আমাদের দেশে শিক্ষার হার বাড়ার সাথে সাথে যৌতুক নামের সামাজিক ব্যধি কিছুটা হলেও কমেছে। কিন্তু তার পরেও আমরা দেশের নানা প্রান্তে যৌতুকের বলি হওয়ার সংবাদ পাই। সাধারণত মেয়ের পরিবারকে একরকম হুমকি ধামকি দিয়ে যৌতুক আদায় করে নেয় বর নামের পিশাচ। ব্যাটা তোরে যৌতুক দিতে হবে তো তুই বিয়ে করতে আসলি কেন ? তোর জন্য তো জায়গা আছে সেখানে যা। কেন সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছিস??
এ তো গেল সাধারণত কম শিক্ষিতদের বেলায় সরাসরি যৌতুক ঘটনা। আসুন এবার দেখি আমাদের শিক্ষিত কুলাঙ্গাররা কি করছেন ? বা সমাজে এখনও যৌতুকের দাপট কতটুকু ?
শিক্ষিত সমাজে বর কনের বিয়ের আগে কথা হয়, আপনার মেয়ের সংসার সাজিয়ে দিলেই চলবে ।
ওমা এটা কি ? সাজিয়ে দিবেন মানে ?
আমার মেয়ে একজন সুপাত্রের কাছে হস্তান্তর করেছি, ছেলে স্বাবলম্বীও বটে। আর তার জন্যই তো ছেলে বিয়ের মত একটি সামাজিক আচারে অংশ নিচ্ছে। এখানে মেয়ের পরিবার কেন ঘর সাজিয়ে দিবে??
এখন আসেন কথার মার প্যাঁচে -----
ছেলেত জোর করছে না, আমরা খুশি হয়ে দিচ্ছি। আল্লাহর কসম আপনি আপনার মেয়ের ঘর সাজিয়ে দেয়ার নামে যৌতুকের মত একটি ঘৃণ্য প্রথায় অংশ নিচ্ছেন।
আপনি মেয়ের ঘর সাজানোর নামে স্রেফ যৌতুকের বলি হচ্ছেন এবং সমাজে এই কু প্রথাকে প্রচলিত করার জন্য দায় আপনাকেই নিতে হবে ।
এই ঘর সাজিয়ে দেয়া এখন ব্যাপক আকার ধারন করেছে।
ধরুন আপনি একটি সরকারি অফিসে গিয়েছেন, সেখানে আপনার কাজ করে দেয়ার জন্য খুশি হয়ে পিয়নকে ১০০ টাকা দিলেন, তার মানে আপনি ঘুষ দিলেন।
কিভাবে এটা ঘুষ ??
কারন কাজটি ছিল ঐ ব্যাক্তির দায়িত্ব, আপনি টাকা দিলেন, আরও একজন টাকা দিল এতে ঐ ব্যাক্তির টাকা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা তৈরি হবে। যে টাকা দিবে না তার কাজটা সে আর করে দিবে না। এভাবেই ঘুষ প্রচলিত হয়। যদি কার দ্বিমত থাকে প্লিজ শেয়ার করবেন।
ঠিক এভাবেই যখন খুশি হয়ে ঘর সাজানোর প্রশ্ন আসে তখন ঠিক এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। যখন কেউ ঘর সাজিয়ে না দেয় তখন দেখা যায় বর এবং তার পরিবার নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করে।
বিয়ের পরেও কনের উপর নির্যাতন করে। প্রায়শই বলে- তোমার বাপের বাড়ি থেকে আমাকে কি দিয়েছে??? আশ্চর্য ??? কেন আপনাকে শ্বশুর বাড়ি থেকে দেয়া হবে, আপনি কি যৌতুকের জন্য হাহাকার করছেন ?? ??
আপনি তো বলেছিলেন খুশি হয়ে যা দেয় । এইযে দেখেন “খুশি হয়ে যা দেয়”, তার মানে সে একটা কিছু আকাঙ্ক্ষা করেছিল। আর না পেলে তখনি শুরু হয় খোটা দেয়া এবং নির্যাতন। এবং শুরু হয় পারিবারিক অশান্তি।
এভাবেই শিক্ষিত সমাজ ঘর সাজানোর নামে যৌতুক নিয়ে থাকে। ছাত্রজীবনে রচনা লিখেছেন, যৌতুক একটি সামজিক ব্যাধি। শ্লোগান দিয়েছিলেন “ যৌতুক কে না বলুন “
কোথায় আপনার সেই শিক্ষা ????
ধিক্কার আপনাদের যারা খুশি হয়ে সামাজিক চাপের কারনে মেয়ের ঘর সাজানোর নামে যৌতুক দেন এবং নেন।
আলোচিত ব্লগ
একটি ছবি হাজার কথা বলে
আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন
অদ্ভুতত্ব.....
অদ্ভুতত্ব.....
আমরা অনিয়ম করতে করতে এমন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে, অনিয়মকেই নিয়ম আর নিয়মকে অনিয়ম মনে হয়। নিয়মকে কারো কাছে ভালো লাগে না, অনিয়মকেই ভালো লাগে। তাই কেউ নিয়ম মাফিক... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশের কালো রাজনীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত অধ্যাপক ইউসুফ আলী !
অধ্যাপক ইউসুফ আলী মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন।
উনি ছিলেন বাংলার অধ্যাপক। ৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান আইনসভার সদস্য হন। ৬৫ সালে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য,... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি
ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার দশটা ইচ্ছে
প্রত্যেক রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মনে হয়-
যদি সকালটাকে দেখতে না পাই। কেউ যদি জিজ্ঞেস করেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্ময়কর জিনিস কি? তাহলে বলব মানুষের বেচে থাকা। মরে গেলেই তো... ...বাকিটুকু পড়ুন