জাতীয় পর্যায়ের একটা পত্রিকায় একজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনের ঠিক আগ মুহুর্তে ধারাবাহিকভাবে অপ্রমানিত অভিযোগ করে যেতে থাকে তাহলে এটাকে ফেয়ার বলা যায় না!
শামীম ওসমান যেহেতু নির্বাচনে দাড়িয়েছে তা দেখে এটুকু নিশ্চিত যে তার বিরুদ্ধে এমন কোন প্রমান নেই যে সে সন্ত্রাসী, অন্তত কাগজে-কলমে। আদালত তাকে সন্ত্রাসী বা গডফাদার বলে নাই!
কিন্তু প্রথম আলো প্রতিদিন অন্তত ৩-৪টা খবর ছাপছে যেগুলো শামীম ওসমানের সরাসরি বিরোধীতা করছে তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ভিত্তিতে। কিন্তু এসবের বিচারক কে?
সত্য-মিথ্যা যাচাই করতে যাবো না। কারন গণতন্ত্র ইজ গণতন্ত্র এখানে জনগণের রায়ই শেষ কথা। সুশীল আলো বা তেল ঢালো, কে কি বললো তা কোন প্রমানিত সত্য নয়। একমাত্র যদি আদালত কাউকে দোষী বলে তাহলেই সে দোষী নয়তো না।
নির্বাচনের আগে আগে এভাবে জনমতকে উস্কে দেয়ার কাজ এবং সরাসরি একজন প্রার্থীর বিরোধীতা ও অন্য আরেকজনকে সাধু বানিয়ে দেয়া গণমাধ্যমের কাজ না এবং জার্নালিজমের এথিকসের সাথেও যায় না।
প্রথম আলোর নেতৃত্বে গণমাধ্যম যা করলো এই নাসিক নির্বাচন নিয়ে, সেটা গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের ইতিহাসের কালো অধ্যায় বলে চিন্হিত থাকবে।
নির্বাচনে হেরে শামিম ওসমান যদি শোকে আত্মহত্যা করে তাহলে কিন্তু প্রথম আলো আত্মহত্যায় প্ররোচনায় দায় কাটিয়ে উঠতে পারবে না।
অথবা, শামীম যদি রেগে প্রথম আলোর উপর ভয়াবহ আঘাত করে তাহলে সেটাতে অবাক হবার কিছু থাকবে না