ডারি এস্কিমো উপরোক্ত ব্লগারদের মত চমক জাগানিয়া প্রোফাইলের অধিকারী না হলেও, তার সুবিবেচনা এবং সুপরিকল্পনা তার পরিনত মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ। হয়তো বয়স এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে! তিনি স্ট্যাটাস কো ধরে রাখার পক্ষের একজন। এবং বিশ্বব্যাপী প্রসারিত "ইসলাম বিদ্বেষ" সম্পর্কে অবগত একজন। সেজন্যই তাকে দেখা গেছে বিভিন্ন জায়গায় আক্রমনের মুখে পড়তে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার সঙ্গীরা তার সঙ্গ না দিলেও সে দমে যায়নি। বরং নিজের মত করে আস্তিকদেরকে প্ল্যাটফর্ম গড়ে দিচ্ছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ আস্তিকরা যেখানে তাদের উপর আক্রমন সামাল দিতে প্রায়ই হিমশিম খায়, সেখানে আবু সাইদ জিয়াউদ্দিন একাই ব্যাপক ডিফেন্স তৈরী করেন।
তার সমালোচনায় বলা যায়, তিনি স্ট্যাটাস কো পন্থি। তার পক্ষে স্বাধীনতা বজায় রেখে ব্লগিং সম্ভব হলেও তিনি কোন এক কারনে আওয়ামী পন্থী। এছাড়া যদিও তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে ছাগু নামের রাজাকারদের দুরে সরিয়ে রাখতে। কিন্তু সমালোচনা আছে যে, আস্তিক পরিচয়ের আড়ালে থাকা ছুপা ছাগুদের প্রতি তিনি নমনীয়।
ডঃ আইজুদ্দিন --- আরেকজন লিজেন্ডারি ব্লগার। তীক্ষ্ন হিউমোরের সহিত প্রতিপক্ষকে তীব্র আক্রমনের জন্য অনুকরনীয় একজন। তার নিকটির মতই সেও একজন অবাস্তব চরিত্র। ওনার এক আত্মীয়া শিবিরের একজনকে বিয়ে করা স্বত্বেও তার রাজাকার বিরোধীতা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে রাজাকার বিরোধী আন্দোলনে তার অবদান অমি রহমান পিয়ালের তুলনায় কোন অংশেই কম উচ্চারিত হবে না, অন্তত ব্লগস্ফিয়ারে তো সে ইউনিক। ব্লগজগতে অনেক ডায়ালগের জনক, সেই সাথে ভার্চুয়াল বুলিং প্রতিষ্ঠায়ও অগ্রগামী সে। অশ্লীলতা এবং ভার্চুয়াল বুলিং যে জীবনেরই অংশ সেটার প্রমান ডঃ আইজুদ্দিন। বাস্তব সমাজে পরিচিত "গুন্ডা" টাইপের আচরনের মাঝেও তিনি তার প্রায়ই এমন কিছু পোস্ট লিখেছেন যারজন্য সে যে উচ্চ মেধাবী ব্লগার সে নিয়ে কারো সন্দেহ হয় না এবং সেজন্যই "গুন্ডা" হয়েও ডঃ আইজুদ্দিন ব্লগারদের পছন্দের একজন।
তার সমালোচনায় বলতে হয়, ডঃআইজুদ্দিনের সম্ভবত মেধার অপচয় পছন্দ। সেজন্যই সে তার মেধা এবং সময় ব্যায় করে "ব্যাড বয়" ইমেজ তৈরী করছে!
ত্রিভুজ --- তরুন মেধাবী ব্লগার। উন্নতমানের টেকনিশিয়ান এবং স্বনির্ভর ব্লগার। যদিও রাজাকার ব্লগারদের তালিকায় তাকে লিজেন্ডারি হিসেবে ধরা হয় এবং অমি রহমান পিয়ালের মত রাজাকার বিরোধীর অনুপ্রেরনা সে কিন্তু তার যুক্তি ও বিচক্ষন লেখনীর দরুন ব্লগের বাইরের মানুষের চোখে হোয়াইট কলার্ড হিসেবেই বিবেচিত হবে। বর্তমানে ব্লগে বেশ অনিয়মিত হলেও তার অতীত বেশ সমৃদ্ধ। সে রাজাকারদের অনুরূপ যুক্তি ও সমালোচনা এমনকি রাজাকারদের অনুরূপ সমালোচনার ইস্যু ও ভাষা ব্যবহার করলেও সে এখনো কোথাও রাজাকার প্রমানিত হয় নাই। এটা সত্য যে, ব্লগস্ফিয়ারে নিয়মিত প্রতিটি ব্লগার তাকে ছাগু হিসেবে জানলেও "রাজাকার সমর্থনের প্রমান" সংক্রান্ত তার বহু পুরাতন চ্যালেঞ্জ দিয়ে সে আজো টিকে আছে! এবং বর্তমানে চলা "রাজাকার বিচারে" এখন পর্যন্ত বিচারাধীন রাজাকাদের প্রতি তার কোন সহানুভুতি প্রকাশ পায় নাই। রাজনৈতিক এবং সোশ্যাল ইস্যুতে সে নিয়মিত লেখে!
তার সমালোচনায় বলা যায় যে, সে কাগজে কলমে অপ্রমানিত হলেও তার রাজাকার পরিচয়কে ঘুচানোর জন্য তার মাঝে কোন তাড়না দেখা যায় নাই যা তার প্রতি প্রচলিত ধারনাকেই শক্ত করে। আর তিনি যেই ইস্যু ও যুক্তি প্রচার করে তা রাজাকারদের প্রপাগান্ডার সাথে একদম মিলে যায়!
আসিফ মহিউদ্দিন --- ভার্চুয়াল ব্লগকে বাইরের বাস্তব জন-জীবনে এবং ব্লগারদের এক্টিভিস্ট রূপে প্রতিষ্ঠা করায় অত্যন্ত সফল একজন প্রথাবিরোধী ব্লগার। অমি রহমান পিয়াল ছাড়া সেই একজন যিনি বাস্তবজগতে ব্লগার পরিচয়ে পরিচিত। তরুন ও আনকনভেনশনাল ধারা'র এই ব্লগার প্রচন্ড সাহসী বক্তব্যের গুনে বিপুল পরিমানের নেটিজেনদের দৃষ্টি আকর্ষনে সক্ষম হয়েছেন। বাংলা ভাষায় নাস্তিক এবং সমকামী উভয় সমাজের সামাজিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সকল নাস্তিকের মুখপাত্র হিসেবে আসিফ মহিউদ্দিন অন্য যেকোন নাস্তিকের চেয়ে এগিয়ে। ব্লগারদের মাঝে তার পরিবারই প্রথম ডিবির কাছে মুচলেকা দিয়েছে। তবে ঐ মুচলেকা আদায়ের ঘটনা গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজেও সমালোচিত হয়েছে। এক্টীভিস্ট ব্লগার হিসেবে তার অবস্থান উল্লেখযোগ্য!
তার সমালোচনায় বলা যায়, তিনি বয়সে তরুন বলেই হয়তো মানুষের দৃষ্টি আকর্ষনে বেশ বেপরোয়া। যদিও সে নানা ইস্যুতেই সোচ্চার তবে তার প্রতি ব্লগারদের কমন অভিযোগ, তিনি ইসলাম বিদ্বেষী। নিজ স্বার্থ রক্ষায় অন্যের মুলত ইসলাম বিদ্বেষীদের স্বার্থউদ্ধার করছেন।
রাগ ইমন --- রাজনীতি ও সমাজ সচেতন এবং অনুভুতি সম্পন্ন একজন নারী ব্লগার। নানা ধরনের সামাজিক অবিচারের বিরুদ্ধে তার তীক্ষ্নমেধাবী পরিচয় ব্লগে পাওয়া গেছে। বর্তমানে ব্লগে প্রায় অনুপস্থিত চিকিৎসক পেশাজীবি এই ব্লগার অনেকের কাছে ইনস্পায়ারিং নিক। নারীদের প্রতি আমাদের সমাজে প্রচলিত যেই ভুল ধারনা রয়েছে, ব্লগার রাগ ইমনের লেখার সাথে পরিচিত হলে সেই সব ধারনা উচ্চারন করতেও লজ্জা পেতে হয়! সফল শিক্ষার্থী জীবনের অধিকারী রাগ ইমনকে রাজাকার বিরোধীতা থেকে শুরু করে ব্লগীয় বিতর্ক এবং ভোগবাদ বিরোধীতায় যেমন, তেমনই কবিতা বা স্মৃতি চারনার মত অনুভুতি সম্পন্ন লেখায়ও শীর্ষমান বজায় রাখতে দেখা গেছে।
তার প্রতি অজ্ঞতার কারনে সমালোচনায় বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না!
উপরে তাদের নাম এসেছে সারা বাংলা ব্লগজগতের বিশ্লেষনে, এদের বাইরেও বাংলাদেশের ও বাংলা ভাষা'র সর্ববৃহৎ সামহোয়্যারইন ব্লগে'র ব্লগারদের মাঝে রয়েছেন কয়েকজন উল্লেখযোগ্য ব্লগার।
কৌশিক --- গণমাধ্যমে ব্লগ বিষয়ক প্রায় সকল ধরনের সংশ্লিষ্টতায় যাকে দেখা যায় এবং সম্ভবত দেশের প্রথম ব্লগ বিশেষজ্ঞ রূপে গণমাধ্যমে যাকে দেখা যাবে তিনি হচ্ছেন ব্লগার কৌশিক। একজন সফল সঞ্চালক এবং (সম্ভবত) পেশাদার ব্লগার।ব্লগে যতপ্রকারের অশ্লীলতা এবং অগ্রহনযোগ্য কাজ হয় তার বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং ব্লগ আইন প্রনোয়নের পক্ষের একজন ব্লগার। ব্লগ এবং ব্লগারদের সাবলম্বী করে তুলতে তার প্রচেষ্টা লক্ষনীয়।
তার সমালোচনায় বলা যায়, তিনি লেখালেখিতে স্বাধীন নন। নির্দৃষ্ট ইস্যু নিয়ে এবং নির্দৃষ্ট পক্ষের হয়ে লিখেন
ইমন জুবায়ের --- আন্তর্জাতিক মানের একজন ব্লগার। যিনি কোন রকমের বিতর্কে না জড়িয়ে সাধারন ব্লগারদের জ্ঞান সমৃদ্ধ করে চলছেন। প্রকৃতি ও ইতিহাস এবং সংগীতের প্রেমিক নাগরিক ব্লগার তিনি। যেদিন সংখ্যাগরিষ্ঠ ব্লগার ইমন জুবায়েরের মত জ্ঞানচর্চা এবং অপরের প্রতি সন্মান প্রদর্শনের অভ্যাস আয়ত্ব করতে পারবে সেদিন বাংলাদেশের সমাজ নিয়ে বর্তমানের ২০% দুশ্চিন্তাও করতে হবে না।
তার সমালোচনায় এটুকুটই বলা যায়, তিনি অবাস্তব রকমের ভাল ব্লগার।
দাসত্ব --- বাংলা ব্লগস্ফিয়ারে বিএনপি পন্থীদের সবেধন নীলমনি দাসত্ব। ব্যাপক গবেষনা , তথ্য-প্রমান ও সহজ সরল যুক্তির মাধ্যমেই ব্লগে প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী ইন্টেলক্চুয়ালদের বিপরীতে মাথা তুলে দাড়ানো একমাত্র ব্লগার। বিএনপি'র পক্ষে পরিচিত ব্লগারই যেখানে বিরল সেখানে এত ভোকাল দাসত্ব তার যোগ্যতায় পরিচয় দিয়েই টিকে আছে। মেধাবী দেশপ্রেমিক ব্লগারদের মতই তিনিও রাজাকার বিরোধী ব্লগার।
তার সমালোচনায় বলা যায়, দলীয় রাজনৈতিক অবস্থানের কারনে রাজাকার সমর্থকদের প্রতি নমনীয়তা।
জিসান শা ইকরাম --- সংখ্যাগরিষ্ঠ শুধুই পাঠক শ্রেণীর প্রতিনিধি এই বায়োজোষ্ঠ ব্লগার। জনবহুল ব্লগস্ফিয়ারে পাঠকদের যেই নিজস্ব পরিমন্ডল আজ তৈরী হয়েছে, যেখানে কোন ইস্যু নেই, কোন বিতর্ক নেই, কোন সৃষ্টি নেই, কোন ধ্বংস নেই সেই পরিমন্ডল তৈরীতে উনার ভূমিকা অসামন্য। হয়তো ননপ্রোডাক্টিভ এই ব্লগিং ক্ষতিকর বলে চিন্হিত হতে পারে কিন্তু দৈনিক পত্রিকারও যেমন পাঠক ফোরাম থাকে ব্লগেও তেমন একটি কর্ণার গঠনকে অস্বাভাবিক বা অপ্রয়োজনীয় বলা যায় না!
তার প্রতি সমালোচনা হচ্ছে "ব্লগ টেম্পারিং" এর অভিযোগ। সিন্ডিকেট ব্লগিংয়ের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জনের মাধ্যমে ব্লগকে দূর্নীতিগ্রস্থ করা।
সবাক --- তরুন, মেধাবী এবং ব্লগ ইতিহাসে প্রথম ব্লগার যে শুধু ব্লগের অনুপ্রেরণা ও মাধ্যম কাজে লাগিয়ে ক্যারিয়ার গঠনে সফল। দেশের সবচেয়ে বড় ব্লগ সামহোয়ারইন থেকে এ টিমের প্রস্থানের পর রাজাকার বিরোধীতায় বেশ ভাল ভূমিকা রেখেছে আবেগী এই ব্লগার। তবে সব ছাপিয়ে তার স্পিরিট এবং গভীর জীবনবোধ সম্পন্ন লেখা ও ব্লগের মাধ্যমে ক্যারিয়ার গঠনকরা এই ব্লগার অনেক তরুনের জন্য অনুকরনীয়।
তার প্রতি সমালোচনা হলো, সে কট্টরপন্থি! সম্ভবত প্রাক্তন শিবির ট্যাগ মুছতে যেয়ে ছাগু হান্টিংয়ের সময় অতিমাত্রায় গালাগালি করেছে যা অনেকাংশে ছাগুদের প্রতি নতুন পাঠকদের সিম্প্যাথির কারন হিসেবে গণ্য হয়েছে।
দূর্যোধন --- তীক্ষ্ন এবং মানসম্পন্ন রসবোধ এবং প্রখর রাজনৈতিক সচেতনতাবোধ সম্পন্ন একজন ব্লগার। কোন রকমের বিতর্ক ছাড়াই সর্বমহলে সমান জনপ্রিয়তা বজার রাখার মত অসম্ভবকেও সম্ভব করেছেন তিনি। যেকোন মাধ্যমে গ্রহনযোগ্য রম্য লেখার পাশাপাশি তার রাজনীতি সচেতন ও দেশপ্রেমে ভরপুর পোস্গুটলোর নিখুত লেখনী এবং গাঁথুনী তার পাঠকদের মন থেকে সনাতন রম্যলেখকের ইমেজ রিফ্রেশ করতে বাধ্য!
তার প্রতি সমালোচনায় বলা চলে, তার যোগ্যতা সম্পর্কে ধোঁয়াশা তৈরী করে তিনি আমাদের অজানা কোন "লাভ" থেকে বঞ্চিত করছেন কি?
--------------------------------------------------------
উপরে ব্লগ এবং ব্লগারদের সম্পর্কে মূল্যায়ন করা হয়েছে ব্লগের বাইরের পাঠকদের ব্লগ ও ব্লগারদের সম্পর্কে গবেষনামুলক নিরপেক্ষ ধারনা প্রদানের লক্ষ্যে। এই রচনা লেখার পেছনে নিজের ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গী বর্জনের এবং যথাসম্ভব একাডেমিক কারেক্ট থাকার উদ্যোগ গ্রহন করেছি। আলোচনা এবং সমালোচনা করতে যেয়ে যদিও ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষনই ভরসা ছিল। সন্মানেরপ্রদর্শনপূর্বক পরিষ্কারভাবে দাবী করছি যে, লেখায় কারো প্রশংসা বা নিন্দা করার উদ্দেশ্য একটি লাইনও লেখা হয়নি। ব্লগ ও ব্লগার সম্পর্কে প্রচলিত ধারনা এবং তাদের লেখনী বিশ্লেষনের মাধ্যমে যা উঠে এসেছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ব্যবহার করে সেটাই লিখেছি। তার পরও লেখকের নানাবিধ অজ্ঞতার কারনে পোস্টে নাম উল্লেখিত ব্যক্তিরা পোস্টের কোন অংশ পাঠ করে মনে আঘাত পেলে আমি আন্তরিক দুঃখিত।
লেখাটিকে বাংলা ব্লগ ও ব্লগারদের সম্পর্কে একটি সার্বজনীন বিশ্লেষন হিসেবে মূল্যায়ন করে আমাকে বাধিত করবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।