"বোতল ভূত" আমার পড়া হুমায়ুন আহমেদ এর প্রথম কোন বই।তখন আমি ক্লাস সিক্স এ পড়ি। নোয়াখালী পাবলিক লাইব্রেরি কোন একটি কারনে কয়েক মাসের জন্য আমাদের বাসার পাশে নোয়াখালী শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম স্থানান্তর করা হয়।আমি বলতে গেলে প্রতিদিন বিকেলে একবার মাঠে যেটাম।একদিন আবিস্কার করলাম এখানে দুইটা রুমে অনেক বই রয়েছে। কোন এক বিকেলে খেলার মত কাউকে না পেয়ে সেখানে ডু মারতে গেলাম। একসাথে এই রকম অনেক গুল বই তখন আমি প্রথম দেখতে পাই।আমি একটি একটি করে প্রতিতি বুক সেলফ এর সামনে দিয়া গুরতে থাকি আর বই গুলর নাম পরতে থাকি।"বোতল ভূত" নামটা বা তখন আমার ভৌতিক বই এর প্রতি আকর্ষণ থেকে বইটা সেলফ থেকে নিয়ে পড়তে বসি। পড়তে পড়তে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে আসে আর তখনও আমি বইটা পড়ে শেষ করতে পারিনি,আর তখন নিয়ম ছিল সন্ধ্যার আগে বাসায় ফিরতে হবে তাই বইটা রেখে বাসার দিকে হাটা শুরু করি।কিন্তু মাথায় তখনও গল্পের পরের অংশে কি হবে তা গুরতে থাকে।
পরের দিন স্কুল থেকে বাসায় ফিরেই লাইব্রেরিতে চলে আসি বইটা খুজে পড়তে আরম্ব করি।কিন্তু আজও শেষ না করে আমকে বাসায় ফিরতে হয়।কারন তখন পর্যন্ত বই পড়ার খুব একটা অভ্যাস না থাকায় আমার বই পড়তে অনেক সময় লাগতে ছিল।
বইটার গল্পটা ছিল এমন যে নায়ক সে কোন একভাবে একটা বোতল ভূত এর মালিক হয় । এখনকার যে ডরেমন ও নবিতা চরিত্রের মত ছিল গল্পটা ।
তৃতীয়দিন আমি বইটা শেষ করি পরম ভাল লাগা আর একটা ভিন্ন ধরনের আগ্রহের জায়গা থেকে। আর তা হচ্ছে এর আগে আমি যত ভৌতিক বই পড়েছিলাম সেখানে ভূত ছিল খুব ভয়ংকর একটা চরিত্র। এই প্রথম আমি ফেলাম মাজার একটি ভৌতিক গল্প ।ভৌতিক বই পড়তে পড়তে হাসতে পারার ব্যাপারটিই ছিল আমার কাছে একদম অপরিচিত।
ওই যে শুরু তারপর আমি আর হুমায়ুন আহমেদ কে চাড়তে পারিনি। কিন্তু একটি বিষয় যা আমকে সব সময় কষ্ট দিয়েছে তা হচ্ছে আমি যখন কলেজে এলাম সেখানে আমার এক বাংলা শিক্ষক হুমায়ুন আহমেদ কে নিয়ে অনেক গাল্মন্ধ করতেন যে তার লেখা কোন লেখাই না।এই রকম লেখা তিনি ইচ্ছে করলেই লিখতে পারেন।এই রকম আর অনেক মন্তব্য পরে আর অনেকের মুখে শুনেছি।কিন্তু এখন চাই আপনাদের লেখা যারা তার মত ডজন খানেক লেখা ইচ্ছে করলেই লিখতে পারেন। হুমায়ুন আহমেদ চলে যাওয়াতে আপনাদের জন্য একটা সুযোগ কিছু বাজাইরা লেখা লিখে টাকা কামানোর। পারলে মুরুদ দেখান।
হুমায়ুন আহমেদ এর কাছে আমি ঋণী কারন তার গল্পের হাত ধরে আমার বই পড়ার প্রতি প্রথম ভালো লাগা তৈরি হয়।প্রথম আমি কোন বই পড়ে শেষ করার জন্য তীব্র আকর্ষণ অনুবভ করি।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫১