somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আপডেটঃ প্রতিবাদ চলছে ☹ ☹ পুলিশের আছে বন্দুক, আছে ক্ষমতা, কিন্তু জনগণের?

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



⚇ আপডেটঃ
রাব্বীর উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন


শুধু প্রত্যাহার নয়, মাসুদ শিকদারকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যূত না করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা ফিরবে না।

ঢাবি'র সাবেক ছাত্র বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীর উপর মোহাম্মদপুর থানার এএসআই মাসুদ শিকদারের নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শুধু প্রত্যাহার নয়, মাসুদ শিকদারকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যূত না করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা ফিরবে না। এমন দাবি জানানো হয়েছে ঐ সভায়। সর্বস্তরের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বাহিনীতে জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।

⚇ সংবাদঃ
মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে বাংলাদেশ ব্যাংকের কমিউনিকেশন বিভাগের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীকে গত শনিবার(৯ জানুয়ারী) রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেনেভা ক্যাম্পের কাছে পৌঁছালে পুলিশ তাকে আটক করে। তিনি এক আত্মীয়ের বাসা থেকে বেরিয়ে কল্যাণপুরের নিজের বাসায় ফিরছিলেন। পায়ে হেঁটে কলেজ গেইটে গিয়ে বাসে উঠতে চেয়েছিলেন।
এসময় মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক মাসুদ শিকদার তাঁকে আটক করে করে ইয়াবা ব্যবসায়ী-সেবনকারী আখ্যায়িত করে দীর্ঘক্ষণ গাড়িতে রেখে চড় থাপ্পড়ের পাশাপাশি অসৌজন্যমূলক গালাগালি করেন। চলে টাকা আদায়ের চেষ্টা। এমনকি ক্রসফায়ার করে লাশ ফেলে দেওয়ারও হুমকি দেয়া হয় তাঁকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র গোলাম রাব্বী একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদ উপস্থাপনাও করেছেন এক সময়। পুলিশের গাড়িতে বসে থাকার সময়ে পথচারীদের অনেককে ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে পুলিশ সদস্যদের অর্থ আদায়ের ঘটনা স্বচক্ষে দেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। খবর পেয়ে কয়েকজন সংবাদকর্মী ও স্বজন রাত আড়াইটায় আসাদগেইট এলাকায় গিয়ে পুলিশের কাছ থেকে তাকে নিয়ে আসেন।

⚇ ভিক্টিম গোলাম রাব্বীর ফেসবুকে স্ট্যাটা্সঃ

আমিও হতে পারতাম কাদের কিংবা লেমন!!!

কি লিখবো, কার কাছে লিখবো, কি নিয়ে লিখবো, কিভাবে লিখবো…
যে রাব্বী ‘স্বপ্নের বাংলাদেশ’ আর ‘বিশ্বকে মানুষের বসবাস উপযোগী করা ও রাখার জন্য’, সর্বতভাবে- নিজে ইতিবাচক চিন্তা করে-কাজ করে-লেখে-বলে; এমনকি ভাল কিছু করার কথা- সব সময় ভাবে; একইসাথে অন্যকে ভাবতে সাহায্য করে-উৎসাহ যোগায়, সে আজ কি দেখলো…!!!
এ জীবনে বহুবার এমন ঘটনা, সংবাদ উপস্থাপক হিসেবে পড়েছি, একজন সমাজ সচেতন মানুষ হিসেবে বহুবার এমন-ই ঘটনার ঈঙ্গিত পত্রিকার পাতা, টিভি-রেডিও-অনলাইনের ভাষায়, আঁচ করতে পেরেছি; কিন্তু- নিজের কাছে প্রত্যক্ষ প্রমাণ নাই- তাই বিশ্বাসযোগ্য মনে হলেও, ‘এমনটা হতে পারে না’ ভান করেছি…।

কিন্তু আজ..!!! এ কি দেখলাম..!!!
মাত্রই, বাসা-ভাড়ার-টাকা দিবো বলে, বুথ থেকে টাকা নিলাম, হাঁটতে শুরু করলাম, অমনি এক লোক শার্ট-কোর্টের কলার ঝাপটে ধরলো, বললো- স্যারের সাথে কথা আছে, দেখলাম পুলিশ ভ্যানের পেছনে দাঁড়ানো চার-পাঁচজন পুলিশ সদস্য। আমাকে টেনে-হিঁচড়ে নিচ্ছে, আর গাঁয়ে বেধড়ক হাত তুলছে-পেটাচ্ছে, আমি চিৎকার করছি, পাশে ২০-২৫ জন লোক দাঁড়িয়ে দেখলো, কিন্তু কিছুই বললো না; অবশ্য-কি আর করা- ‘আইনের লোক বলে কথা…!!!’
এরপরের ঘটনা আরও দুর্বিষহ, আমাকে লাঠি-রাইফেলের মাথা দিয়ে গুতাচ্ছে, এক এক করে পোশাক খুলছে, আর আজেবাজে বকছে। ভাব নিচ্ছে, খুঁজছে, কোথায় আছে, ইয়াবা, নেশা জাতীয় দ্রব্য বা অস্ত্র-সরঞ্জাম জাতীয় কিছু..।

কিন্তু, সময় যত গড়াচ্ছে, নিজের মধ্যে বারবারই ধুকরে উঠছে, কাদের কিংবা লেমনের গল্প…। লোম শিহরে উঠছে.. লথি-গুতা মারছে, আর বকছেতো-বকছেই। তাদের ভাব এমনই যে, দেশে কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা..? বা রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ..?? তারা-ই সব..!! এমনকি আমার বক্তব্য মারফত পরিচয় পাওয়া, বিসিএস ক্যাডার, পুলিশেরই এসপি পরিচয় দেয়া ভাই থেকে শুরু করে গুরুজন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতিও বাদ যায়নি, তাদের অসম্মান আর গালাগালের হাত থেকে…!!!
আমার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাকুরির পরিচয় পত্র, পূর্বের সাংবাদিকতা-সংবাদ উপস্থাপনা করার পরিচয় থেকে শুরু করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মহান এ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো সম্বলিত টি-শার্ট পরিহিত পরিচয়ও দমাতে পারেনি, তাদের নোংরামি-ভন্ডামি…!!

এদিকে, ঘন্টা কয়েক সময়ে যা দেখলাম, আর শিকার হলাম, তার স্থায়ীত্ব হয়তো আমার ইতিবাচক চেন্তা-চেতনাকেও চিরতরে বিকলাঙ্গ করে দিতে সক্ষম..!! কেননা- ঐ পুলিশ ভ্যান নানা দিক যাচ্ছে, আর কাউকে রিকশা থেকে নামিয়ে, আবার কাউকে রাস্তা থেকে ধরে, যা করলো…!!!; টাকা নেয়াসহ, ভয়-ভীতি আর যেভাবে ব্যবহার করলো, তার তিক্ত অভিজ্ঞতা আজীবনও হয়তো বলতে বা বুঝাতে পারবো না..।

একপর্যায়ে, বারবারই নিজের এত এত পরিচয়-ই শাপে বর হচ্ছে বলে মনে হচ্ছিলো..!! কেননা- অন্য সাধারণের কাউকে ধরছে, আর মারছে, টাকা নিচ্ছে, টাকা না থাকলে থানায় নিচ্ছে, ফোনে খারাপ কিছুর সঙ্গে আটক হয়েছে, বলে লক্ষ-কোটি টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে নেয়ার কথা আত্মীয়-স্বজনদের জানানো হচ্ছে, ছেড়ে দিচ্ছে। এমনটা-ই দেখলাম।
কিন্তু- মরণ আমার। আমাকে না পারছে গিলতে, না পারছে ফেলতে, না পারছে টাকা পয়সা নিয়ে ছেড়ে দিতে..! দেখছি- কখনো এমনও বলা হচ্ছে- ‘মাল কঠিন, শেষ করে দাও’; ‘জিনিস কঠিন, ফেলে দাও’.!! শরীরে প্রাণ তখন না থাকার উদগ্রীব।

তবে- প্রকৃতির কাছে হাজার শুকরিয়া, নিজের বিনয় পরিচয়, আর মহান প্রভুর প্রত্যক্ষ সহযোগিতা, আমাকে বাঁচার মতো বাঁচিয়েছে।
ঘটনায়- বহুবারই বিভিন্নস্থানে পুলিশ হাত দিচ্ছে আর বলছে, কই..? আছে কিছু..!!। যতবারই এ কথা বলা হচ্ছে- আর মনে পড়ছে, লেমন বা আব্দুল কাদের-এর মতো কোনো ঘটনায় জড়িয়ে যাচ্ছি না-তো..?? যা হোক- অবশেষে ওরা ঠিক করলো, কোনো মেয়ে আত্মীয় স্বজন বা আমার নরম-সরম ছোট টাইপের আত্মীয় কাউকে ডাকতে..। সেসময় ‘পুলিশ অফিসার জুয়েল ভাই’ আর ‘সভাপতি সোহাগ ভাইকে’ ডাকি বললে, আবার শুরু হয় বকা আর গালাগালসহ হুমকি। তখন ভাবসাব দেখে মনে হলো- মোটা অংকের কিছু টাকার ধান্দা করবে; আমার কাছ থেকে, একইসাথে ওদের বাঁচার পথ তৈরির জন্য একটা মুচলেকাও নিবে।
কিন্তু বলে না, প্রকৃতি পাশে থাকলে তাকে ঠকায়/রুখে কে..? মাথা কাজ না করলেও অটোমেটিক ফোন চলে গেলো, জাহিদ ভাইয়ের সেলফোনে। তিনি নিয়ে আসলন, ইকরাম, ইকরামের বন্ধু শাকিল (যদি ভুল না করি), নূরে আলমকে। এরপরে আসলো- বন্ধু তানভীর, খোকন ভাই ও রাশেদ।
লিখছি আর বারবারই ধন্যবাদ দিতে হচ্ছে- প্রকৃতি (ন্যাচার) কে। কেননা- আজ আমি হয়তো হারিয়ে যেতে পারতাম, এ পৃথিবী থেকে। অথবা হারাতে পারতাম শরীরের মূল্যবান কোনো অঙ্গ। হয়তো সাধারণ মানুষতো দূরের কথা- বন্ধুসম-আপনজনদেরও স্বচোক্ষে না দেখলে, বিশ্বাসও করাতে পারতাম না। এমনকি এখনও নিজের কাছে, নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছে না, এমনই কি করতে পারেন আমার-আপনার নিরাপত্তা রক্ষার মহান দায়িত্ত্বে থাকা ভাই-বোনেরা।

যা হোক- একবার ভাবছি, লিখবো না.. আবার ভাবি লিখবো…। আবার ভাবি লিখলে, সরকার বিরোধীরা আমাকে ব্যবহার করে মাঠ গরম করবে। কিন্তু শেষমেষ সীদ্ধান্ত নিলাম, উপরওয়ালা যখন বাঁচিয়ে এনেছেন, হয়তো আমাকে এটি নিয়ে লেখা/বলার জন্য-ই এটলিস্ট মৃত্যুর হাত থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে এনেছেন।
কেননা- আমার লেখার কারণে জানি- বাকী জীবনের প্রতিটি মুহুর্ত নিজেকে ভয়-শঙ্কার মধ্য দিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ভয়ের মধ্যে থাকতে হবে আমিসহ পরিবারে যুক্ত ও সামনে আগত-অনাগত সবাইকে। কিন্তু ভাবলাম- আমিতো শেষ হয়েই গিয়েছিলাম, নিজেকে না হয়, দেশআর দশের জন্য উপকার করতে গিয়ে, ঝুঁকির মধ্যে ফেলে রাখলাম, বৈ-কি !!
এও জানি- হয়তো এ লেখার পর শোরগোল পরে যাবে। লেখালিখি আর টকশোর টেবিল গরম হবে। কিন্ত আমার জীবন ঐসব হায়ানা আর দোসরদের কাছ থেকে মুক্ত হবে কি..? আমাকে না হয়- প্লাটুন-প্লাটুন নিরাপত্তারক্ষী দেয়া হবে। আবার কেউবা এডিট করে দিতে বলবে আমার এই স্ট্যাটাস। কেউ হয়তো- দুঃখিত বলার মহা আয়োজন করবে। কিন্তু যে মানুষটি ২৬-২৭ বছরের জীবনে সজ্ঞানে কারো বিন্দুমাত্র কষ্ট দেয়নি, মুখের হাঁসি না কেড়ে নিয়ে, বরং হাসতে সহায়তা করেছে, আর ধূমপান, সেতো মহা বিষপান ভেবেছে। তেমন, এক লোকের নামে ‘এমন গাজা/ইয়াবা/অস্ত্র নিয়ে ঘুরছো’- এমন কোটি কোটি টাকার সন্মানহানিকর আচরণের ক্ষতির দায় নেবে’ দেশের কোন কর্তৃপক্ষ…।

এখন ন্যাচার-ই ভরসা, কারণ- কাকে কাছে ডাকবো, কে আমাকে নিয়ে ভাববে.., কে দেবে নিরাপত্তা, কে-ইবা পাশে দাঁড়াবে আমার, কি-ই-বা বিচার চাইবো, দেশের আইনে তো প্রমাণ ছাড়া কিছুই মেলে না। এমনও হতে পারে, সবশেষে নিজেকে বাঁচাতে বন্ধু তানভীর-এর থেকে নিরাপত্তারক্ষীদের মিথ্যা মুচলেকা-ই আমার বিরুদ্ধে কাল হয়ে দাঁড়াবে/ দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে।
এমন কিছু হলেও-বা, কে-ইবা জানবে, এই যা সত্য ঘটনা নিয়ে লিখলাম, তার কারণে অসময়েই চলে যেতে হতে পারে আমাকে..; ঝুট ঝামেলার মধ্যে, পরে থাকতে, হতে পারে আজীবন…!!! আর আমাকে মেরে ফেলার পর, দশবার ফরেনসিক রিপোর্টে আমাকে মেরে ফেলার প্রমাণ, আর তাদের বিচার-ই বা কে/কি করবে এ সোনার বাংলাদেশে। বিচার হলেই-বা জীবনে কি আসবে আমার। যাবে কি তার চাকরি। হবে কি অন্য সবাই শুদ্ধ। মুক্ত হবে কি আমাদের এ সমাজ।

নিজেকে হারিয়ে খুঁজছি, না বুঝেই লিখছি, ভাবছি যেতে-তো হবেই; এটলিস্ট- সত্যটা বলে যাই, হারিয়ে-তো যেতে হতেই পারে, সত্যকে আরেকবার জানিয়ে দেই..!!

আজ থেকে হয়তো আমার মাথা আর কাজ করবে না, কিছুই বলারও উপক্রম হবে কি’না, জানি না..

লিখছি আর ভাবছি, সবে তো তরুণ, স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও-তো জীবনের অনেকটা-ই এখনও বাকী। কিন্তু সত্য কথা লেখার পর, আমার জীবন নিরাপদ থাকবে-তো, আর নিরাপত্তা-ই বা দেবে কে, যারা দেবেন, বা নিয়োজিত হবেন, তাদের প্রতি-ই বা বিশ্বাস রাখি কি করে..!! তাদের এমন আচরণ আমাকে দুর্বিসহ করে তুলছে এখনও মুহুর্মুহু…। প্রশ্ন জাগছে- কত দিন, বছর বা সময়ই-বা টানতে হবে আমায়, এ দুঃস্বপ্ন..

ভাবছি- কিছুক্ষণ আগে, আমার জীবনে যা ঘটলো, সেরকম কিছুই হয়তো ঘটেছিলো, লেমন-কাদের কিংবা নাম না জানা হাজারো সাধারণ মানুষের জীবনে।
কিছুই মাথায় আসছে না, শুধু বলবো স্বাভাবিক চলাফেরা আর বাঁচার নিরাপত্তা কেউ কি দিবেন..??
আমার সাথে এমন কোটি-টাকাসম অপরিমেয় সম্মনহানির ক্ষতপূরণ পাবো কি..??
থাকতে পারবো-তো.. আমার বেঁচে থাকার স্বাভাবিক সময় পর্যন্ত..??
টিভি-রেডিও-পত্রিকা-সুশীল সমাজ-সাধারণ জনগণ, মন্ত্রী-আমলা, কেউ দাঁড়াতে চান, আমার পাশে..!! লড়তে চান এমন লোম-হর্ষক নিজের চোখে দেখার পরও অবিশ্বাসী আচরণের বিরুদ্ধে..??? বাঁচিয়ে রাখতে চান আমারসহ-সবার সুস্থ-স্বাভাবিক নাগরিক জীবন..??

তবে শঙ্কা- কি-ই-বা তাঁর গ্যারান্টি..?? ভাবছি- আমি কি আছি, না’কি শেষ..?? সবে কি শুরু, না’কি স্বাভাবিক জীবনের এই হলো শেষ..??

(বি:দ্র: এমন ঘটনার জন্য- সবাই এটলিস্ট সব পুলিশ সদস্যদের গালাগাল দিবেন না, সস্তা ভালোবাসা বা নিজের স্ট্যাটাসকে গরম করার জন্য এমন কিছু লিখবেন না, যা স্বাভাবিক পরিবেশকে বা বিচারকে বাধাগ্রস্থ করে। আমার আশা- যারা এ ঘটনায় মূল অপরাধী, অন্তত তাদের এমন নিরাপত্তার নামে জঘন্য-অপরাধ, সন্ত্রাসী-ডাকাত-চাঁদাবাঁজী টাইপের এসব ব্যাপক খারাপ ও হিংস্র কায়দার হয়রানি বন্ধ করে, ফিরিয়ে দেয়া হোক- প্রত্যেকের স্বাভাবিক জীবনের গ্যারান্টি।)


⚇ ইউটিউব
⚅ ইউটিউবে পাওয়া একটি ভিডিও



⚅ সময় চ্যানেলের ইউটিউব ভিডিও



ফেসবুকে আপলোডকৃত ভিডিও লিংক

⚇ কিছু কথাঃ
আমরা এ কোন রাষ্ট্রে বাস করছি? জংগলের পশুদের যেমন জোর যার ক্ষমতা তার ঠিক আমাদের দেশেও জোর/প্রতিপত্তি/প্রভাব যার আইন/অধিকার তার। বাংলাদেশ পুলিশের বেশ কিছু সদস্যের এ জঘন্য আচরণ কেন?
জনগণের সেবাই যেখানে তাঁদের ধর্ম বলে জিগির তোলা হয় সেখানে সাধারণ জনগণের জন্য এ কোন ভীম রুপ? এটা কি বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা?
অবশ্যই নয়। পুলিশের ব্যাপারে জনগণের ফিডব্য্যাক মোটেও পজিটিভ নয়। বাংলাদেশের ঘুষ দুর্নীতিতে পুলিশের অবদান না-হয় নাই বললাম কিন্তু কেন এ নিষ্টুরতা? সাধারণ মানুষকে হয়রানি/জিম্মি/ক্ষমতার অপব্যহার করে টাকা আদায়ের এ সংষ্কৃতি থেকে কি কোনদিনই তাদের উত্তরণ হবে না?
সরকার তো পুলিশ সদস্যদের বেতন বৃদ্ধি করেছে। অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়েছে, বিভাগ ভিত্তিক কাজ বন্টন করে দিয়েছে। বিশেষত ট্যুরিস্ট পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আমি যারপরনাই আশাপ্রদ হয়েছিলাম।
মিডিয়ায় ওঠে না আসা পুলিশের ন্যাক্কারজনক কিছু কাজকর্মের কারণে পুরো পুলিশ বাহিনীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বাংলাদেশ পুলিশের সুনামের সাথে যেটা মোটেও যায় না।
নৈতিক শিক্ষার প্রভাব দূরে থাক, ওদের কাছে নুন্যতম সৌজন্যবোধ কখনো কখনো আশা করার উপায় থাকে না। সাবেক সাংবাদিক ও বর্তমান ব্যাংক কর্মকর্তা রাব্বী'র বেলায় যেটা হয়েছে সেটা আর কারো বেলায় কখনো হবে না কেউ কি এ প্রত্যাশা করতে পারবেন? কিংবা আর কোন সময়েই এই ধরণের ঘটনা ঘটেনি যে সেটার নিঃশ্চয়তা দিতে পারবেন? কেউ?
২০/২৫ জন লোকের সামনে তাঁকে মারধোর করা হলেও ঐ প্রত্যক্ষদর্শী কেউ-ই এগিয়ে আসেনি। অবশ্য এটা ঢাকার বাস্তব চিত্র। কেউ কারো বিপদে এগিয়ে আসে না। কিন্তু রাব্বীর বেলায় কপালের সহায়তা ছিল। একসময় একটি টিভি চ্যানেলের সংবাদ উপস্থাপনা করতেন। এ সুবাদে সাংবাদিক বন্ধুদের কাছ থেকে অকৃত্রিম সমব্যথার সহিত প্রচার সহায়তা পেয়েছেন। বেসরকারী চ্যানেলের সংবাদকর্মীরা ছুটে এসেছেন, সাড়া দিয়েছেন।
কিন্তু ঐ জায়গায় যদি অন্য কেউ থাকত? যার মিডিয়ার সাথে সংশ্লিষ্টতা নাই, সরকারী দলের সাথে কোন সম্পর্ক নাই, সরকারের কোন পদে চাকুরীরত নন....... এইরকম কেউ হলে????
রাষ্ট্রযন্ত্রের কোন অংগ যদি নাগরিকের সাথে এইরকম জগণ্য নির্যাতন ও অন্যায় করতে পারে দ্বিধাহীন মানসিকতার সহিত তাহলে শাসন বিভাগে সভ্যতার সংস্পর্শ কতটুকু আছে তা নিয়ে আপনি নিজেকে নিরাপদ ভাবতে পারেন কতটুকু??


⚇ তথ্যসূত্রঃ
ফেসবুকে আপলোডকৃত ভিডিও
ব্যাংক কর্মকর্তাকে হয়রানি: সেই এসআই মাসুদকে প্রত্যাহার
মধ্যরাতে তল্লাশির নামে ‘ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়’
ব্যাংক কর্মকর্তাকে হয়রানির অভিযোগ, সেই এসআই প্রত্যাহার
পুলিশি নির্যাতন: আমরা কি ‘জংলী’ শাসনে আছি
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১
৫২টি মন্তব্য ৫২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সত্যি বলছি, চাইবো না

লিখেছেন নওরিন হোসেন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৮



সত্যি বলছি, এভাবে আর চাইবো না।
ধূসর মরুর বুকের তপ্ত বালির শপথ ,
বালির গভীরে অবহেলায় লুকানো মৃত পথিকের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কি 'কিংস পার্টি' গঠনের চেষ্টা করছেন ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১০


শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামক সংগঠন টি রাজনৈতিক দল গঠন করবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছেই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্থান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্থান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×