আগে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের নিয়ে/দেশ নিয়া বাজে কথা বললে মৌনব্রত পালন করার কথা শুনেছি। উপহাসের জবাব দেবার মতো মানসিক শক্তি ছিলই না সেকথা স্বীকার না করে উপায় নাই। কিন্তু এখন?
মনা(পড়ুন ড্যুড), এখন আর সেই দিন কি আছে? পোলাপান এখন কায়দা করে স্লেজিং করে! বিশেষ করে সাকিব ভাইয়ের স্লেজিংয়ের কারণেই সে আমার মোস্ট মোস্ট ফেভারিট প্লেয়ার এভার আই সিন!! পাইক্কা ঐ বোলার কি যেন নাম রিয়াজ না টিয়াজ ওরে আঙুল তুলে শক্ত জবাব দিয়েছিল না?
কাল মিরপুরে ব্রিটিশ মামাদেরও সে যেভাবে উপহাস করেছে সেটা অন্য কেউ যেভাবেই দেখুক আমি পজিটিভলি দেখি! বাঁচতে হলে ভালভাবে বাঁচতে হবে। মিনমিনে ভদ্দরলোক হয়ে বেঁচে থাকার কোন মানে আমার কাছে হয় না। হোক না এটটুক এরোগেন্ট! কিন্তু এইটুকু না হলে চলে না!
তবে আমার খুব ভাল্লাগসে বডি ল্যাংগুয়েজ এর এত উন্নতি দেখে! যাই বলেন, এ যাবত কালের সেরা স্টাইল আমি এখনো মাশরাফির মধ্যেই দেখি। কলার উঁচু করে রান আপ নিয়ে দৌড়.... এরপর ভয়ানক ভাবে থাবা দেওয়া! সবচেয়ে বড় ব্যাপার তার সেলিব্রেশন!! উফফ! একদম রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মতো!
এই যে, এই দেখুন-
ভারতের একজন লিজেন্ড(পড়ুন হমন্দির পুত) এই মাশরাফিকে নিয়ে মাস কয়েক আগে কি বলছিল মনে আছে নিশ্চয়ই? তাছাড়া প্রথম আলোর একটা হারামজাদা কি রিপোর্ট করছিলো মনে আছে??
স্লেজিংয়ের পেছনেও কারণ ছিল। সেটা শেষাংশে বলা যাবে। কিন্তু নাসির, মাহমুদুল্লাহর কিছু কথা না বললেই নয়। বাংলাদেশ দলের বেইজমেন্ট বলতে যদি কাউকে বলতে হয় কালকের ম্যাচে, তাহলে রিয়াদ ভাইকেই বলতে হয়। তাঁর নির্ভরতার ব্যাটে পা দিয়েই বাংলাদেশ ১৬৯ এর মতো মোটামুটি মান রাখার মতো স্কোর গড়ে। আর এরপর বস মাশরাফির তান্ডব!! চেনা মাশরাফির সেকি ধুন্ধুমার কান্ড রে বাবা!!! চার-ছক্কার মহড়া! পরম কৃতজ্ঞতা অনুভূত সব ভক্তদের মধ্যে।
কিন্তু স্যার মোশাররফ রুবেল যদি অপর প্রান্তে থাকতেন তাহলে ব্যাপারটা কি হতো ভাবতে পারছেন? রানখরা এই ইনিংসে ত্রাতা হিসেবে নাসির ব্যাট চালালেন সপাটে! আরেকটা মন ভরিয়ে দেবার মতো রান! গণদাবীর মুখে সুযোগ পাওয়া এই বিশ্বস্ত লোকটি আস্থার প্রতিদান দিলেন ঠিকঠাকই! দিনশেষে অপরাজিত ১০০ স্ট্রাইক রেটে ২৭ বলে ২৭ রান!
অথচ এই মিস্টার ফিনিশার খ্যাত নাসিরকে ম্যাচের পর ম্যাচ নানান অজুহাতে বসিয়ে রাখা হয়েছিল! আমরা শংকায় ছিলাম, না জানি এই প্রতিভা বিফলে চলে যায়। বাংলাদেশ একজন কোয়লিটিফুল প্লেয়ার না হারিয়েই বসে!! অথচ সে এমন একজন প্লেয়ার যার ওপর নির্ভরতা রাখা যায়! সাকিব ভাইয়ের ১ম ইনিংসে রান না আসলেও বোলিংয়ে এসে বাংলাদেশকে আলো দেখিয়েছে। চাপে ফেলে উইকেট নিতে সাহায্য করেছেন বস মাশরাফিকে!
আর নাসিরও কম যায় কি করে! পুরো ১০ ওভার বোলিং করে মাত্র ২৯ রান! সবচেয়ে কম ইকোনমি রেট!! আর দুর্দান্ত ফিল্ডিং!! এগুলো কি মোশাররফ রুবেলের কাছ থেকে আমরা পাইতাম?? জাতি জানতে চায়!!!
আসুনঃ স্লেজিংয়ের কারণটা জানি
জশ বাটলার এর সাথে বাংলাদেশ এর প্লেয়াররা যা করেছে সেটা নিয়ে সবাই কথা বলছে। কিন্তু প্লেয়ারদের এই রকম করার একটা কারন ও আছে যা অনেকেই জানেন না। বিটিভি অনেকেই দেখেন না। আমি আজ বিটিভি তে বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখছিলাম। বিটিভিতে স্ট্যাম্প এর মাইক এর সাউন্ড অনেক বেশি থাকে যার কারনে উইকেট কিপারের অনেক কথাই স্পষ্ট শোনা যায়।
প্রথম তামিম যখন ব্যাট করছিল এবং রান করতে পারছিলনা তখন বাটলার তামিম কে বলছিল* Hey tamim cant score runs?..play big shot man* পরে সাব্বির কে বলছিল-*2 from 18 ball...2 from 19...come on man.U r wasting ur time. * মাহমুদুল্লাহকেও কিছু একটা বলছিল কিন্তু মাহমুদুল্লাহ শুধু হাসছিল। পরে মোসাদ্দেক যখন ভাল করছিল তখন তাকেও বাটলার আর স্টোক্স কিছু একটা বলে অনবরত খেপানোর চেষ্টা করছিল।
স্লেজিং করা অপরাধ না।কিন্তু নাম ধরে করলে সেটাতে একটু অপরাধ হয়ে যায়। সো কেউ আগের হিস্ট্রি না যেনে ক্রিকেটিং স্পিরিট নিয়ে কথা বলতে আইসেন না। বাংলাদেশ যথেষ্ট মার্জিত আর ভদ্র দল। আর সেলেব্রেসন একটা আর্ট।কে কিভাবে কেন করল এটা নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলবে।
সংগৃহীতঃ আনন্দবাজার অনলাইন পেজ, লিখেছে রাহুল দেব....
হাঃ হাঃ হাঃ বিলেতি মামুরা আসলে ভাবছিল জয়টাই তাদের প্রাপ্য। প্রথম ম্যাচে হারতে হারতে জিতে সেটা নিজেদের পাওনা বলেই ভেবেছিল। আর সে কারণেই এই স্লেজিং! বেচারারা এই তালপাকা গরমে উইকেট হারাতে হারাতে মাথায় আগুন ধরছিল। আর তখনই বাংলার টাইগারদের বুনো উল্লাস গায়ে গরম কড়কড়ে তেলের মত লাগছিলো!
বাটলার তো বলেই দিসে- "আমি আউট হইছি, আর কোথায় আমাকে মাথায় হাত বুলিয়ে সান্তনাবাণী শোনাবে তা না। ওরা আমার উইকেটে এমন উল্লাস করলো নাচানাচি আর চিল্লা-ফাল্লা শুরু করলো যে মাথাই ঠিক রাখতে পারিনি! বলেন? মানা যায় ?
স্টোকসে কয় "আমরা হাইরা গেছি কোথায় দুফোটা চোখের জল ফেলে বুকে টেনে নিয়ে জাপটে ধরে মাঠের ভেতর আবেগময় পরিবেশ সৃষ্টি করবে তা না, ঘাড়ে হাত দিয়ে বলে "ওয়েল প্লেইড বয়েজ" ক্যামনে ম্যান! ক্যামনে। "
বাংলাদেশের ক্রিকেট অনেক পরিণত এখন। গত (১ম) ম্যাচের ব্যাপারটা স্রেফ ভুলে যান। কারণ এইরকম তীরে এসে তরী ডুবে যাওয়ার ঘটনা শ্রী-লংকা/পাকিস্তান/দঃ আফ্রিকা/নিউজিল্যান্ড সবারই আছে! Cricinfo এ একজন ইংলিশ সমর্থকের মন্তব্য নিচে তুলে দিলামঃ-
"The series should have been for Bangladesh if they could not give such a heart breaking collapse for almost winning game in the first match. Sorry for Bangladeshi haters, we know you can't sleep tonight. I think Bangladeshi haters should accept the rising of Bangladesh cricket if they want to get fewer pain. Not respecting rising of Bangladesh Cricket is almost like can't accept the reality intentionally!!!"
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬