মেজর সিনহার হত্যা মামলায় জড়িত ওসি প্রদীপসহ ৭ জন বরখাস্ত হলো, অথচ শিপ্রা-সিফাতরা এখনো জেলে। ওদের দোষ কি ছিলো? একজন বিচার বহির্ভূত হত্যাটির প্রত্যক্ষ সাক্ষী যেকিনা নিজেই জেলে বন্দী আছে হত্যা-মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে। শিপ্রা তো স্পটেই ছিলেন না। রিসোর্ট থেকে তুলে এনে মাদক মামলায় ফেলে দেওয়া হলো তাকে। স্ট্যামফোর্ডের ফিল্ম স্টাডিস ডিপার্টমেন্টের এই দুই শিক্ষার্থী দিন গুনছে জেলে প্রচন্ড অনিশ্চিত ভাবে।
শিপ্রা কুষ্টিয়ার একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। তার দেখা স্বপ্নটা সে শুধু ছুঁয়ে দেখতে চেয়েছিলো। আর্কিটেকচারে ডিপ্লোমা শেষ করে পরিবারকে জানিয়েছিলো সে চলচ্চিত্র নিয়ে পড়াশুনা করতে চায়। চলচ্চিত্র বানাবে৷ একটা মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চাইলে যতটা স্ট্রাগলে পড়তে হয় ঠিক ততটাই পড়তে হয়েছে তাকে। কিন্ত আর্থিক পিছুটান তাকে দমাতে পারেনি। বেশ কয়েকটা প্রোডাকশন হাউজে কাজ করে নিজের খরচ নিজেই চালিয়ে নিচ্ছিলো সে। এই কারনেই সম্ভবত মেজর সিনহার ট্রাভেল চ্যানেলে কাজ করার অফার লুফে নেয় সে। সিফাতের গল্পটাও ঠিক তেমনি। পেটের দায় ছাড়া তো আর অযথা কেউ এই মহামারীতে কক্সবাজারে যায় না!
নিজের স্বপ্ন লালনের দায়ে কারাগারে বন্দী তারা। এইসব তারা ডিজার্ভ করে না। আর কিছু না, এই লেখাটা মহারাজাদের প্রতি একটা অনুরোধ শুধু। দয়া করে এই স্বপ্ন গুলোকে বাঁচতে দিন। এরা বন্দী থাকতে নয়, উড়তে চায়। এদের মতোই আরো হাজারো তরুন স্বপ্নের চাষ করে এই দেশের জন্য। হারিয়ে যেতে দিবেন না প্লিজ। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে এক আশাহত, দুঃস্বপ্নের ঘোরে মগ্ন জাতি চায়নি এদেশের শহীদেরা।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:০৭