মাঝে মাঝে মনে হয় সব বাতি ভেঙ্গে ফেলি।পৃথিবীটাকে একদম অন্ধকার করে ফেলি।তারপর সব মানুষ মিলে একসাথে জ্যোৎস্না স্নানে বের হই।প্রকৃতির এত সুন্দর একটা দানকে কিভাবে আমরা বাতি দিয়ে দূরে সরিয়ে রাখছি তা দেখাই। দেখাই পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর আলোটাকে আমরা উপভোগ করছিনা।পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর আলোটাকে দেখিনি বলেই আমরা চাঁদনি রাতেও আলো দিয়ে চারপাশ ভরিয়ে রাখছি ।একবার যদি পারতাম এই চাঁদনি রাতে সব বাতি বন্ধ করে পৃথিবীর মানুষ গুলো কে চাঁদনি দেখাতে তাহলে আর হয়ত কেউ চাঁদনি রাতে বাতি জালাতনা।সবাই দাবি জানাত চাঁদনি রাতে সব বাতি বন্ধ রাখার।
চাঁদনি রাতের সেই অন্ধকার হয়ত জীবন এর অর্থকে একটি নতুন পাঠ হয়ে দেখাত যে, আজ আমাদের জীবন এর সব দুঃখ ক্লান্তি ধুয়ে মুছে যাওয়ায় দিন । সেই চাঁদনি হয়ত একটি জীবন দিতো আত্মহত্যা করতে যাওয়া একটা মানুষকে।সে নতুন করে ভাবতে বসবে জীবনতো শুধু একটা চাঁদনি দেখে যাওয়ার জন্য ও হতে পারে।সে তার জীবনকে বাঁচিয়ে রাখবে শুধু বাকি পূর্ণিমা গুলো দেখার জন্য।
চাঁদনি রাতে সুখি মানুষটি তার সুখটাকে আরো বেশি উপভোগ করবে। সে দেখবে তার সুখ এই চাঁদনিতে আরো সুন্দর দেখাচ্ছে। সে আনন্দে নাচবে গাইবে,পথ ধরে দৌড়াবে আর সবাই কে জানিয়ে যাবে তার সুখের গল্প।জীবন থেকে চরম কষ্ট পাওয়া ব্যাক্তিটিও ওই সুখি মানুষটার সাথে মিশে গিয়ে তার সব কষ্ট কে হারিয়ে ফেলবে। সে সুখের গল্প থেকে তার আশাবাদ খুঁজে পাবে।দূর হবে তার সব ক্লান্তি।
তরুণরা সব উন্মাদ হয়ে নাচে গানে তার জীবনে জমা হতে থাকা সব ভার গুলকে দূরে সরিয়ে ফেলবে। শিশুরা দেখবে জানবে পৃথিবীতে এত সুন্দর একটা জ্যোৎস্না রাত আছে।
সেই রাতে আমরা হয়ত ভাবতে বসবো জীবন মানে শুধু যুদ্ধ নয়,জীবন খুব ব্যায় বহুলও নয় ।জীবন শুধু চারদিক অন্ধকার করে একটি রাতের সুন্দর্য্য দেখার মধ্যেও সল্প ব্যায়ে পাওয়া সম্ভব।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১:০৩