পর্ব ১ বলা ঠিক হইল না, এইটা এলোমেলো পর্ব। আমি মোটামুটি সামুর ২য় প্রজন্মের ব্লগার(আগের নিক সহ )। রাশেদ, বিমাদের রমরমা সময়ে আমি ছিলামনা, এটিমের খুব বেশী একশন দেখিনি। তার পরে এসেছি, তখন দেখেছি রাগিবের অসাধারণ তথ্যবহুল পোস্ট গুলো, অমিপিয়ালের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক অসাধারণ, বাঁধিয়ে রাখার মত সব লেখা(দেখেন এইটা , এইটা বা এইটা )। ফিউশন ফাইভ তখন সবে জনপ্রিয় হতে শুরু করেছেন(এইখানে দেখেন অন্য নিকে তার মজার একটা লেখা ), দেখতাম ফারহান দাউদের কমেন্ট, শূন্য আরণ্যকের লেখা, দেশী পোলার কড়া জাতীয়তাবাদি কিন্তু এন্টারটেইনিং লেখা , নুশেরার সুলিখিত সুচিন্তিত পোস্ট গুলো। আরো ছিলেন চমৎকার লেখক জ্বিনের বাদশা , আশীফ এন্তাজ রবির লেখাগুলো খুব সাধারণ ভাষায় লেখা, কিন্ত অত্যন্ত আবেগী, অনেকেরই হৃদয় স্পর্শ করত। নাফিস ইফতেখার সবে তখন প্রেম কতপ্রকার ও কি কি এই রকম একটা পোস্ট দিয়ে বেশ দৃষ্টি কেড়েছেন। আরিফ জেবতিক তখন প্রায় বিদায়ের পথে, তার লেখা ভেলেরী টেইলর নিয়ে পোস্ট টা সামুর সবচেয়ে বেশী প্লাস পাওয়া পোস্ট ছিল। মডুদের সাথে অনেকেরই তখন খুব ঝগড়া, ছাগুদের কতটুকু এলাও করা হবে, তা নিয়ে। যাওয়ার আগে লিখে গেলেন আরেকটা ভয়াবহ চমৎকার ফান লেখা "অতঃপর তোতা মিয়া ব্লগিল বিষাদে "। এটার বিষয়বস্তু ছিল প্রথআলো ব্লগের ২২ মাইল লম্বা নীতিমালা। "উঁ" শব্দটা তো এরপর বাংলা ব্লগ জগতে এক বিশেষ স্থান নিয়ে নেয়, শুধুমাত্র "উঁ" লিখে পোস্ট দিয়েও অনেকের পোস্ট বাতিল করা হয়।
আরেকজন লেখক ছিলেন তামিম ইরফান, লোকে তাকে অধ্যাপক গুলাবী নামে ডাকত, তার প্রোপিক ছিল গোলাপী সাজে একটা বান্দর তার লেখা আমার ছেলেবেলা আমার পড়া সেরা ফান সিরিজগুলোর একটা।
আরেকজন ব্লগার সাঈফ শেরিফ, উনাকে মনে রাখার কারণ তার মারাত্বক রকমের ফাটাফাটি একটা রসনা বিলাস বিষয়ক পোস্ট । আমি নিজেও খাদ্যরসিক, তাই মনে রেখেছি।
শেষ করব ২ জন প্রায় কিংবদন্তী ফান লেখক নিয়ে। একজনের লেখনী সাধুভাষা, লেখার ধার ক্ষুরের থেকেও ক্ষুরধার, ফান করে খোঁচা দিয়ে রক্তাক্ত করতে পারেন অবলীলায়। নাম তার মুখফোঁড়। (দেখেন এইটা , এইটা , এইটা ) আরেকজনের লেখার ভাষা নোয়াখাইল্লা, খুব মজা করে পোস্ট লেখেন আর কমেন্ট করেন, সারা ব্লগ জুড়েই তার অগুন্তি ফ্যান ছড়িয়ে ছিল। তিনি হলেন আলিফ দেওয়ান , ওরফে কাগু ।
এই ২ লেখকের মধ্যে একটামাত্র মিল----তাদের দুজনেরই কলমের ভয়ংকর খোঁচার প্রধানতম লক্ষ্য ছিলেন একজনই।
বলেন তো, কে সেই সৌভাগ্যবান?